রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫, ০৮:৪৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
পাইকগাছায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে নির্বাচনী কর্মশালা অনুষ্ঠিত কবিতাঃ শূন্য জীবন! নরসিংদীতে সড়ক পরিবহন কালো আইন সংশোধনসহ ৮ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ৭২ ঘন্টার পরিবহন ধর্মঘটের আহবান গোয়াইনঘাটের পিয়াইন (ঈসামতি) নদীতে নৌকা ডুবে এক সিপাহী নিখোঁজ মোঃ জাবেদুল ইসলাম এর একগুচ্ছ কবিতা পাইকগাছার তালতলা-গোয়ালবাথানে ৩ হাজার তালগাছ রোপন উদ্বোধন করলেন বাসস চেয়ারম্যান গোয়াইনঘাটে জাসাসের নবাগত কমিটির আনন্দ র‌্যালি অনুষ্ঠিত নিরাপদ সড়ক চাই দাবীতে মানববন্ধনে অংশ নিয়ে কাঁদলেন সম্পাদক পংকজ বিশ্বম্ভরপুরে ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে এস এস সি ও দাখিল কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান সাংবাদিক তুহিন হত্যার দ্রুত বিচারের দাবীতে সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাব একাংশের মানববন্ধন

নিয়ামতপুরে সন্তানের পিতৃ-পরিচয় চেয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন

Coder Boss
  • Update Time : বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ১২৫ Time View

এস এম রকিবুল হাসান, নিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি: 

নওগাঁর নিয়ামতপুরে স্ত্রীর মর্যাদা ও সন্তানের পিতৃ-পরিচয়ের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছে একটি পরিবার।

আজ বুধবার সকালে নিয়ামতপুর প্রেসক্লাবের হলরুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন স্ত্রী ও সন্তান। 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মা সেতারা বেগম। তিনি উপজেলার পাঁড়ইল ইউনিয়নের গন্ধশাইল  এলাকার হুজ্জোতুল্লাহ বকুলের দ্বিতীয় স্ত্রী। এ সময় বিথি খাতুন নামের তাদের একমাত্র কন্যা সন্তান উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্যে সেতারা বেগম বলেন, গত ২৪ বছর আগে ভালোবাসার সম্পর্কে জড়িয়ে হুজ্জোতুল্লাহ বকুলের সাথে আমার বিয়ে হয়। বিয়ের পরদিনই তিনি সৌদি আরবে চলে যান। ২০০৪ সালে সৌদি থেকে ফিরে এসে মিলামেশার কারনে আমার মেয়ে পেটে আসে। সন্তান নিতে অনীহা প্রকাশ করে নষ্টের জন্য চাপ দিতে থাকেন বকুল। কাজের জন্য তিনি ফিরে যান সৌদি আরবে। সন্তান নষ্ট না করায় তার বন্ধু বশিদুলকে দিয়ে নানা ধরনের হয়রানির শিকার করেন।  ২০০৫ সালে আমার মেয়ে দুনিয়ার আলো দেখে। আমাকে দুশ্চরিত্র প্রমানের জন্য নানা রকম ষড়যন্ত্র শুরু করে। ২০০৬ সালে আমাকে ডিভোর্স দেন বকুল। 

তিনি বলেন, এ বিষয়ে নওগাঁ আদালতে নারী ও শিশু আইনে একটি মামলা করলে অর্থনৈতিকভাবে সুবিধা ও আবারও স্ত্রী হিসেবে নিবেন বলে আশ্বাস দেন। ২০১১ সালে আমাকে কাজের জন্য লেবাননে পাঠিয়ে দেন। ৩ বছর পরে ফিরে এসে সন্তানের পিতৃ-পরিচয় দাবি করলে টালবাহানা শুরু করেন। নানান ধরনের প্রলোভন দেখিয়ে আমার সাথে আবারও শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করেন। একপর্যায়ে গ্রামবাসী ধরে ফেললে ২০২৩ সালে আবারও আমাকে বিয়ে করেন কিন্তু আমার কন্যা সন্তানের পিতৃ-পরিচয় দিতে অনীহা প্রকাশ করেন। শুধু তাই নয়, আমাকে ও মেয়েকে মেরে ফেলার জন্য তার পেটুয়া বাহিনীকে লেলিয়ে দেন। তারা বিভিন্ন সময় আমার বাবার বাড়িতে আক্রমণ করে আমাদের মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করেন। যা গ্রামবাসী ও ইউনিয়ন পরিষদের সকলেই জানেন। 

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে আমার মেয়ের বয়স ১৭ বছর। সে ঝিনাইদহ সরকারি নার্সিং ইনস্টিটিউটে প্রথম বর্ষে পড়াশোনা করে। পিতৃ-পরিচয় নিয়ে সেও একটা অনিশ্চিত ভবিষ্যতে পড়েছে। আমি আমার মেয়ের পিতৃ-পরিচয় ফিরে পেতে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি। 

মেয়ে বিথী খাতুন বলেন, এই স্বাধীন দেশে আমার বাবা নানা মিথ্যাচার করে চলছে। পিতৃ-পরিচয় না থাকা যে কতটা কষ্টের তা বলে বোঝানো যাবে না। আমি প্রশাসনের কাছে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি। 

বিষয়টি নিয়ে হুজ্জোতুল্লাহ বকুল বলেন, ওদের সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই। তারা আমাকে হেয় করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2025 Coder Boss
Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102