নয়ন আহমেদ, ভেড়ামারা প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার চাঁদগ্রাম ইউনিয়নের কোদালিয়া পাড়া গ্রামের মোঃ আবু নেছার উদ্দীন (৫০) এক পাষণ্ড পিতার বিরুদ্ধে মেয়ের সংবাদ সম্মেলন। মেয়ে তাফরিহা খাতুন নাইমা বলেন, আমার পিতা আবু নেছার উদ্দীন দীর্ঘদিন ধরে আমাকে শারিরীকভাবে ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছে। গত ইং-১০/০৬/২০১৯ তারিখ আমার নবম শ্রেণীতে পড়াশোনা চলমান অবস্থায় মোঃ আবু নেছার উদ্দীন আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে অপ্রাপ্ত বয়সে জোরপূর্বকভাবে একজন দুঃচরিত্র বয়স্ক ব্যক্তির সহিত বিবাহ দেয়। আমি অপ্রাপ্ত বয়স্কা নবম শ্রেণীর একজন শিক্ষার্থী হয়ে লম্পট প্রকৃতির বয়স্ক একজন পুরুষের সংসার করতে রাজি না থাকলে, আমার উপরে তাদের অমানবিক শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেয়। অসহনীয় শারিরীক ও মানসিক অত্যাচারে আমি দিশেহারা ও নিরুপায় হয়ে ইতঃপূর্বে সেখান থেকে একাধিকবার পালানোর চেষ্টা করি। অনুমান ০৫ (পাঁচ) বছর পূর্বে লেখাপাড়া ও আমার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ জীবনের কথা চিন্তা করে আমি বাধ্য হয়ে আমার অপছন্দনীয় বয়স্ক সেই লম্পটকে তালাক প্রদান করি। পরবর্তীতে প্রাণভয়ে আমার মায়ের পেটের একমাত্র বড় বোন মোছাঃ রুকাইয়া খাতুন (২৫) এর বাড়িতে আমি নিজ ইচ্ছায় আশ্রয় গ্রহণ করি। আবু নেছার উদ্দিন ও ফাহিমা খাতুন পরস্পর যোগসাজসে আমার উপরে নির্যাতন করার চেষ্টা চলমান রাখলে আমার বোন রুকাইয়া এর মাধ্যমে জীবনের নিরাপত্তা বিবেচনায় ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের শরণাপর্ণ হই। উল্লেখিত ঘটনার বিষয়ে, আবু নেছার উদ্দিন ও ফাহিমা খাতুন অমানবিক নির্যাতনের বিষয়ে স্থানীয়ভাবে প্রামানিত হওয়ায় এবং আমার পড়াশোনা সহ সার্বিক নিরাপত্তা বিবেচনায় বিগত ইং-১৩/১১/২০২০ তারিখ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ আমার ইচ্ছা অনুযায়ী আমার বোন মোছাঃ রুকাইয়া এর বসত বাড়ির ঠিকানায় আমাকে বসবাস করার পরামর্শ দিয়ে তাহা লিখিতভাবে অঙ্গিকারবদ্ধ করে। আমি দীর্ঘ অনুমান ০৫ (পাঁচ) বছর সময় ধরে আমার বোনের বসত বাড়ির উল্লেখিত ঠিকানায় নিরাপদে বসবাস করে উজ্জল ভবিষ্যৎ জীবনের আশায় পড়াশোনায় মনোযোগী রয়েছি। তথাপি এরই ধারাবাহিকতায়, ইং-০৮/০৭/২০২৫ তারিখ দুপুর অনুমান ১২.৩০ ঘটিকার সময় বিবাদীগণ ভেড়ামারা থানাধীন কাঠেরপুলস্থ আমার বোন রুকাইয়া এর মিনারা কম্পিউটার নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে এসে আমার কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কার্য চলামান অবস্থায় অশ্লীলভাষায় গালিগালাজ প্রদান করতে থাকে এবং আমাকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার হুমকি প্রদান করে। তাফরিহা খাতুন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, পৃথিবীতে আমার জন্য কোন নিরাপদ স্থান যদি থেকে থাকে তাহলে আমার বড় বোন মোছাঃ রুকাইয়া, আমি তার কাছে থেকে আমার লেখাপড়া শেষ করতে চাই। এতে যত বাধাই আসুক না কেন আমি তার মোকাবেলা করব ইনশাআল্লাহ, আমি এখন প্রাপ্তবয়স্ক একজন নারী। আমার নিজের জীবনের ভালো-মন্দ সিদ্ধান্ত নেওয়ার সম্পূর্ণ অধিকার আমার আছে। তাই আমার ভালো-মন্দ সিদ্ধান্ত আমি নিতে পারি।