স্টাফ রিপোর্টার:
যুক্তরাষ্ট্রের ২৪৯তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে শুভেচ্ছা বাণী দিয়েছেন বাংলাদেশ সাপোটার্স ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা, বিশিষ্ট রাষ্ট্র চিন্তক, গবেষক, আমেরিকা প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধা, রিপাবলিকান পার্টির শান্টা ক্লারা কান্ট্রির ফেইসবুক ভলান্টিয়ার ক্লিন্টন হাওলাদার পাভেল।
তিনি এক শুভেচ্ছা বাণীতে বলেন, ‘আজ ৪ জুলাই। ১৭৭৬ সালের এই দিনেই আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্ত হয়েছিলেন মার্কিনীরা। ২৪৯ বছর আগের এই দিনে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র অনুমোদন করে ১৩টি উপনিবেশের কন্টিনেন্টাল কংগ্রেস। অবশ্য এর দুই দিন আগেই ফিলাডেলফিয়ায় একত্রিত হয়ে ব্রিটেনের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করে স্বাধীনতার পক্ষে ভোট দেয় কংগ্রেস প্রতিনিধিরা।’
তিনি আরো বলেন, ‘১৭৭৬ সালে স্বাধীনতা ঘোষণা করা হলেও যুক্তরাষ্ট্রের কাক্সিক্ষত সেই স্বাধীনতা কিন্তু রাতারাতি আসেনি। ১৭৮৩ সালে প্যারিস চুক্তির মাধ্যমে ব্রিটেন আমেরিকার স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দেওয়ার আগে সাত বছর কেটেছিল যুদ্ধে; জীবন দিতে হয়েছিল ২৫ হাজার বিপ্লবী আমেরিকান এবং ২৭ হাজার ব্রিটিশ ও জার্মান সেনা। ১৮০০ সালের শেষের দিকে, ৪ জুলাই কেবল ক্যালেন্ডারে একটি তারিখের চেয়েও বেশি কিছু হয়ে ওঠে। ১৮৭০ সালে মার্কিন কংগ্রেস এটিকে ছুটির দিন ঘোষণা করে এবং ১৯৩৮ সালে এটি ফেডারেল কর্মচারীদের জন্য একটি বেতনভুক্ত ছুটির দিন হয়ে ওঠে।’
ক্লিন্টন হাওলাদার পাভেল আরো বলেন, ‘এই দিনটি আমেরিকার জনগণের জন্য স্বাধীনতার প্রতীক, আত্মত্যাগের স্মারক ও জাতীয় ঐক্যের উৎস। চারুকলার প্রদর্শনী, দেশপ্রেমমূলক গান, শহরের প্যারেড ও আতশবাজির মাধ্যমে দিনটি পালিত হয়। বহু পরিবার বন্ধু-পরিজন মিলে পিকনিক বা বারবিকিউর আয়োজন করে। শহর ও গ্রামে আয়োজিত হয় নানা ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বিশেষ করে রাতের আতশবাজির প্রদর্শনী অত্যন্ত জনপ্রিয়। বড় শহরগুলো যেমন নিউ ইয়র্ক, লস অ্যাঞ্জেলেস, শিকাগোতে বর্ণিল আলোয় আকাশ ঝলমল করে ওঠে। স্কুল, অফিস ও সরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে এবং এটি আমেরিকানদের জন্য একটি গর্বের ছুটি হিসেবে বিবেচিত। প্রতি বছর জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান আর আয়োজনে দিবসটি উদযাপন করে মার্কিনীরা। স্বাধীনতা দিবসের উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর দেশটিতে আয়োজন করা হয় কুচকাওয়াজ ও কনসার্ট। ফ্রান্সকে বলা হয়ে থাকে আমেরিকার স্বাধীনতা সংগ্রামের সবচেয়ে বিশ্বস্ত বন্ধু দেশ। আমেরিকার আকাশে আজকের যে স্ট্যাচু অব লিবার্টি উঁচু করে মশাল ধরে দাঁড়িয়ে আছে, তার পরিকল্পনা, নকশা, অর্থ সংগ্রহ- সবই হয়েছে ফ্রান্সের তত্বাবধানে। দেশটির গৃহযুদ্ধে ও বিপ্লবে (১৭৭৫-৮৩) মার্কিনিদের বীরোচিত ভূমিকা, দাস প্রথার অবসান ও একটি নতুন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্মের পর বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে ফ্রান্সের নাগরিকরা উপহার দিয়েছে এ ভাস্কর্যটি। তাই, এই দিনে স্ট্যাচু অব লিবার্টিকে সজ্জিত করা হয় বর্ণিল সাজে।’
বাণীতে তিনি বলেন, ‘স্ট্যাচু অব লিবার্টি যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের প্রতীক। যতদিন আমেরিকা থাকবে, ততদিন এ ভাস্কর্য স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের প্রতীক হয়ে থাকবে। যুক্তরাষ্ট্রের ২৪৯তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বুধবার সন্ধ্যায় এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন। ঢাকার টঙ্গী হাইওয়ের ইউনাইটেড কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার, কূটনীতিক, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তা, সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও সিভিল সোসাইটির গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অংশ নেন। ক্লিন্টন হাওলাদার পাভেল আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশ ও আমেরিকার বন্ধুত্বের সম্পর্কের বন্ধন দিন দিন আরো সুদৃঢ় হবে।’