লেখকঃ ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম
আজ থেকে একবছর আগে ৫ ই আগষ্ট ২০২৪ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভারতে চলে যান সেনাবাহিনীর সহায়তায়! সেনাবাহিনী কেন তাঁকে রাষ্ট্রীয় প্রটোকল মেইনটেইনের মত জামাই আদরে তাকে ভারতে পৌঁছে দিলেন? কে-ইবা এখন যেমন “মবের” হাত থেকে B C P নেতা কর্মীদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় প্রটেকশন দিতে মুজিবের গ্রাম জেলায় মানুষ হত্যা করেন?
শেখ হাসিনার জন্য একটা গুলি না ছোড়ার জন্য আমার কোন কথা নাই, কিন্তু বঙ্গভবন লুট, মুজিব রবীন্দ্রনাথ মুরালি ভাঙা, ঐতিহাসিক বাড়ী ৩২ নাম্বার ভাঙা ঠেকেবার চেষ্টা করলেন না? এখন মানুষ সমন্বিত ফিরে পেয়ে এসব নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন?
দেশের বর্তমান শাসক সবাই বিদেশি, ৯০% মুসলমানের দেশে ৫৬০ টা মডেল মসজিদ নিয়ে সমালোচনা, ডঃ ইউনূস স্যার তার যে-সব ব্যক্তিগত লাভ নিয়েছেন তারপরেও বাৎসরিক বাজেটের প্রায় ৫০% চিটাগং এর জন্য বরাদ্দ, নিরীহ মানুষ হয়রানি, যেমন একজন মানুষ তার স্ত্রী কে নিয়ে হোটেলে অবস্থান নিয়েছেন, ছাত্র দলের যুগ্ম আহ্বায়ক পুলিশ ডেকে তাকে ছাত্র লীগ বানায় গ্রেফতার করে নিয়ে গেলে সেই হোটেলই ধর্ষণ, মহিলা মাদ্রাসার হুজুর আখেরাতের ভয় দেখায়ে সিরিয়ালি ছাত্রী ভোগ, পুলিশ কখন কাকে গ্রেফতার করবে, কার কখন জীবন যাবে, ব্যক্তিগত শত্রুতায় কে কখন স্বৈরাচারের দোসর হয়ে গ্রেফতার হবে তা শুধু ভবিতব্য জানেন এবং প্রতিটি লোক এমন ভীতিকর পরিস্থিতিতে দিন কাটাচ্ছে!
জাতীয়তাবাদী দলের অঙ্গসংগঠনের চাঁদাবাজির লাগাম টানার জন্য কেউ কি নাই? সচিবালয়ে ৭ দিনের নোটিশে চাকুরী যাওয়া কেমন একটা ভয়াবহ অবস্হা তা কল্পনা করা যায় না! ১৮ জন বিচারকের চাকুরী যাওয়া এক অলীক ঘটনা!
তিস্তা সেতু উদ্বোধন করতে কে যাবেন জানিনা, এই সেতুটা ও স্বৈরশাসক আমলের তৈরি করা যা ২০১৮ সালে দরপত্র আহ্বান করে “চায়না ইঞ্জিনিরিং কর্পোরেশন লিমিটেড কে দেয়া হয়েছিলো। যে সেতু কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা কে এক করে দিলো। ঢাকা থেকে কুড়িগ্রাম গাইবান্ধার দূরত্ব কমে গেলো ১২৪ কিলোমিটারের মত!
“অভয় কৃষ্ণ” ইউরোশিয়ান টাইমসে একটা প্রবন্ধ লিখেছেন, যেখানে রাখাইন করিডোর পশ্চিমাদের শিখানো একটা ছক যার প্রধান উদ্দেশ্য বাংলাদেশে আধিপত্য বিস্তার ও বঙ্গোপসাগরে পশ্চিমা প্রভাব বিস্তার! এসব বিষয় জনগন ফুঁসে উঠছে কিন্তু সেনাপ্রধানের মনোভাব বুঝতে না পেরে তারা স্তিমিত হয়ে যাচ্ছে। এমন জন জীবনের অনিশ্চয়তার সংকটে বাংলাদেশ গত ৫৪ বছর কখনওই পড়ে নাই! ১৯৭৫ সালে “মুজিব” হত্যার পর বাংলাদেশ পাকিস্তান মুখী হাটা শুরু করেছে আজ তা ষোলকলা পূর্ণ সন্দেহাতীত ভাবে! পাকিস্তান পন্হী গোলাম আজম, শাহ আজিজ, আঃ রহমান, আব্দুল আলীম ইত্যাদি সবাই কে ফিরিয়ে আনা হয়েছে, এমন কি কনভিকটেড অপরাধীদের ১১ হাজার ছেড়ে দেয়া হয়েছে, বিচারাধীন ৩০ হাজার ছেড়ে দেয়া হয়েছে, এ ছাড়াও ফাঁসির দন্ড প্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সেভেন মার্ডার আসামী সফিউল আলম প্রধান, গোপালগঞ্জের ১৭ জন হত্যার ফাঁসির আদেশ প্রাপ্ত মুক্তি যোদ্ধা হেমায়েত ইত্যাদি এখনকার মত ই ছেড়ে দেয়া হয়েছে!
মোট কথা ১৯৭৫ সালেই পথ দেশটাকে Switch over to before 1971 চলা ডঃ ইউনূস সাহেব পূর্নতা দিয়েছেন! কাজেই জাতীয়তাবাদী দের লাইসেন্স বিহীন লুটপাট চাঁদাবাজি হত্যার সুযোগ না দিয়ে নির্বাচন দিলে তারা বৈধ ভাবে ডঃ ইউনূস সাহেবের অসম্পূর্ণ কাজটা করে দিতে পারেন! তা হলে মানুষের জীবন নিশ্চয়তা ফিরে আসে, একটা বর্তমান সরকারের মনোমত পার্লামেন্ট ও পেয়ে যান, এবং যত ইচ্ছে সংস্করণ বৈধ করায় নিতে পারেন, আওয়ামী রাজনীতি বাতিল সহ দল বাতিল সব কিছু সংসদ থাকলে সম্ভব। এমন কি ২/৪/৫ টা ইনডেমনিটি ও পাশ করানো সম্ভব! বাঁচার জন্য জনগন ও সেনাপ্রধানের দিকে প্রত্যাশায় তাকায় থেকে মরীচিকার পিছে দৌড়ানো থেকে বেঁচে যায়! আমেরিকা বসে ডোনাল্ড ট্রাম্প স্যার ও গুতেরেস
স্যারদের প্রহসনের নাটক করা লাগে না! অহেতুক শুল্ক বাড়ানো আবার কমানো, আমাদের সন্মানিত প্রধান উপদেষ্টা কে স্বৈরশাসক বলে জনগনের মনে একটা পিপাসার জল ছিটানোর প্রয়োজন হয় না!
যদি-ও বাংলাদেশের অভ্যান্তরীন এবং আন্তর্জাতিক নাটক বাংলাদেশের সচেতন জনগন বুঝে ফেলেছে!
তাদের জন্য কেউ নাই উদ্ধারে এগিয়ে আসবে!!,
ভালো থাকেন সুস্থ থাকেন নিজ দেশকে ভালোবাসেন।