লেখকঃ দেবিকা রানী হালদার
কেমন আছো বাংলাদেশ
জানি, তোমার দুঃখের নেইকো শেষ!
জাতির জনকের মাজার আক্রান্ত
তোমার দূঃখ কেমনে হবে ক্ষান্ত ?
বাংলাদেশের টাকায় কেনা অস্ত্র ১৯৭১ এর কায়দায় বিদ্ধ হয় বুলেট, গোপালগঞ্জ বাসীর বুকে, মৃত্যু নিশ্চিত করতে বুট জুতার আঘাত বুকে! এত দৃশ্য পাকিস্তান হানাদার বাহিনীকে ও হার মানিয়েছে! মৃত্যু লাশ দু’জনে দু হাত ধরে পাক হানাদারদের মত টেনেহিঁচড়ে নেয়া পাকিস্তান সেনা বাহিনীর কর্মের পুনঃ অবলোকন করলো বাঙালি জাতি! ১৯৭১ সালের পরাজিত শক্তিকে ক্ষমতায় বসাতে সেনাপ্রধানকে আস্থায় রেখে সরকার অনেক নাটক মঞ্চায়ন করেছেন! বাংলাদেশ টা কে ১৭৫৭ সালে লর্ড ক্লাইভের হাতে তুলে দেয়ার মত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে! সেন্ট মার্টিন, চিটাগং সমুদ্র বন্দর, মানবিক করিডোর,
মার্চ টু গোপালগঞ্জ, বঙ্গবন্ধুর মাজার ভাঙার প্রচেষ্টা, ৩২ নাম্বার ধানমন্ডির বাড়ি ভাঙা, মুজিব মুরালি ভাঙা, গন ভবন লুট সবই সেনাপ্রধান দাড়িয়ে দাড়িয়ে অবলোকন করলেন, এটা একধরনের সহযোগিতা।
সেখানে সেনারা গুলি ছুড়লো না, গুলি করতে হলো গোপালগঞ্জে ভ্যান চালকের উপর, নিরীহ গোপালগঞ্জ বাসীর মায়ের বুক খালি করতে?
নির্লজ্জের মত একটা টোকাই পার্টিকে
পুলিশ RAB সেনাবাহিনী মিলে তিন বাহিনীর পাহারায় রাজনৈতিক দলের সভা করাতে হবে? এমন হাস্যকর বিষয় সেনাপ্রধান সায় দিলেন কেন? নিরীহ জনগন হত্যা করতে তো পুলিশ বর্ডার গার্ড R A B যথেষ্ট ছিলো, তাহলে সেনাপ্রধান জড়ালেন কেন, তিনি ডঃ ইউনূসের কতটা বিশ্বস্ত হতে এমন করলেন? শেখ হাসিনার উপর আর কত ক্ষোভ জমা আছে তার আত্মীয় পরিচয়ে চাকুরী পাওয়া মানুষ গুলোর?
বাংলাদেশ তুমি নিশ্চয়ই আশ্চর্য হচ্ছো এমন নাটক দেখে? এই নাটকের আসল নাটেরগুরু কে? স্ব সশস্ত্র বাহিনী বার-বার জনগনের আশার স্থল হচ্ছে আবার তলে তলে সব জায়গায় তারাই বড় সমর্থক। গোপালগঞ্জ K I L L I N G
সেনা প্রধানের স্বতস্ফুর্ত হত্যার নারকীয়তায় অংশগ্রহণে জনগনের মোহ ভেঙেছে! তারা বুঝে ফেলেছে, কে এ সরকার কে টিকিয়ে রেখেছে, গোপালগঞ্জ কার শত্রু, টুঙ্গিপাড়া মাজার ভাঙ্গার এজেন্ডা কার কার মহৎ উদ্দেশ্য!
একা ড. ইউনূসের নাকি আর-ও কেউ মদদ দাতা! কখনও দেশ দরদী সাজা আবার কখন ও দেশের ইতিহাস ঐতিহ্য মুছে দেয়ার তালিকা মত কাজ এগিয়ে নিতে কে মদদ দিচ্ছেন!
আসলে কি ড. ইউনূস ও সেনাপ্রধান দ্বৈত মতের নাকি একই মতাবলম্বিনী তা গোপালগঞ্জ কিলিং এর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহন পরিষ্কার করেছে! হায়রে হতভাগ্য দেশ!
নবাব সিরাজুদ্দৌলার হত্যা, টিপু সুলতানের হত্যা, বঙ্গবন্ধু হত্যা, শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগ ও বঙ্গবন্ধু কে মুছে দেয়ায় দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর দায়িত্ব কি যথাযথ পালিত হয়েছে, সে বিচারের ভার আমি সৃষ্টি কর্তার উপর ছেড়ে দিলাম, ছেড়ে দিলাম সেই আল্লাহর প্রিয় বান্দা বাংলাদেশের জনগনের উপর! যাদের বার-বার বোকা বানিয়ে বাংলাদেশ নামক গর্ভধারিণী মাতাকে প্রতারিত করা হয়! ঘষেটি বেগম কে নৌকা ডুবিয়ে, মীর জাফর কুষ্ঠরোগে মীর কাশিম পাগল হয়ে মৃত্যু বরন প্রমান করে, সৃষ্টি কর্তা ছাড় দেন ছেড়ে দেন না!
গোপালগঞ্জের বারো বছরের কিশোর কে নির্যাতন ও গ্রেফতার বৃথা যাবে তা ভাবতে পারি না!
হে বাংলাদেশ, তোমার দূঃখের নাইকো শেষ! সয়ে যাও, তুমিও দেখবে বাংলার পতাকা কামড়ানো হায়েনার পরিনতি!