লেখকঃ ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম
ইসরায়েল ইরান যুদ্ধে কোন মুসলিম দেশ ইরানের পক্ষে কথা বলে নাই সাহায্য দূরে থাকুক! নির্লজ্জ বেহায়া যে দু’টো দেশ ইরানের মিশাইল ভূপাতিত করার চেষ্টা করেছে তারা হলো সিরিয়া ও জর্ডান! সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদের পর মার্কিন পন্হী পুতুল সরকার সেচ্ছায় ৪০% সিরিয়া বাসীর বসবাস স্হল ইসরায়েল কে ছেড়ে দিয়েছে! সেখান থেকে অনায়াসে লেবাননের “হিজবুল্লাহ” ঘাটিতে ইসরায়েল/ মার্কিন হামলা সহজ!
এই অঞ্চলে কম পক্ষে প্রায় ১৯ টা মার্কিন সামরিক ঘাটি আছে! তারমধ্য সৌদি আরব, বাহরাইন, কাতার, মিশর, সংযুক্ত আরব-আমিরাত, ইরাক, জর্ডান, কুয়েত, সিরিয়া প্রধান! “বর্তমান বাংলাদেশ” কে আপাত তালিকায় টানলাম না তবে —–??
মার্কিন সেনারা জামাই আদরে থাকে, মদ মহিলা বেতন-ভাতা বোনাস ফুড সবই পায়!
মজার কথা, বিশ্বে আমেরিকা বাৎসরিক যত অস্ত্র গোলাবারুদ বিক্রি করে তার ৩৭% কেনে একা সৌদি আরব, ১৭% মিশর, ১২% সম্ভবত সংযুক্ত আরব-আমিরাত বাকী সব দেশ কিছু কিছু! তাহলে এসব দেশ মার্কিন সৈন্য পালন করে কেন? কেন নিজের পায়ে দাড়াতে শিখে না? প্রায় সাড়ে ১২ হাজার মাইল থেকে উড়ে এসে আমেরিকা শাসন করে, সারা মধ্যে এশিয়া, কেন? প্রতিটি দেশের ইউরোপীয় দেশ থেকে-ও বেশী পয়সার মালিক, তা হলে ইরানের মত পরমাণু অস্ত্র বানানোর প্রচেষ্টা চালায় না কেন? কম পক্ষে ইউরেনিয়াম আমদানি লাইসেন্স বের করতে পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র তো তৈরি করতে পারে! যেমন বাংলাদেশ সংযুক্ত আরব-আমিরাত প্রথম স্টেজটা শেষ করেছে!
প্রিয় পাঠক, বিশ্ব অবাক হয়েছে ইরানের সামরিক সক্ষমতা দেখে! নড়েচড়ে বসেছে মুসলিম দেশগুলো! ১২ দিনের যুদ্ধে দশ দিন ই ইরানের মিশাইল ভূপাতিত করার চেষ্টা করেছে সিরিয়া জর্ডান, শেষের দুইদিন নীরব গেছে কিন্তু পাকিস্তান সহ সব মুসলিম দেশ আমেরিকা কে তাদের আকাশ সীমা ব্যবহার করতে দিয়ে আর-ও পাপ করেছে!
জর্ডান গতকাল ইসরায়েলের সাথে “বাস্কেটবল লীগ ম্যাচ” খেলা প্রত্যাখ্যান করেছে! জর্ডানের বাদশাহ “দ্বিতীয় আব্দুল্লহকে” ধন্যবাদ দেয়ার আগে ভাবতে হবে, কেন এই ১৮০° পরিবর্ত মার্কিন তলপিবাহক দেশটির? সৌদি আরব সহ সব মুসলিম দেশগুলোতে জনগনের বিক্ষোভ হয়েছে, আবার ইরানের জয়লাভে ও আনন্দ উল্লাসে ফেটে পড়েছে! তাহলে কি এসব তল্পিবাহক দেশরা ভীত, জনগন তাদের গদি উল্টে দিতে পারে ইরান প্রশ্নে, তাই কি ভোল পাল্টানো! নাকি ঈমান এসেছে বেঈমান মুসলমানদের! আমার দেশের ঈমানদার হেফাজতের মামুনুল হক, জামাতে ইসলামের আমীর “ডাঃ শফিক সাহেব”, ইসলাম রক্ষায় বায়তুল মোকাররম গেট থেকে সেই আল্লাহু আকবর ধ্বনি কই গেলো! বিসমিল্লাহর ফখরুল সাহেবের কথা বললাম না কারন তিনি তো মার্কিন “রাষ্ট্রদূত পিটার হাস” কে ভগবান সম্বোধন করা মুসলমান! যাক সে কথা —
ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধ বন্ধ ঘোষণা করলেন, তিনি তো আক্রমণকারী, নিরপেক্ষ নন, তাহলে জাতিসংঘের মোটা বেতন ভাতা ভোগী নোবেল বিজয়ী গুতেরেস কি করেন? Does Trump poses the right to attack any country and declares the END of war?
বিশ্ব পরমাণু সংস্থা সংবিধানে পরিষ্কার বলা আছে, “কোন দেশের পরমাণু কারখানা বা পরমাণু রক্ষণ হাউসে আক্রমণ আইনত দন্ড যোগ্য অপরাধ! এ কথাও বলা আছে, এই পরমাণু তেজষক্রিয়া সারা বিশ্ব পলুটেড করতে পারে! তেমন বিশ্ব বসবাস অনুপযোগী করার অধিকার কারো নাই! ইসরায়েল সে কর্মটি বার-বার করেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ব গনতান্ত্রিক মুরব্বি ও ঘোষণা দিয়ে তা করলেন!
৫৭ টা মুসলিম দেশের উচিত একটা MNATO তৈরি করা, যারা কোন একটা মুসলিম দেশ আক্রান্ত হলে এক যোগে ঝাপিয়ে পড়বে এবং সামর্থ্য যাদের আছে তাদের পরমাণু ওয়ার হেড সংযোজন হাইপার সনিক মিশা বানানোর চেষ্টা করা উচিত ! ইসরায়েলের যদি অনুমতি না লাগে তাদের কেন? এবং এসব দেশের উচিত এশিয়ার শক্তি চীন রাশিয়ার হাত শক্তিশালী করা! পেট্রো ডলারের মত নাকে খত চুক্তি রিনিউ না করা! বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ইউরেনিয়াম তৈরি করে রাশিয়া! ইসরায়েল পরমাণু বোমা বানাতে পারবে ইরান পারবে না তা সব মুসলিম দেশ কে প্রতিবাদী হওয়া উচিত এবং এমন বিশ্ব ডিক্টেটর শীপ একযোগে রুখে দেয়া উচিত!
ভালো থাকেন সুস্থ থাকেন নিজ দেশকে ভালোবাসেন!