স্টাফ রিপোর্টার:
চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া থানার এবিএম সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী পটিয়ার বুধপুরার ইউসুফ সওদাগরের পুত্র মো. কাইছ বর্তমানে চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানাধীর মাত্র কয়েকশত গজ দুরে ফেন্সী টেইলার্সের বিপরীতে বার্মা রাজু হোটেলের দ্বিতীয় তলা থাকেন। অথচ তাকে প্রেফতার করা হচ্ছে না। সংশ্লিষ্টদের প্রশ্ন- বিগত ফ্যাসিস্টের দোসর খুনি মো. কাইছের খুঁটির জোর কোথায়? ওয়ারেন্ট থাকার পরও কেন তাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না
কেন সে প্রকাশ্য ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
খুনের ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী
মো. কাইছ এখন মামলার বাদী মো. আবুল কাশেমকে হুমকি ধামকি দিচ্ছে যে, আগামী ১০ দিনের মধ্যে মামলা তুলে না নিলে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলবে এবং বাদীর পরিবারের সদস্যদের অপরহণ করবে। এ ঘটনার ফলে বাদী তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় দিন পার করছে। হত্যা মামলার বাদী আবুল কাশেমের দাবি, তার ভাইয়ের আত্মার শান্তি ও ন্যায় বিচারের জন্য আসামীকে দ্রুত গ্রেফতার করে আদালতে নেওয়া হোক।
চেক জালিয়াতী সহ বহু অপকর্মের হোতা,
বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের দোসর ধুরন্ধর মোঃ কাইছ সাম্প্রতিক বোল পাল্টিয়ে নিজেকে বিএনপি এর নেতা পরিচয় দিয়ে তার অপকর্ম হতে পরিত্রাণ পাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এতদ বিষয়ে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক মোঃ ইদ্রিস মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন মোঃ কাইছকে আমি চিনিনা এবং তিনি বিএনপির কোন পদ পদবীতে আছে বলে আমার জানা নেই।
জানা যায়, ২০২২ সালের ২২ এপ্রিল রাত পৌনে ১০টার দিকে পটিয়া থানাধীন কালিয়াইশ ইউনিয়ন পরিষদের বুধপুরা বাজারের নিমতা আউলিয়া মাজার গেইট সংলগ্ন জাহাঙ্গীরের মুদির দোকানের সামনে মো. কাইছ অজ্ঞাতনামা সহযোগীদেরকে সাথে নিয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র দিয়ে এবিএম সোহেল চৌধুরীকে এলোপাতাড়ি মেরে আহত করে। একপর্যায়ে মো. কাইছ তার হাতে থাকা ছোরা দিয়ে সোহেল চৌধুরীর পেটে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। পরবর্তী এবিএম সোহেল চৌধুরী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
এ বিষয়ে আবুল কাশেম পটিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
পটিয়া থানার মামলা নাম্বার ৪০(০৪) ২০২২ ইং ধারা ৩০২ দন্ড বিধি।
মামলার তদন্তকারী অফিসার মামলাটি তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করলে আদালত আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। কিন্তু তৎকালীন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাব বিস্তার করে আসামী প্রশাসনের আড়ালে নিজেকে লুকিয়ে রাখে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা করলে দলীয় পরিচয় দিয়ে প্রশাসনকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ও হুমকি দিয়ে বেঁচে যান মো. কাইছ।
জানা যায়, ২০২৪ সালের ১৫ নভেম্বর সকাল ১০টার সময় কোতোয়ালী মোড়ের ফেন্সী টেইলার্সের সামনে পাকা রাস্তার উপর আবুল কাশেমকে দেখে মো. কাইছ কিভাবে পুলিশ দিয়ে তাকে গ্রেফতার করে, তা দেখে নিবে বলে হুমকি দেয়।
আবুল কাশেম বলেন, ‘এভাবে বিবাদী ২০২৪ সালের ১৫ নভেম্বর হতে বিভিন্ন সময়ে আমাকে নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। তাছাড়াও, গত ঈদুল আজহার সময় আমি গ্রামের বাড়ীতে গেলে মো. কাইছ তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আমাকে মারধর করার জন্য উদ্যত হয়। হুমকি দিয়ে মো. কাইছ বলেন, ‘দ্রুত মামলা প্রত্যাহার করে না নিলে আমাকে এখানে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলবে এবং আমার পরিবারের সদস্যদের অপরহণ করবে।’
এ ঘটনার ফলে মামলার বাদী আবুল কাশেম ও নিহতের স্ত্রী এবং দুই শিশু সন্তান সহ তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় দিন পার করছে।