স্টাফ রিপোর্টার:
বগুড়ার গাবতলী উপজেলার রামেশ্বরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব মন্ডল শুধু একজন জনপ্রতিনিধি নন, তিনি এই ইউনিয়নের রাজনৈতিক ইতিহাসের এক জীবন্ত কিংবদন্তি। তিনি রামেশ্বরপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং বর্তমানে গাবতলী উপজেলা বিএনপির শ্রম বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।
গাবতলীর রাজনীতি বর্তমানে দুইটি প্রধান গ্রুপে বিভক্ত। একটি গ্রুপকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন গাবতলী উপজেলা বিএনপির বর্তমান সভাপতি, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান, বগুড়া জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এবং বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাজাহানপুর) আসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা মোরশেদ মিলটন। অপরদিকে, আরেকটি শক্তিশালী গ্রুপকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন জাতীয়তাবাদী কৃষক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, বগুড়া জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্য হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু।
চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব মন্ডল শুরু থেকেই হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু গ্রুপের একনিষ্ঠ কর্মী ও ভরসার স্থম্ভ হিসেবে কাজ করে আসছেন। কিন্তু সম্প্রতি লালু গ্রুপের বর্তমান কমিটিতে তাঁর ন্যায্য মূল্যায়ন না করায় এলাকার নেতা-কর্মী ও সাধারণ জনগণের মাঝে ক্ষোভ ও হতাশা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক ত্যাগ-তিতিক্ষার পর এমন অবমূল্যায়নকে অনেকে “অন্যায়ের শামিল” বলেও অভিহিত করেছেন।
তাঁর হাত ধরেই অনেক নেতা-কর্মী রাজনীতির পাঠ শিখেছেন, আন্দোলন-সংগ্রামের চেতনায় উজ্জীবিত হয়েছেন। কিন্তু আজ দুঃখজনক হলেও সত্য, সেই একই মানুষদের কেউ কেউ পথ থেকে সরে গিয়ে নিজের অবস্থান পাল্টে ফেলেছেন। অথচ একসময় তাঁর ছায়াতলেই তারা বেড়ে উঠেছিলেন।
আজ অনেকেই বলছেন, তারা নাকি গাবতলীর বিএনপিকে আজম ও রবিন খানের হাত থেকে মুক্ত করেছেন। কিন্তু বাস্তব ইতিহাস বলছে—এই সংগঠনকে টিকিয়ে রাখার জন্য সবচেয়ে বড় অবদান যাঁর, তিনি হচ্ছেন আব্দুল ওহাব মন্ডল। তিনি না থাকলে গাবতলীতে বিএনপি আজ হয়তো অস্তিত্ব সংকটে পড়ত।
রাজনীতিতে ত্যাগের মূল্যায়ন না হলে হতাশা তৈরি হয়—এটাই এলাকাবাসীর কণ্ঠে ফুটে উঠছে। তাই দলীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান, আব্দুল ওহাব মন্ডলের মতো নিবেদিতপ্রাণ নেতা যেন তাঁর প্রাপ্য সম্মান ও মূল্যায়ন পান। কারণ, ইতিহাস বলে, একজন প্রকৃত নেতাই পারে দলের অস্তিত্ব রক্ষা করতে, যেমনটা করেছেন আব্দুল ওহাব মন্ডল।