অথই নূরুল আমিন
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, আজকে নতুন বাংলাদেশের এক বিপ্লবী রাজনৈতিক দল হিসেবে প্রচারণা চালিয়ে আসছে। এবং জুলাই বিপ্লবকে সামনে রেখে, তাদের সর্বজনীন প্রচার প্রচারণায় উৎসবমুখর পরিবেশ সর্ব জায়গায় গত কয়েক মাস ধরে দেখা যাচ্ছে।
এরই মধ্যে ৭ দফা দাবি নিয়ে সর্ববৃহৎ জাতীয় মহাসমাবেশের আয়োজন চলছে, অনুষ্ঠিত হবে, শহীদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১৯ জুলাই ২০২৫।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে ৭ দফা দাবি নিম্নরুপ : ১. সকল গণহত্যার বিচার, ২. প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার, ৩. জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন, ৪. জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারের পুনর্বাসন, ৫. পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান ৬. প্রবাসীদের ভোট প্রদানের ব্যবস্থা এবং ৭. লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতকরণ।
লক্ষ্য করলে দেখা যায়, জুলাই বিপ্লবের এক মহা সাক্ষী হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর উল্লেখিত ৭ দফা। যেন এক ঐতিহাসিক দলিল। আমি মনে করি বতর্মান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে যেসকল রাজনৈতিক দল গুলো জাতীয় বা স্থানীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। তাদের সকলের দাবিগুলো এরকম হওয়া খুবই জরুরি।
তবে কথা থাকে যে, বতর্মান সরকারের মনে কি ধরনের চিন্তা বা চেতনা আছে। তা এখনো স্পষ্ট নয়। বতর্মান সরকার না জনগণের। না তারা বিপ্লবী নেতাদের। এমন কিছু কিন্তু বুঝা যাচ্ছে না।
একটি প্রবাদ আছে সমাজে, সেই দাবিগুলো আদায় হয় না। যে দাবিগুলোর পক্ষে সেই আন্দোলন কারীরাই থাকেন না। আরেকটি প্রবাদ হলো, ঐক্যবদ্ধ না থাকলে যেকোন সময় শত্রু পক্ষের কাছে পরাজয়ের সম্ভাবনা থাকে বেশি।
জুলাই বিপ্লব বা জুলাই গণ আন্দোলন বা ছাত্র জনতার আন্দোলন যাই বলি না কেন। এখানে যাদের সবচেয়ে বেশি ভূমিকা আছে। কারো কম ভূমিকা আছে। এগুলো নির্ণয় না করে। বিতর্ক না করে। সকলে মিলেমিশে একটা সুন্দর নির্বাচন হোক। উপরে উল্লেখিত ৭ দফার প্রতি দেশের সকলের সমর্থন এবং সরকারের ভূমিকা থাকুক গুরুত্বপূর্ণ এই হোক প্রত্যাশা।
অথই নূরুল আমিন
কবি কলামিস্ট ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী।