স্টাফ রিপোর্টার
কক্সবাজারের নুনিয়াছড়ায় সরকারী ১ নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত জমির উপর দিয়ে অবৈধভাবে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আবুল হোসেনের কবরস্থানের জমি দখল করে রাস্তা নির্মাণের ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ এবং জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন উত্তর নুনিয়াছড়াবাসী।
স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রাণ উৎসর্গকারী বীর শহীদের কবরস্থানে ইদানীং স্থানীয় একদল অসাধু ব্যক্তির দ্বারা চরম অপবিতা ও ধয়ংসযজ্ঞের শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সমাজ কমিটির সভাপতি নূর আহমদ ‘পুতু’ আলা উদ্দীন, আবু বকর, জাকের ও শামসুল আলম টিটুর নেতৃত্বে কিছু স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি কবরস্থানের উত্তরপাশে একটি অবৈধ রাস্তা নির্মাণ করছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, শ্রমিকরা কবরস্থানের মাটি কেটে টিনের বেড়া দিয়ে রাস্তা তৈরি করছে।
স্থানীয় মুসল্লীদের মতে, এই রাস্তার নিচে অসংখ্য কবর রয়েছে, যা শরীয়ত ও মানবিক মূল্যবোধের চরম লঙ্ঘন। পৃথিবীর এমন কোন নজীর নাই একটি কবরস্থান দখল হয়ে যেতে পারে রাতের আঁধারে। ধর্মপ্রাণ এলাকাবাসী এই কাজে চরম ক্ষুব্ধ এবং এটি ধর্মীয় ও সামাজিকতার জন্য হুমকি স্বরূপ।
খবর পেয়ে শহীদ আবুল হোসেনের কবরস্থানে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সদস্যরা যান এবং কবরস্থানের উপর অবৈধভাবে রাস্তা নির্মাণের দৃশ্য দেখতে পান। এই অবস্থায় স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রাণ উৎসর্গকারী শহীদের স্মৃতিতে নির্মিত কবরস্থানের উপর এমন অবৈধ রাস্তা নির্মাণের বিরুদ্ধে কক্সবাজার জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সদস্যগণ প্রতিবাদ ও চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে এবং স্থানীয় প্রশাসনকে এ ব্যাপারে অতি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক কবরস্থানের উপর অবৈধভাবে রাস্তা নির্মাণের কাজ বন্ধের জন্য হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সেই সাথে প্রতিবাদ জানিয়েছেন সাবেক মুক্তিযোদ্ধা জেলা কমান্ডার মোহাম্মদ আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের, শম্ভুনাথ পাল, নাছির উদ্দিন।
প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্ঠা, ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্ঠা ও জেলা প্রশাসক বরাবরে এলাকাবাসীর জোর দাবি, অবিলম্বে নির্মাণকাজ বন্ধকরত, কবরস্থানের উপর চলমান রাস্তা নির্মাণ অবিলম্বে স্থগিত করতে সরকারের আদেশ জারি করতে হবে। মুুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতকারী অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ, নূর আহমদ পতুু ও সংশ্লিষ্টদের নামে সরকারি সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্ত করার অপরাধে মামলা দায়ের করার দাবি জানান এলাকাবাসী।
তারা আরও দাবি করেন অবিলম্বে কবরস্থান সুরক্ষা, কবরস্থানের চারপাশে জরুরি প্রাচীর মেরামতকরণ ও “শহীদ স্মৃতিসৌধ” হিসেবে সরকারিভাবে ঘোষণা করা। সেই সাথে অবিলম্বে একটি সরকারী তদন্ত কমিটি গঠন করে বিষয়টির নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ।