সংবাদদাতা: ভারত
খোশবাগ: অবিভক্ত বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলার মৃত্যু দিবস উপলক্ষ্যে গত ৩রা জুন ২০২৫ বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদের খোশবাগে নবাবের পারিবারিক সমাধিক্ষেত্র নিকটে সাড়ম্বরে উদযাপিত হল শোকাহত শহীদ দিবস। আজ থেকে ২৬৮ বছর পূর্বে ওই দিন মুর্শিদাবাদের পলাশীর প্রান্তরে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বাহিনীর সাথে এক প্রহসন যুদ্ধে পরাজিত হয় নবাবের সুসজ্জিত সামরিক বাহিনী। এই যুদ্ধে পরাজয়ের মূল হোতা ছিল শেষ নবাবের আত্মীয় তথা প্রধান সেনাপতি মীর জাফর আলী ও তার কিছু বেইমান সভাসদ। বন্ধি হন নবাব সিরাজউদ্দৌলা। পরবর্তীতে অপমানজনকভাবে তাকে মীর জাফরের আলীর পুত্র মীর মিররের নেতৃত্বে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। ঘুরিয়ে নিয়ে বেড়ানো হয় তার ক্ষতবিক্ষত লাশ সারা মুর্শিদাবাদ শহরে। নবাব সিরাজের মৃত্যু দিয়েই অস্তমিত হয় ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সূর্য।
দিনটিকে স্বরণে রাখতে মুর্শিদাবাদের সিরাজউদ্দৌলা স্মরণ সমিতি আয়োজন করে এই স্মরণ সভার। দিনের প্রথম দিকেই সমাধি স্থলে মাল্য দান করেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব বিশ্বাস সহ অনেকেই। সাথে যোগ দেয় নারকেল বাড়ি মুনলাইট ইনস্টিটিউশনের শিক্ষক ও ছাত্র ছাত্রী বৃন্দ। পরবর্তীতে অনুষ্ঠিত হয় নবাবের স্মৃতির উদ্দেশ্যে বক্তব্য ও কবিতা পাঠের অনুষ্ঠান। বক্তব্য রাখেন সমিতির সম্পাদক বিপ্লব বিশ্বাস ও অন্যান্য গুণী ব্যক্তিরা যেমন আলিমুজ্জামান, হাসিবুর রহমান, শিক্ষক কাদির আলি, সুব্রত মণ্ডল, সামসুল হালসানা, ইমরুল কাঈস, উত্তম ঘোষ, হারাধন গাঙ্গুলি প্রমুখ। সকল বক্তার বক্তব্যে তুলে ধরা হয় দিনটির প্রকৃত গুরুত্বকে। অঙ্গীকার করা হয় প্রতি বছরই দিনটিকে আরও বিস্তরভাবে পালন করার।
অনুষ্ঠানটিতে নবাব সিরাজউদ্দৌলার স্মৃতির উদ্দেশ্যে স্বরচিত কবিতা পাঠ করে শোনান কবি ও সাহিত্যিক রেজাউল করিম, দ্বিভাষিক কবি ও সাহিত্যিক ইমদাদুল ইসলাম, সুপ্রীতি বিশ্বাস , সমরেন্দ্র ভট্টাচার্য সহ শিশু শিল্পী আনান বিশ্বাস।
সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।