সৌহার্দ্য বিশ্বাস সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, খুলনা থেকে বিজ্ঞান বিভাগ ক শাখা থেকে ২০২৫ সালে এসএসসি পরীক্ষা দেয়। পরীক্ষার পূর্বে সৈকত স্যার বাংলা এবং ইংরেজি গ্রামার বিষয় পড়াতেন। সৌহার্দ্য বিশ্বাসের পরীক্ষার পূর্বে বিভিন্ন সাজেশন সংগ্রহ করে নিজ দায়িত্বে শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দিতেন। এতে শিক্ষার্থী অনেক উপকৃত হত। এবং উৎসাহ দিতেন শিক্ষা জীবনে ভয় পেলে সফলতা অর্জন করা যায় না। এতে শিক্ষার্থী মনে সাহস পেয়েছিল। ১০ জুলাই সৌহার্দ্য বিশ্বাসের পরীক্ষার রেজাল্ট শুনে স্যার খুব খুশি হয়। সৌহার্দ্য বিশ্বাসের পিতা-মাতা স্যারের দায়িত্ব কর্তব্য দেখে খুবই আনন্দিত। আজ আবার সৌহার্দ্যের রেজাল্টের খুশিতে সৌহার্দর ছবি যুক্ত করে একটি সম্মাননা স্মারক তৈরি করে উপহারস্বরূপ সৌহার্দের হাতে তুলে দিয়ে অভিমত ব্যক্ত করেন আজকের নবীন আগামী দিনের ভবিষ্যৎ হবে। আজ যে সফলতা অর্জন করেছে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। তাই আনন্দের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে এই সম্মান স্মারক তুলে দেওয়ার মূল উদ্দেশ্য। আমি আশাবাদী এই সম্মাননা স্মারকই সৌহার্দ্যকে পরবর্তী পরীক্ষায় ভালো ফলাফল পেতে সহযোগিতা করবে। সেই উদ্দেশ্য নিয়ে আজ এই সম্মাননা স্মারকের মাধ্যমে তাকে অভিনন্দন জানাই। স্যারের হাত থেকে এই প্রাপ্তি অর্জন করে সৌহার্দ্য খুবই আনন্দিত হয়। এবং স্যারকে প্রণাম করে আশীর্বাদ চাই আমি যেন আপনার এই সম্মাননা স্মারকের সম্মান রাখতে পারি । এ সময় সৌহার্দ্যর পিতা মাতা স্যারকে মিষ্টিমুখ করিয়ে ধন্যবাদ জানায় তার এই মহতী উদ্যোগের জন্য। সৌহার্দ্যর পিতা একজন চিত্রশিল্পী। খুলনা আর্ট একাডেমি একাডেমি প্রতিষ্ঠা করে দুই যুগের বেশি শিশুদের নিয়ে কাজ করেন।তার দৃষ্টিতে উক্ত বিষয়টি একজন শিক্ষার্থীর জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি। কারণ শিক্ষকের কাছ থেকে উপহার হিসেবে কোন কিছু অর্জন করা শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ সেই বিষয়ে আরো সুনাম অর্জিত হয়। আমাদের সমাজে এ ধরনের শিক্ষকদের শিক্ষার্থীদের নিয়ে চিন্তাভাবনা অত্যন্ত প্রশংসনীয় বলে মনে করেন চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস।