সাইফ উল্লাহ, স্টাফ রিপোর্টার:
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা বেরিকান্দী গ্রামবাসীর প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্টিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দুপুর ১২ টায় বেরিকান্দী গ্রামবাসী প্রতিবাদ সভা আয়োজন করেন। প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, ভূক্তভোগী মোস্তাকিম, রফিকুল চৌধুরী, লিটন মিয়া, নজরুল ইসলাম, জিয়াউর রহমান, অনিক, শাহজাহান, দেলোয়ার হোসেন তালুকদার প্রমূখ। বক্তারা বলেন, অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে সুবিচার প্রার্থনা করেন। জানাযায়, উপজেলায় পাইকুরাটি ইউনিয়নে ৯ নং ওয়ার্ডের ভুক্তভোগী মো: মোস্তাকিম (২৪) পিতা মৃত মোখলেসুর রহমান শান্ত গ্রাম:বেরিকান্দি গত ২৬/০৭/২০২৫ ইং রোজ শনিবার পাইকরাটি গাছতলা বাজার হইতে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হইলে জিংলীগড়া বেরিকান্দি রাস্তার মাঝামাঝি আনুমানিক বেলা ৬ ঘটিকার সময় জিংলীগড়া গ্রামের রেজাউল করিম (২৫) পিতা মৃত আরোজ আলী, আশরাফুল (১৯) পিতা লাল ধন, মুজাহিদ ( ১৮) পিতা বাবুল মিয়া একই ইউনিয়নের সর্বসাং জিংলিগড়া। মাদকদ্রব্য সেবন করে রাস্তার মাঝে ওই হুল্লা চিৎকার শুরু করে আমি বাড়িতে যাওয়ার পথে রাস্তা সরে দাঁড়ানোর বাধা দিলে আমাকে তিন জনে ধরে নাকে মুখে কিল ঘুষি শুরু করে, আমার সারা শরীরে খোঁজ করে টাকা পয়সা না পেয়ে লাল ধন ও বাবুল মিয়া তাদের সহযোগী হয়ে ফোনের মাধ্যমে টাকা আনার প্রস্তাব দেয়। আমি প্রাণভয়ে ভেবে চিন্তে না পেয়ে জিংলীগড়া গ্রামের মাসুদ মিয়ার কাছে ফোন দেই বিস্তারিত বলি। মাসুদ মিয়া আসতে দেরি হওয়ায় আমাকে কিল ঘুষি ও লাথি শুরু করে, ২ লক্ষ টাকা না দিলে আমাকে প্রাণে মেরে ফেলবে বলে চিৎকার করে। মাসুদ মিয়াকে ফোন দেওয়ার পর তিনি ১৫/২০মিনিট পর ঘটনাস্থলে আসে তার উপস্থিতি দেখে সন্ত্রাসীগণ চিৎকার করে বলে এ ব্যাপারে কাউকে জানালে তোকে খুন করবো বলে চলে যায়। গ্রাম্য লোকজন গণ্যমান্য ও মেম্বারের সহিত সালিশের মাধ্যমে নিরসনের চেষ্টা করে এর কোন প্রতিকার হয়নি। সুবিচারের স্বার্থে ২৮/০৭/২০২৫ ইং ধর্মপাশা থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করি।
অভিযুক্ত রেজাউলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পূর্ব শক্রতার জের ধরে ফাঁসানো হচ্ছে, এই ঘটনার সাথে আমাদের কোন সর্স্পক নেই।
এ ব্যাপারে ধর্মপাশা থানার ওসি এনামুল হক বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ##
সাইফ উল্লাহ
মোবা: ০১৭১২৪৫১৪৪৬
তারিখ: ২৯/৭/২৫