আমার গাঁয়ের চাষার মেয়ে ফুট ফুটে তার রুপ।
চলতে পথে দুলত চিকুর গন্ধ ধরায় দুপ।।
সাড়া দেহে গয়না ছাড়াই রুপ ঝরে তার গায়।
দেখতে লাগে এতই মধুর ডাগর চোখে চায়।
সেই রুপসী হয় ষোড়শী কচি মুখের ভাষা।
পরান ভরা ছিল তাহার অনেক বড়ো আশা।
বাবা তাহার ভুল করিয়া দিচ্ছে তাকে বিয়ে।
সেই ছেলে টির প্রেমে পড়তে চায়না মেয়ের হিয়ে।
বাবার কথা মানতে গিয়ে হচ্ছে বিয়ে তাই।
জোর করিয়া দিলেন বিয়ে জীবন হলো ছাই।
চলার গতি খেলার মতি ছোট্ট খুকি ওই।
ভালো মন্দ বোঝার মত বয়স হয়েছে কই?
বছর এটে আসল পেটে নতুন শিশুর দল।
রোগে শোকে হইছে কাতর বইছে চোখের জল।
শুকিয়ে দেহে হাড় জেগেছে চক্ষু কোটর গত।
পরান সেত হাড়ের সাথে ধুকে ধুঁকে ক্ষত।
দিনের পরে দিন কেঁদে যায় নয়ন ভরা জল।
শুকিয়ে ঠিক কাঠ হয়েছে নাইকো দেহে বল।
শাশুড়ী হয় কাঠ ঠোকরা ভালো পায় না মোটে।
পিসিয়ে মারে বিষের কথায় তার দুখানি ঠোঁটে।
জা ননদী নন্দি ভৃঙ্গি দেয় বিচুটির ঝাটা।
চলতে গেলে পায়ে পায়ে তার ফুটায় কথার কাটা।
স্বামী ও তার ছন্ন ছাড়ার হে থায় হোথায় ঘুরি।
ফিরছে ঘরে সন্ধ্যা করে নাইকো কাজের ছিরি।
শুভ্র দেহে তার দাগে ব্যাথা ভার থেমে আসে দেহে শ্বাস।
দেখি শেষে হায় সমাধির গায় গজিয়েছে বুনো ঘাস।।