লেখকঃ ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম
বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, “হে বঙ্গ জননী, সাড়ে সাতকোটি বাঙালিরে তুমি রেখেছো বাঙালি করে মনুষ করোনি!” বাঙালি একটা আহম্মক জাতি তা বুঝে তিনি একবার বলেছিলেন, “পুনঃ জন্ম যদি থাকে তা হলে তুমি আমাকে বাংলায় পাঠিও না!”
গ্রীস দার্শনিক “গোখলে” বলেছিলেন, “বাঙালি যা আজ ভাবে সারা ভারত তা বুঝতে পারে এক সপ্তাহ পরে!” অর্থাৎ Lag of other nation in India than that of Bengali nation he estimated! স্মর্তব্য, ভারতে প্রায় ৩ হাজার জাতি ও ২৫ হাজার উপজাতি আছে যেমন ব্যাধ বেদে মুচি বাগদি ডোম মেথর সাওতাল নাপিত সাপুড়ে মুদ্দা বুরমো বাহারি ইত্যাদি! এত জাতির ভিতর তিনি বাঙালি কে জ্ঞানী মনে করেছেন! কিন্তু রবীন্দ্রনাথ তাদের কার্যকলাপে আহাম্মক ফলাফল পেয়েছেন!
রবীন্দ্রনাথ সঠিক বুঝেছিলেন কারন যে জাতি তার দেশ যখন ১৭৫৭ সালে ক্লাইভের হাতে তুলে দেয়া হয় তখন ও বাঙালি সহ সবাই নবাব সিরাজুদ্দৌলার ই দোষ দেখে ছিলেন, তাকে উপহাস করে ছিলেন! লর্ড ক্লাইড দেশ নিলো, বৃটিশ পরাধীনতায় দেশ গেলো তা তাদের মুখ্য বিষয় ছিলো না, “সিরাজুদ্দৌলাকে” তাড়াতে পেরেছি তা ছিলো তাদের আনন্দ!” পরাধীন দেশে খানবাহাদুর রায়বাহাদুর খেতাব নিয়ে গোফে তা দিতেন! এখন ও সেই title of Dynasty গর্ব যায় নাই শেখ সৈয়দ মোগল পাঠান কাজী মির্জা বংশ গুলোর থেকে!
প্রিয় পাঠক, ডোনাল্ড লু:এবং উজরা জেয়া পাকিস্তানের ইমরান খান, শ্রীলঙ্কার রাজকাপষ কে ধূলোয় ফেলে যখন ভারত হয়ে বাংলাদেশে এলেন তখন লু হাওয়ায় “হাসিনার” ও চিৎপটাং হয়ে যাওয়ার কথা ছিলো কিন্তু “নরেন্দ্র মোদির” অনুরোধে পিটার হাস, ডোনাল্ড লু, উজরাজেয়া থেমে গেলেন, ভারত শুধু বলেছিলো, ‘হাসিনা ছাড়া অন্য দল ক্ষমতায় এলে মৌলবাদী মাথাচাড়া দেয় এবং আমার দেশে দু’দিক থেকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয় সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায়, যা ভারত কে অস্হির করে তুলে!”
বাইডেন প্রশাসন পথ পরিবর্তন করলেন, গার্মেন্টস কোঠা বাড়ালেন, ভারত কে খুশি রাখলেন, শুল্ক ফ্রী রপ্তানি বাড়ালেন, চীনের কাছেকাছি গার্মেন্টস রপ্তানী কোঠা তুলে দিলেন! বাইডেন স্যার সেলফি তুললেন, ব্যাস আমরা নিশ্চিত ঘুম দিলাম, কিন্তু ততদিনে হাসিনা বিরোধী গোষ্ঠী কে ২৯ মিলিয়ন অর্থ দিয়ে পরিকল্পনা তথ্য প্রযুক্তি পাকিস্তানের সাথে লিয়াজু করে ফেলা হলো! সারা বিশ্ব যখন ঘুমায় আমেরিকার সিআইএ তখন পরিকল্পনা করে দেশ দখলের! এই ২৯ মিলিয়ন প্যাকেজের ভিতর কারা জড়িত পুলিশ হেড, গোয়েন্দা হেড, RAB হেড নাকি খোদ শেখ হাসিনার উপদেষ্টারা তা তিনি খোঁজ রাখার প্রয়োজন বোধ করলেন না! তিনি স্বভাব সুলভ ভঙ্গিতে কয়েক বছরের কোটা আন্দোলন কে মুক্তি যোদ্ধা বিরোধী বলে চালালেন, অথচ উপজাতি কোঠা পশ্চাৎপদ নারী কোঠা জেলা কোঠা সব মিলে ৬০/৬৫ % চলে গেলে সারা দেশে এত সাধারন ছাত্ররা সত্যি ই বৈষম্যের শিকার হয় যা নিয়ে অনেক আগেই মিটমাট হতে পারতো!
এখন কি হচ্ছে। শেখ হাসিনা হেলিকপ্টারে করে দেশ ত্যাগ করলেন! একটা গুলিও তার জন্য খরচ হবে না ছিলো ভালো পদক্ষেপ কিন্তু গনভবন লুট, প্রায় ৬০০ পুলিশ হত্যা, ৩২ নাম্বার ভাঙা, মুজিব রবীন্দ্রনাথ স্ট্যাচু সহ মুক্তি যুদ্ধের স্মৃতি স্ট্যাচু অবাদে ভাঙতে দেয়া, অনিবন্ধিত দল কে প্রটেকশনে মানুষ গুলি করে মারা, সন্ত্রাসী আদালত হয়ে জামিন এসব দারুন বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে! তবে করিডর দেয়া, সেন্ট মার্টিন পরিবেশ রক্ষা বা প্রবাল রক্ষা অনেক টা আহম্মক বুঝানো!
সদ্য সন্ত্রাসী নিয়ে ট্রাম্প স্যারের উতলা এবং সন্ত্রাস দমনে সহায়তা সৈন্য পাঠানো প্রস্তাব, করিডরের প্রথম স্টেপ ফুলফিল আর কি?
মজার কথা টাকা পাচার কি এখন হয়, বসুন্ধরা গ্রুপ, এস আলম গ্রুপ, ইত্যাদি একদম নির্দোষ কেন কোন মেডিসিনে এলার্জি কমলো, ডেসটিনি মালিক রফিক সাহেবের জামিন সহ অনেক বিষয় ভাববার আছে!
রবীন্দ্রনাথের সে বাঙালি যারা রোজ ডঃ ইউনূসের পদত্যাগ স্বপ্ন দেখেন এবং সেনাপ্রধান ক্ষমতা নিয়ে নিছেন গুজব রটায় তারা রবীন্দ্রনাথের বাঙালি আহম্মক। ইউনূস স্যার কেন, পুরা উপদেষ্টা পরিষদ একদিন সে দেশে চলে যেতে পারেন যে দেশ থেকে তারা এসেছেন! পাক অস্ত্র কম সরবরাহ হয় নাই, আপনারা গৃহযুদ্ধ করবেন, মার্কিন সেনারা শান্তি বাহিনীর কাজ করবেন! ব্যাস, মানবিক করিডোর তো আছে। আপনি ইরাক সিরিয়া গাজা হয়ে গেলেন! এদিকে নির্বাচন নির্বাচন খেলা ততদিন চলবে যতদিন এসব গুজ গাছ হতে সময় লাগবে! বিএনপি হাসিনা কে স্বৈরাচার তৈরি করেছে তত্বাবধায়ক সরকার নষ্ট করার মত পরিবেশ করে দিয়ে। হাসিনা কে তাদের টেনে নামানোর দরকার ছিলো যা করতে তারা ব্যর্থ অথচ আওয়ামীলীগ দ্বিতীয় বার খালেদা জিয়া ভোটার বিহীন নির্বাচন করে প্রধান মন্ত্রী হলে তাকে টেনে নামিয়ে ছিলো! ১৫ বছরের স্বৈরাচার সরকার বিরোধী দলের মিটিং এ গ্রেনড মারে নাই, আন্ডার গ্রাউন্ড ওয়ার্ল্ড সম্রাট দাউদ ইব্রাহিমের সাথে মিটিং করে নাই, খালেদা কে মারার জন্য ইসরায়েলের মোসাদ প্রধানের সাথে পরামর্শক পাঠায় নাই, ভারত এক হাতে অন্য হাতে চীন এবং মাথায় আমেরিকা নিয়ে চলেছে !
আপনাদের মনে আছে? নবাব সিরাজুদ্দৌলা হত্যার পর মীর জাফর কে যখন লর্ডক্লাইভ হাত ধরে সিংহানে বসাচ্ছিলেন তখন মীর জাফর বলেছিলেন, “আসুন না সাহেব মিলেমিশে কুরসি তে বসি!
মীর জাফর আরো বলেছিলেন লর্ড ক্লাইভের দিকে তাকিয়ে ” ভয় পাবেন না সাহেব নিশ্চিন্তে ব্যবসা বানিজ্য করেন, লর্ড ক্লাইভ তখন উত্তর দিয়েছিলেন, “ভয় পাবো কাকে, যে নবাবের প্রধান সেনাধ্যক্ষ ‘বিশ্বাসঘাতক” সে সরকার আর তার জাতিকে ভয় পাবার কি আছে?
সত্যি বলা এবং লেখা দোষের, সত্যি বলবেন, বুঝবে দুই পারসেন্ট আর বাকী ৯৮%
আপনাকে লেখক ভাববে না, স্বৈরাচারের দোষর বানায় দেবে! জুলাই আন্দোলন ছিলো ভর্তি কোঠা চাকুরী কোঠা নিয়ে আন্দোলন যা অপরিনামদর্শী নির্বোধ শাসক ঠিকমতো হ্যান্ডেল না করতে পারায় দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্র কারীরা সুযোগ নিয়েছে মার্কিন ২৯ মিলিয়ন ফুয়েল ঢেলেছে এবং এখন ও হতদরিদ্র হওয়ার পথে দেশ সে পরিকল্পনা ও এদেশের না!
ভালো থাকেন সুস্থ থাকেন নিজ দেশকে ভালোবাসেন।