স্টাফ রিপোর্টার:
স্বাস্থ্য সেবা জনগনের দৌড়গোড়ায় পৌঁছে দেবার জন্য সুনামগঞ্জ তাহিরপুর হাওরাঞ্চলের বিভিন্ন গ্রামের পাশে তৈরি করা হয় কমিউনিটি ক্লিনিক। কিন্তু ক্লিনিক থেকে গ্রামে বা মুল সড়কে উঠার কোনো সংযোগ সড়ক তৈরী করা হয়নি। ফলে কাংখিত চিকিৎসা সেবা থেকে বর্ষার সময় বঞ্চিত হচ্ছে সকল বয়সের মানুষ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,জেলার তাহিরপুর উপজেলার দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়ন বড়দল গ্রামের পাশে ২০২২ সালে একটি কমিউনিটি ক্লিনিক তৈরী করা হলেও কোনো সংযোগ সড়ক নেই। এ কারনে শুকনো মৌসুমে মাটির সড়কে পায়ে হেটে আসতে পারলেও বর্ষায় আসার কোনো সুযোগ নেই। শুধু এই ক্লিনিক এই নয় জেলার হাওর বেষ্টিত বিশ্বম্ভরপুর,তাহিরপুর, জামালগঞ্জ,মধ্যনগর,ধর্মপাশাসহ বিভিন্ন উপজেলায় স্থাপিত বেশির ভাগ ক্লিনিক গুলো আসা যাওয়ার জন্য সড়ক নেই। ফলে শুষ্ক মৌসুমে পায়ে হেটে চলাচল কোনো রখমে করতে পারলেও বর্ষায় যাতায়াতের সুযোগ নেই। সে কারনে চিকিৎসা সেবা নিতে পারছেন না মানুষজন। ক্লিনিকে যেতে হলে নৌকা নিয়ে যেতে হচ্ছে। এতে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা লোকজন।
সম্প্রতি জেলার তাহিরপুর উপজেলার বড়দল কমিউনিটি ক্লিনিক কে বর্ষায় চলাচলের জন্য দেড় লাখ টাকা ব্যায়ে বাঁশের চাটাই দিয়ে সংযোগ সড়ক তৈরী করা হলে তা স্থায়ী নয়। এই টাকায় মাঠির সড়কেই নির্মান করার সুযোগ ছিল। পরিকল্পিত ভাবে দেড় লাখ টাকা ও এর সাথে আরও বরাদ্দ বাড়িয়ে অথবা স্থানীয় ব্যবসায়ী ও ইউনিয়ন পরিষদ থেকে টাকার পরিমান বাড়িয়ে স্থায়ী সমাধানের উদ্যোগ নিলে সবার জন্যই উপকার হতো বলে জানিয়েছেন এলাকার ভুক্তভোগী ও সচেতন মহল।
বড়দল গ্রামের বাসিন্দাগন জানান,বাঁশের চাটাই দিয়ে সংযোগ সড়ক তৈরী করা হয়েছে তা স্থায়ী কোনো সমাধান নয়। তিন মাস পরেই পানি শুকিয়ে যাবে। শুকনো মৌসুমে তা কোনো কাজে লাগবে না,যা অর্থের অপচয়। যে টাকা দিয়ে বাঁশের চাটাই দেয়া হয়েছে সে টাকার সাথে বরাদ্দ বাড়িয়ে শুকনো মৌসুমে মাটির সড়ক নির্মান করা হলে সড়কটি স্থায়ী হত সবার উপকার হত সারা বছরেই।
অবসরপ্রাপ্ত তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক বিকাশ রঞ্জন সরকার বলেন,বর্ষা ৬ মাস বড়দল নয়াহাটি কমিউনিটি ক্লিনিক পানি বেষ্টিত থাকায় সেবাদাতা ও সেবা গ্রহিতাদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য ইউএনও স্যার, তাহিরপুর, সুনামগঞ্জ কর্তৃক বরাদ্ধকৃত ১৫০০০০ টাকায় নির্মিত বাঁশের সাঁকো/চাটাই।
সাঁকোটি এ বৎসর বর্ষা মৌসুমে সংশ্লিষ্টদের যাতায়াত সুবিধা দিলেও বর্ষা পরবর্তি শুকনা মৌসুমে এটি নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভবনাই বেশি।
তাই আগামী শুকনা মৌসুমে সেবাদাতা ও সেবা গ্রহিতার সুবিধার্থে একটি স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হলে এলাকাবাসী সহ আমরা আরও বেশি উপকৃত হব।
এই বিষয়ে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হাসেম জানান,ক্লিনিকের সাথে গ্রামের মানুষ আসা যাওয়া করতে পারে না তাই গ্রামের মানুষদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বাঁশের চাটাইয়ের ব্যবস্থা করে দেয়া হয়েছে,যেন বর্ষায় তারা ক্লিনিকে গিয়ে চিকিৎসা সেবা নিতে পারে।