ডেস্ক রিপোর্ট:
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সকালে মঠবাড়িয়া থানার পুলিশ উপজেলার বকসীর ঘটিচোরা গ্রামে শ্বশুরবাড়ি থেকে তাকে আটক করে। আটক সোহেল পটুয়াখালী সদর উপজেলার বাদেরপুর গ্রামের আব্দুল বারেক হাওলাদারের ছেলে।
থানা সূত্রে জানা গেছে, সোহেল পাঁচ মাস আগে মঠবাড়িয়ার গুলিশাখালী গ্রামের মৃত সেলিম হাওলাদারের মেয়ে ফারজানা আক্তারকে (২৩) সেনাবাহিনীর অফিসার পরিচয়ে বিয়ে করেন। সেনাবাহিনীর লোগোসংবলিত মোটরসাইকেল ব্যবহার করে এলাকায় কখনো মেজর, কখনো ডিজিএফআই কর্মকর্তা পরিচয়ে চলাফেরা করতেন তিনি। পরে একই পরিচয়ে বকসীর ঘটিচোরা গ্রামে আরও একটি বিয়ে করেন সোহেল।
সম্প্রতি নিজেকে সেনাবাহিনীর মেজর পরিচয় দিয়ে উপজেলার সবুজ নগর গ্রামের গৃহবধূ হাসি রানী দাসের স্বামী হৃদয়কে চাকরি দেয়ার কথা বলে সোহেল ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। চাকরির আশায় ওই গৃহবধূ প্রথমে ১৫ হাজার টাকা দেন। এরপর সোহেল টালবাহানা শুরু করলে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়। এ ছাড়া আরও ৬-৭ জনের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি।
গৃহবধূ হাসি রানীর অভিযোগের ভিত্তিতে মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ তদন্ত করে সোহেলকে আটক করে। এ ঘটনায় হাসি রানী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর স্থানীয়দের সহায়তায় ওই যুবককে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, সে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বা ডিজিএফআইয়ের কোনো সদস্য নয়। মামলার আসামিকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হবে।