স্টাফ রিপোর্টার
ফ্যাসিস্ট ও আধিপাত্যবাদমুক্ত, বৈষম্য হীন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর একটি ঐক্যবদ্ধ প্লাটফরম গঠনের উদ্দেশ্য ৮৫টি রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে মতবিনিময় ও মুক্তালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ঢাকার পুরানা পল্টনস্থ একটি রেস্তোরাঁয় এ সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় নেতৃবৃন্দ ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন, ঐক্যবদ্ধ নির্বাচন, ঐক্যবদ্ধ সরকার- এই তিন মূলনীতি এবং জুলাই সনদ ঘোষণা, রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সংস্কার ও সব গণহত্যার বিচার- এই দফা দাবির ভিত্তিতে ‘জাতীয় ঐক্যজোট’ নামে নতুন রাজনৈতিক জোট গঠনের সিদ্ধান্তে উপনীত হন।
বাংলাদেশ স্বাধীনতা পার্টির চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন খানের সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ মুসলিম সমাজের চেয়ারম্যান মাসুদ হোসেনের পরিচালনায় সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদি গোষ্ঠীর পলায়নের পর জনগণের বুকে নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন লালিত হয়। এই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য রাষ্ট্রের সংবিধানিক সংস্কার প্রয়োজন। শাপলা চত্বরসহ জুলাই-আগস্টের গণহত্যার দ্রুত বিচার সম্পূর্ণ করা, জুলাই সনদ ঘোষণা ও বাস্তবায়ন প্রয়োজন।’
নেতৃবৃন্দ ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস স্থাপনের তীব্র বিরোধিতা করেন ও আগামী নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হওয়ার পক্ষে মতামত ব্যক্ত করেন।
সভায় বক্তব্য রাখেন ইসলামী মহাজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আলতাফ হোসেন, ইসলামি ঐক্য জোটের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা শওকত আমিন, বাংলাদেশ জনতার ফন্টের চেয়ারম্যান আবু আহাদ আল মামুন, বাংলাদেশ গণ আজাদী লীগের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খান, বাংলাদেশ জাস্টিস অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট পার্টি চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন, জনজোটের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল মিয়াজী, বাংলাদেশ ইসলামী দলের চেয়ারম্যান মাওলানা শামসুল হক খান, বাংলাদেশ নেজামে পার্টির মহাসচিব আব্দুল মোমেন, বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মজুমদার, বিএনজেপির চেয়ারম্যান আবু আহাদ নূর, দেশ প্রেমিক নাগরিক পার্টির চেয়ারম্যান আহসানুল্লাহ শামীম, ইসলামী সমাজতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার হাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের নেতা আব্দুল আলিম, বাংলাদেশ মানবাধিকার আন্দোলনের চেয়ারম্যান খাজা মহিবুল্লাহ শান্তিপুরী, মুভমেন্ট ফর প্যালেস্টাইন আহ্বায়ক হারুন অর রশিদ খানম, বাংলাদেশ জাস্টিস ফর মুভমেন্টের মহাসচিব ড. নাজিম উদ্দিন।