নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলার ইতিহাসে ২৪ শে জুলাই অত্যন্ত স্মরণীয় একটি সময়। জাতির যুগ যুগ ধরে মনে রাখবে ২৪ শের জুলাইকে।একাত্তরে যেমন অধিকার আদায়ের আন্দোলনে বাঙালি জাতি দল-মত ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে ঝাঁপিয়ে পরেছিল । ২৪ শে জুলাই মাসেও আমরা তার বাস্তব প্রতিচ্ছবি দেখতে পেয়েছি। জুলাই আন্দোলনের সূত্রপাত হয় ছাত্র জনতার যৌক্তিক দাবি আদায়ের মাধ্যমে।১৯৫২ তে যেমন মাতৃভাষা রক্ষার জন্য আন্দোলন করে রক্তাক্ত হয়ে চল ছাত্র-জনতা। জুলাই বিপ্লবের আন্দোলনে যৌক্তিক দাবি চেয়ে রক্তাক্ত হয়েছে ছাত্র-জনতা।তবে এখানে রয়েছে অনেক পার্থক্য। বায়ান্ন একাত্তরে ছিল পাকিস্তানি হানাদার, আর এক ২৪ শে ছিল ভারত শাসিত স্বদেশী গাদ্দার। ছাত্র জনতার এই আন্দোলন তিল তিল করে, সারা দেশের জনতার হৃদয়ে কম্পন সৃষ্টি করে। যার কারণে এ দেশের জনগণ আবারো দ্বিতীয় স্বাধীনতা যুদ্ধ মনে করে, সবাই মিলে ছাত্র যেন তার পাশে দাঁড়ায়,এবং স্বৈরাচার শক্তিকে পরাজিত করে।
নতুন বাংলাদেশ নতুন স্বাধীনতা। কিন্তু আমরা ভুলিনি ২৪ এর সেই বিপ্লবী যোদ্ধাদের। আমরা ভুলিনি আবু সাঈদ, মুগ্ধ সহ প্রায় দুই হাজারের চেয়েও বেশি শহীদ হয়েছে,কোন শহীদদের কথা। যার কারণে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় জুলাই মাসের প্রথম দিনেই মিলাদ মাহফিল করলেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি শরীফ হোসাইন মিজান।
জুলাইয়ের প্রথম দিনে ২৪’ এর জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া সকল বিপ্লবী সহযোদ্ধার আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং আহতদের সুস্থতার জন্য বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি শরীফ হোসাইন মিজানের উদ্যোগে আয়োজিত মিলাদ মাহফিলকে আল্লাহ তায়ালা কবুল করুক।(আমিন) তিনি নিজ এলাকা জিনারপুর আল্-হক্ব দারুল জান্নাত হাফিজিয়া নূরানীয়া মাদ্রাসায় ছোট্ট শিশুদের নিয়ে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেন।মিলাদ মাহফিলে শহীদের স্মরণে কুরআন তেলওয়াত এবং দোয়া করেছেন।শহীদদের প্রতি শরীফ হোসেন মিজানের এই ত্যাগ ভালোবাসা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। আমাদের সবাইকে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিত।