লেখকঃ নাসরিন ইসলাম
“সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ” কাউকে কটাক্ষ বা তিরস্কারে আমি অভ্যস্ত নই—— কারো মনে কষ্ট দিবার জন্যও লেখাটি নয়——ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আশাকরি।
কে দৌঁড় দিলো, কে হাঁটিলো? কে বসিলো কে কাশিলো? কে হাসিলো, কে কাঁদিলো? কার কি করা উচিৎ ছিলো? কে কি করেছে? কেউ আবার চিলে নিলো কান, বলতে বলতে কানে হাত না দিয়ে ভোঁদৌড়! হাঁটু কোমর ভেঙে অতঃপর কানে হাত দিয়ে দেখেন যে, কান তো যেখানে থাকার সেখানেই রয়েছে। অতঃপর শুরু হলো চিল এ দেশের ভূমিতে যেহেতু তাই চিলের আকস্মিক কর্মকান্ডে আমার এই দশা —-
রাজা উজির নাজির কোথায়?
“কৈফিয়ত দিন, কৈফিয়ত দিন,
নইলে গদি ছাড়ার বাজাবো বীন”
শ্লোগান এর বজ্রধ্বনিতে আকাশ- বাতাস জমিন-ভুতল থরোথরো কম্পনে শুরু হয় ভূমিকম্প । ভয়ে মৃত ভিসুভিয়াসও জেগে ওঠার পালা!
আমরা যদি এত জ্ঞানী হয়ে থাকি। তাহলে, কান নিলো চিলে, কেউ বললেই ভোঁদৌড় দিয়ে হাঁটু কোমর ভেঙে বুড়ো বয়সে, খোড়া হলাম কি করে! কে কি বললো আর করলো! তা না ভেবে দেখুন তো আপনি/ আমি কি করেছি দেশ ও দশের মঙ্গলার্থে এ পর্যন্ত ? কি অবদান রেখেছি? নিজের পরিবার ও সমাজে? জাতি তো বহুৎ পরের কথা।
ও, হ্যাঁ! পরিবার সমাজের জন্য কিছু না করতে পারলেও, আমরা এই সকল বোদ্ধারা কথার মারপ্যাঁচে ফেলে দেশে ঝগড়া ফ্যাঁসাদ লাগিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি তে সক্ষম হয়েছি——পুরোদমে!
For this reason আমার / আপনার এই স্বভাবের জন্য আমাদের সন্তান রা আজ নৈতিক স্খলনের ফলে মুখ থুবড়ে অন্ধকার জগতে পড়ে আছেন। পুরোদস্তুর বিবেক বর্জিত রূপে আত্মপ্রকাশ করে চলছেন। আর এই বৃদ্ধ বয়সে আমাদের গৃহ হলো তাদের কাছে নয়। রাস্তার ধারে ডাস্টবিন এর পাশে কাক কুকুর বিড়ালের সাথে। তথাপি ১৪ পুরুষের মধ্যে কেউ যদি একটু পূন্য করে থাকেন, তাহলে বৃদ্ধাশ্রমে!
আমার মেজ’দা খুব জ্ঞানী একজন পরোপকারী মানব সন্তান ছিলেন। তিনি প্রায়ই বলতেন, মূর্খের পরিচয় হলো, আগ বাড়িয়ে কথা বলা বা অতিরিক্ত অপ্রাসঙ্গিক ও অপ্রয়োজনীয় কথা বলা।
পাশাপাশি নিজ কে জ্ঞানী হিসেবে জাহির করার জন্য অহেতুক পরামর্শ প্রদান —– “ঐ যে গায়ে মানে না, আপনি মোড়ল” স্বভাবের হয়ে থাকেন তারা——
আচ্ছা আমি/ আপনি ভেবেছি কি? আমাদের দেশে দুঃখজনক বিমান দূর্ঘটনার এই শোকাভিভূত অবস্থায় মন খারাপ অস্থিরতা ক্লেশ ভর করেছে প্রতি মানব সন্তানদের অন্তরে। তাতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই—-
তবে কে কত বেলা এই দুঃখে হতবিহ্বল হয়ে না খেয়ে রয়েছি? এই শোকে কার বাড়ী রান্না করা হইতে বিরত থেকেছে? কে নুজ্ব কাতর হয়ে হাসিনি নিজ পরিবার পরিজন এর সাথে? কার বাড়ীর ছেলে-মেয়েদের উক্ত সময়ে বিয়ের তারিখ থাকলে, সেই বিয়ের অনুষ্ঠান বাতিল করেছি?
রাস্ট্রীয় এই দূর্যোগকালীন সময়ে এই সব নেতিবাচক কথা বলে অযথা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হতে বিরত থাকা উত্তম নয় কি?
আমাদের স্ব-শরীরে উপস্থিত থেকে বা অর্থ দিয়ে কিছু করতে না পারলেও, অন্ততঃ মহান রাব্বুল আল-আমিন এর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করতে পারি—— হে দয়াময় আমাদের ক্ষমা করুন। হেদায়েত দিন ও হেফাজত করুন। দূর্ঘটনায় নিহত আহতদের আপনি সহায়। নিহতদের জান্নাত নসীব করুন। আহতদের দ্রুত সুস্থ করে দিন। আপনিই উত্তম পরিকল্পনাকারী। আমিন