লেখকঃ ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম
আজ ১ লা আগষ্ট, ১৯৯৬ থেকে এই মাস টাকে শোকের মাস হিসাবে রাষ্ট্রীয় ভাবে পালন করা হতো, "মুজিব" নামক এক ব্যক্তি ১৪ বছর কারাবাসের পর জনগনের ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও তাকে ক্ষমতা দেয়া হয় নাই, তাই তিনি ৫৬ হাজার বর্গমাইলের ততকালীন আয়তনের দেশটাকে স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ লেট নাইট, তিনি গ্রেফতার হয়েছিলেন "মেজর জেড এ খান ও তার টীম দ্বারা!" মিঃ জেডএখান তার লেখা বই The way it was এ এমনটা লিখেছেন! ততকালীন পাকিস্তানের শক্তিশালী পত্রিকা "ডন" স্বীকার করেছিলো, গাদ্দার মুজিব কে রাত ১.৩০ মিনিটে গ্রেফতার করা হয়েছে! আশ্চর্যজনক হলে-ও সত্যি বাঙালি ঘরে জন্ম নেয়া কোথাকার কোন একজন "মুজিব" স্বাধীনতা ঘোষণা করলেন আর সাড়ে সাত কোটি মানুষ যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়লেন! আর-ও মজার কথা ঐ মুজিব গ্রেফতার হলে মানে পশ্চিম পাকিস্তানে পালিয়ে গেলেন, আর এদেশের লুঙ্গি পরা পান্তা খাওয়া মানুষ গুলো তার প্রয়োজন ও বোধ করলেন না, জীবন দিলেন অকাতরে তিরিশ লক্ষ, ইজ্জত দিলো চার লক্ষ, গর্ভবতী হয়ে সন্তান উৎপাদন করলেন মা বোনেরা এক লক্ষ, নয়মাস যুদ্ধ করে ছাড়ায় আনলেন মুজিব কে পাকিস্তান কারাগার থেকে, ৯৩ হাজার পাকিস্তান সৈন্য কে আত্মসমর্পণে বাধ্য করলেন মুক্তিযোদ্ধা বিচ্ছুরা! আর ঐ যে কি যেন নাম, ইন্দিরা গান্ধী এবং ব্রেজনেভ মিলে মুজিব ছাড়াই বাংলাদেশ নামক "ব" দ্বীপ টা স্বাধীন করতে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঝুকি নিলেন! রাশা দখল করে নিলেন ভারত সাগর তার নৌ বাহিনী দিয়ে এবং পরমাণু ওয়ার হেড বহনকারী সাবমেরিন দিয়ে আমেরিকার "সপ্তম নৌবহর "ও বৃটেনের "ঈগল" মাদাগাস্কার থেকে পালিয়ে গেলো ভারত মহাসাগরের ব্রেজনেভ যুদ্ধ নেট ওয়ার্ক শুনে! আমাদের পূর্ব পুরুষদের হিতাকাঙ্ক্ষী চীন কে নিক্সন বার বার অনুরোধ করা সত্ত্বেও ভারত আক্রমণ করতে এগিয়ে এলেন না! ব্রেজনেভ চীনের আক্রমণ খবর পেয়ে হুমকি দিলেন, "চীন একটা বুলেট ছুড়লে বেইজিং এ সোভিয়েত ১০ হাজার সৈন্য উপস্থিত পাবে!"
বেচারি ইন্দিরা গান্ধী তার সব মিলে ততকালীন ভারতের ১২০ খান নেভাল যুদ্ধ জাহাজ নিয়ে বঙ্গোপসাগর প্রবেশ পথে আটকাতে মার্কিন সপ্তম নৌবহর যার যুদ্ধ জাহাজ সংখ্যা ৭২০ খানের মোকাবিলা করতে অপেক্ষা করলেন!
মুজিব ১৯৭২ সালের ১০ ই জানুয়ারি দেশে ফিরে এলেন পাকিস্তান টু ইন্ডয়া টু ইংল্যান্ড হয়ে। কি আশ্চর্য এ পাগল বিশ্ব, এখন আমাদের দেশের সন্মানিত শিক্ষিত গনতন্ত্র মানবতার মানসপুত্র প্রধান উপদেষ্টা "ডঃ ইউনূস" ইংল্যান্ড গেলে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী অপমান করতে "দেখা করেন না" আর তখন বাংলাদেশ নামক ক্ষুদ্র দেশ টার প্রেসিডেন্ট মুজিবের জন্য ততকালীন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী লেবার পার্টির "কালাহান" তার রাষ্টীয় সফর বাতিল করে মুজিবের সাথে তার হোটেলে স্ব শরীরে যেয়ে দেখা করেন!
প্রিয় পাঠক, মুজিব নামের সেই (পাকিস্তানের ভাষায়) গাদ্দার টা বাংলাদেশে এসেই ইন্দিরা গান্ধী কে ডাকেন, তাকে ভুরি ভোজ করান রাষ্ট্রীয় পয়সা খরচ করে এবং তাকে ভারতের সৈন্য ফেরত নিতে বলেন! চলে গেলো ভারতের সেনা! তার ২য় গাদ্দারি জাতির সাথে, আমাদের পূর্ব পুরুষ পাকিস্তানি সেনার পবিত্র রক্তে জন্ম নেয়া এক লাখ শিশু দেশে না রেখে বিদেশে সব দত্তক দিয়ে দেন! মুজিবের তিন নাম্বার গাদ্দারি, ১৯৭২ সালের ভিতর ই তিনি ব্যারিষ্টার কামাল ব্যারিস্টার আমীর সহ ঝানু ১১ জন কে দিয়ে, নিজে থেকে, একটা সংবিধান তৈরি করে ফেলেন! যা সারা বিশ্বে সমাদৃত হয়! স্মর্তব্য, আমাদের পূর্ব পুরুষ পাকিস্তানি শাসকরা ২৩ বছরে সংবিধান তৈরি করতে পারেন নাই! চতুর্থ গাদ্দারি তিনি রাশিয়া কে দিয়ে সমস্ত বিদ্যুৎ কেন্দ্র গুলো তিন মাসে মেরামত করে ফেলেন, জনগনের ভোগান্তি জিরোতে নিয়ে আসেন এবং চালু করে দেন সব মিল কলকারখানা! নদীমাতৃক বাংলাদেশে রাশান নেভি দিয়ে ৫১ টা নদী (পদ্মা মেঘনা যমুনা মধুমতী বুড়িগঙ্গা রূপসাসহ --) আমাদের জমজ ভাই পাকিস্তানের পুতে রাখা মাইন সুইপ করে লঞ্চ স্টীমার চালু করে দেন! পঞ্চম গাদ্দারি, বেরিয়ে পড়েন বিশ্ব স্বীকৃতির জন্য এবং প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্বীকৃতি আদায় O I C , U N O, জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের সদস্য পদ ভাগায় আনেন!
তিনি ভালো মুসলমান ছিলেন না শুনি, এখন কার সরকারের মত এত পরহেজগার ছিলেন না, কারন দেশের সংবিধানে বিসমিল্লাহ লেখেন নাই তবু ও
ইসলামি ফাউন্ডেশন তৈরি, তবলীগ জামাতের জন্য তুরাগ তীরে ২৬৬ বিঘা জমি প্রদান, মদ আমদানি লাইসেন্স বন্ধ, ঘোড়দৌড় রেসকোর্সে বন্ধ, বড়লোকদের জুয়া খেলা বন্ধ হলো, তার মেয়ে ফ্যা সি স্ট শেখ হাসিনা ও দেশের অর্থ খরচ করে ৫৬০ টা মডেল মসজিদ তৈরি করে দেশের অর্থ বেহিসাবি খরব করে দেশের সাথে গাদ্দারি করেছেন বলে অভিযোগ করলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব জ্ঞানী গুনি "মিঃ সফিকুর রহমান!"
১৯৭৪ সালে জাতির সাথে বড় গাদ্দারি মুজিবের, দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করে "চিলমারীর বাসন্তী তিন টাকার শাড়ী কিনতে না পেরে ৬৫ টাকার দামের নাইলনের আমদানি করা জাল পরে ইজ্জত নিবারন করতে হলো।
তখন ই কেনা খাবার বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত পাঠায়ে আবার ফেরত নিয়ে দুর্ভিক্ষ সৃষ্টির হোতা আমেরিকা ও এদেশের ধর্মপ্রাণ এবং দেশ দরদী লোকগুলো মিলে যেমন খন্দকার মোশতাক, তাহের উদ্দিন ঠাকুর, মাহবুবুল আলম চাষী এমনি শত দেশ প্রেমিক ও সেনানিবাসের দেশপ্রেমিক রা (সব ষড়যন্ত্রে সর্ব কালে সেনানিবাসে কিছু লোক থাকেন যেমন নবাব সিরাজুদ্দৌলার হত্যা, টিপু সুলতান হত্যা ইত্যাদি) মিলে মুজিব কে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়, এবং এই মাসের ১৫ ই আগষ্ট ফজর নামাজের কিছু আগে গাদ্দার মুজিব ও তার পরিবারের ২০ জন কে হত্যা করে "বাংলাদেশ" কে নাজাত দেয়া হয়!
আজকে একটা আর্টিকেলে দেশ "আগষ্ট মাসে" নাজাত হয়েছিলো দেখলাম। তাই আমার অজানা "নাজাত" শব্দ টা ব্যবহার করলাম!
ভালো থাকেন সুস্থ থাকেন নিজ দেশকে ভালোবাসেন। মানুষ হোন, মানবতা মনুষ্যত্ব তাকওয়া পূর্ণ জীবনের মানুষ, প্রতারক, মিথ্যাবাদী, অকৃতজ্ঞ, লোভী, কারূন, নয়, বিবেক সম্পন্ন মানুষ!