কলমেঃ ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম
কত লাশ শোয়ায় দিলাম এ-ই দুটো হাতে
কত মানুষ গেলো মরে বুলেট আর ভাতে!
অস্ত্র হীন নিরীহ মানুষের লাশ দেখেছি কত
আধার গাঢ় অন্ধকারে বয়ে চলেছি,বিবস্ত্র লাশ শত!
আজ-ও সে কবরের মাটি শুকায় নাই
আজ-ও সে শ্মশানের ধোয়া উঠে ভাই,
আজ-ও ঘাড়ে বহন করা লাশের, ঝরা রক্তের গন্ধ পাই
অমাবস্যার রাতে যেয়ে, মুঠো ভরে তুলে দেখি পোড়া ছাই!
দেশের তাবত তাগড়া বাহিনী ঝাঁপিয়ে পড়লো, নিরস্ত্র মানুষের পর
অভাব-অনটনের খেটে-খাওয়া গায়ের মানুষ, নাই যাদের ঘর!
তাঁরা তো সমাজতন্ত্র ধর্মনিরপেক্ষতা চায়নি রক্ষা করতে
প্রতিবাদ করেছে বুক পেতে “মুজিবের মাজার” ভাঙতে!”
মুজিবের তর্জনীর গর্জনে সারা বাঙালি এক হয়েছিলো
তিরিশ লক্ষ বাঙালী হাসতে হাসতে প্রান দিয়েছিল!
সেই সে মুজিব “বাইগার গাঙের” পাড়ে, ছোট্ট একটা ঘরে, শুয়ে আছে
সেথা এসে ‘কাল কের ছ্যাড়ারা’ হনুমানের মত নাচে!
বুলেট বিদ্ধ মরলো যারা, এ পৃথিবীর মায়া ছেড়ে
কোন সে পাষান উর্দির জোরে, এলো বুট উঁচিয়ে লাশকে তেড়ে!
যে চোখ যায় বুজে চির তরে, খোদার ঘরে
তার কি কোন পক্ষ থাকে, প্রান থাকলে ঢুকিয়ে দাও কারাগারে!”
বলেছিলেন তৈমুর লং,আমায় নিয়ে কভু করো না ঢং
আমি যে-দিন জাগবো, বিশ্বে সেদিন ভুমিকম্প হবে, তোমরা সাজবে সং!
জেনে রেখো বাংলার যত অর্বাচীন, আগষ্ট মাসটা লীন
মুজিব যেদিন জাগবে অত্যাচারির সব কূট কৌশল সেদিন হবে বিলীন!