প্রভাষক জাহিদ হাসান, নিজস্ব প্রতিবেদক:
আজ ঐতিহাসিক ১০ই মহররম হিজরী বছরের বিশেষ ফজিলতপূর্ণ এক দিন। এজন্যই রাসূল (সা) এই দিনে রোজা রাখার উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছেন। তিনি বলেছেন, “আশুরার দিনে রোজা রাখলে আগের এক বছরের গুনাহ মাফ হয়ে যায়।”
(সহীহ মুসলিম)
আরবি ‘আশারা’ শব্দের অর্থ দশ। আশুরা অর্থ দশম। আর মহররম অর্থ সম্মানিত। হিজরি ৬১ সনের ১০ মহররম সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে যুদ্ধ করতে গিয়ে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা)-এর দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসাইন (রা) এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা কারবালার প্রান্তরে ফোরাত নদীর তীরে নির্মমভাবে শহীদ হন। তাই পবিত্র আশুরা বিশ্বমুসলিমের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও শোকাবহ এক দিন।
মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীনের রহমতের আশায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ নফল নামাজ, রোজা, দান-খয়রাত ও জিকিরের মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করে থাকেন। শান্তি ও সম্প্রীতির ধর্ম ইসলামের মহান আদর্শকে সমুন্নত রাখতে হযরত ইমাম হোসাইন (রা) এর আত্মত্যাগ মানবতার ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে আছে। কারবালার এই শোকাবহ ঘটনা থেকে আমরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার এবং সত্য ও সুন্দরের পথে চলতে প্রেরণা পাই।
তাই আসুন, আমরা সবাই পবিত্র আশুরার গুরুত্ব উপলব্ধি করে আল্লাহ তায়ালার পথে ফিরে আসার চেষ্টা করি। মহান আল্লাহ পাক যেনো আমাদের সবাইকে এই বরকতময় দিনের ফজিলত হাসিল করার তাওফিক দান করেন- আমীন।