অথই নূরুল আমিন
দেশের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের হাওয়া জোরালোভাবে চলমান। এর মধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের মতো করে নির্বাচনী পদ্ধতি নিয়ে আলোচনায় সরগরম আজকে সারা দেশ। কেউ বলছেন আগের পদ্ধতিই থাকবে। কেউ বলছেন। উচ্চ কক্ষ। কেউ বলছেন। ছয়শো আসন বিশিষ্ট, ইত্যাদি ইত্যাদি। এখানে আজকে নির্বাচন পদ্ধতি নিয়েই আলোচনা সমালোচনা বেশি।
নির্বাচন পদ্ধতি (এক )
যেমন ধরুন বতর্মান সরকার প্রথমেই তারা স্থানীয় নির্বাচন করলেন। বিশেষ করে স্থানীয় নির্বাচনে যারা ভোটার বা ভোট দিবেন। যেমন ধরুন, মেম্বার চেয়ারম্যান,উপজেলা চেয়ারম্যান,পৌরসভা মেয়র এবং সিটি মেয়র। সেই ভোটার গণ তারাই আবার কেন জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিবেন?
আমার মতে দেশজুড়ে স্থানীয় নির্বাচনে নির্বাচিত জন প্রতিনিধি মানেই জনগণের মনোনীত প্রার্থী। এখানে স্থানীয় নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থীগণ যদি হোন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটার। তাহলে সবচেয়ে সুন্দর হয়।
নির্বাচন পদ্ধতি( দুই )
জাতীয় নির্বাচনে ভোটার যখন হবেন। স্থানীয় প্রতিনিধিগণ। সেখানে প্রতিটি জেলা সদরে একটি বুথ থাকবে। উল্লেখিত জেলার সবগুলো আসনের। ভিন্ন ভিন্ন রুমে একেকটি আসনের বুথ থাকবে । এখানে থাকবে প্রতিটা এমপি প্রার্থীর ব্যালট নম্বর। স্থানীয় জন প্রতিনিধি গণ তাদের পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দেবেন। ব্যালট নম্বরে। এক দুই তিন ইত্যাদি। এখানে থাকবে না কোন দলীয় পরিচয়। এখানে সারা দেশ জুড়ে বিজয়ী হবেন। তিনশ এমপি প্রার্থী।
পরবর্তী নির্বাচন পদ্ধতি( তিন )
এক দুই তিন এরকম নম্বর ব্যালটে যেদিন তিনশ এমপি বিজয়ী হবেন। এই তিনশ এমপি হবেন সংসদীয় ভোটার। ( এখানে প্রয়োজনে পুরুষ এবং নারী থাকতেই পারেন ) উল্লেখিত নির্বাচনের তারিখের পর। তারপর তিন থেকে পাঁচ দিনের ভিতরে বিজয়ী তিনশ এমপি ভোট দিবেন। দলীয় প্রতীকে। এই ভোট কেন্দ্র। নির্বাচন কমিশন হল রুমেও হতে পারে। এবং সকলের সিদ্ধান্ত মতে যেকোন স্থানে হতে পারে। উল্লেখিত নির্বাচনে যে মার্কায় বেশি ভোট পাবে। তারাই সরকার গঠন করবেন। এবং দ্বিতীয় তৃতীয় স্থান অধিকারী দল হবেন বিরোধী দল ।
এখানে কথা থাকে যে, সরাসরি যতদিন জাতীয় নির্বাচন হবে। ততদিন দেশে শান্তি শৃংখলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। এছাড়া আমার দেয়া পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে রাষ্ট্রীয় অর্থ অপচয় কম হবে। দেশে কমে আসবে দলীয় কোন্দল। খুন খারাপিসহ ইত্যাদি মন্দ কাজ।
লক্ষ্য করলে দেখা যায়। শুধুমাত্র একদল আরেক দলের সাথে প্রতিযোগিতা করে তা শুধু নয়। নিজ দলের ভিতরে ও রয়েছে রেষারেষি। একজন নেতা এমপি হওয়ার জন্য নিজ দলীয় অন্য নেতাকে হত্যা পর্যন্ত করে বসে। দেশের আপামর শান্তি ফিরিয়ে আনতে পিআর ভোট নয়। ভোট হোক স্বতন্ত্র। একজন এমপি হোক একটি এলাকার সকলের। এমপিরা মিলে গঠন করুক সরকার। তখনই জাতির স্বপ্ন পূরণে ভূমিকা থাকবে সকল রাজনৈতিক দলগুলার।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ বতর্মান সরকারের এবং সকল রাজনৈতিক দলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। উপরের বিষয়গুলো ভেবে দেখার জন্য।
অথই নূরুল আমিন
কবি কলামিস্ট ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী