এম.কে. জাকির হোসাইন বিপ্লবী
আমি রাজাকার,
কারন আমি দেশের পক্ষে কথা বলি,
আমি দূর্নীতির বিরুদ্ধে অবিরল যোদ্ধা
সত্যের পথে চলি।
তবুও আমি রাজাকার,
আমি সেচ্ছাসেবক দেশের তরে
নিঃশর্তে লড়াই করি,
হক- বাতিলের আন্দোলনে
কাওকে নাহি ডরি।
আমি গর্বিত রাজাকার,
আমি নিজের স্বার্থ বোঝি না কাকে বলে
শুনি রাজাকার গালি,
গোলাম আজমের সন্তান বলে
দিচ্ছে হাতে তালি।
একসময় আমি যখনেই শুনতাম
বলতো কেহ রাজাকার,
রাগাম্বিত কন্ঠে দিতাম জবাব
ঠিক নেই তোর বাপ দাদার।
এখন আমি নিরব,ক্ষুদ্ধ হই না কখনও!
গর্ববোধ করি যখনেই আমাকে
রাজাকার বলে দেয় গালি,
নিজামী মুজাহিদের বাচ্চা বলে
দেয় কেহ হাতে তালি।
প্রশ্ন যদি করো-
রাজাকার গালিতে কেনো হাসি নিরবে?
তাই তো বলছি শুনো,রাজাকার শব্দের মানে-
এক-সময় আমি মনে করতাম
রাজাকার মানে খারাপ।
রাজাকার মানে দেশদ্রোহী আর
ভিনদেশীদের পা চাঠা স্বভাব।
তখনে আমি বিরক্ত হতাম
রাজাকার শব্দ শুনে,
প্রতিবাদের আগুন জ্বলতো তখন
আমার অশান্ত মনে।
এখন আমি হাসি রাজাকার শব্দে
রাজাকার মানে দেশপ্রেমিক,
রাজাকার মানে সত্যের পথে
সংগ্রাম করে যায় নির্ভীক।
রাজাকার মানে দুর্নীতির বিরুদ্ধে
সর্বদায় সোচ্চার থাকা,
জনতার দাবি আদায়ে লড়াই করে রাজাকার
বন্ধ কেনো আয়ের চাকা।
রাজাকার মানে অত্যাচারের অত্যাচার থেকে
জাতিকে মুক্তি দেওয়া,
রাজাকার মানে ফাঁসির মঞ্চে
রাতের জয় গান গাওয়া।
রাজাকার মানে জালিমের মসনদে
প্রতিবাদের দাবানল জালানো,
অন্যায়ের পথে থাকা কুটি মানুষদের
সত্যের পথে ফেরানো।
এক সময় রাজাকার বুঝতাম খারাপ
এখন ভাবি রাজাকার ভালো,
দেশের তরে রাজাকার রাখে জীবন বাজি
ছড়িয়ে দিতে কুরআনের আলো।