কলমেঃ মোঃ আছাদুল হক
‘অসুখের ফুলে বসে মধু খায়, নেড়েছেড়ে অন্যের ‘ক্ষতি!
‘মিথ্যা সান্ত্বনার” ছাতা মাথায়.. হেঁটে হেঁটে—
খোঁজ নিবে “কার কেন, বাচ্চা আসে না পেটে”?
সূচের খোঁচা দিয়ে;
ভিতরে অট্টহাসি হেসে বলবে হায়”না—
“আল্লাহ সবাই কে সবকিছু হাজার চেষ্টা করলেও দেয় না”!
ওদের তবুও ‘রক্তাক্ত পান মুখের জিজ্ঞাসে,
কেন মরুভূমির বুকে ফুল ফোটে না?
কোলশূন্য নারীর প্রতিউত্তরে আসে “দীর্ঘশ্বাস”—
আহাঃ এক ঝিলিমিলি তপ্ত বালির হাহাকার।
সেই “দীর্ঘশ্বাস” প্রতিবেশী শকুনের মতো…
রক্তাক্ত শিকার নিয়ে উড়ে বেড়াবে,পাড়ায়,পাড়ায়!
একটা কোল শূন্য নারী— যে যুদ্ধ সমাজের ভণ্ডামির সাথে করে !
প্রতিবেশীরা সেই যুদ্ধের ইশতেহার সাজাই—
“টক্সিক স্যাটিসফেকশনের ল্যাবরেটরিতে”
অন্যের-দুঃখকে তৃপ্তির শিলে পিষে খায়..
সাইকোপ্যাথিক প্লেজারের মর্টারে গুঁড়ো করে…!
হঠাৎ যখন শুনবে—
পার্শ্ব দালান কক্ষে বাজছে কারো ‘ডেলিভারি’ নামক ঘণ্টাধ্বনি,
আসিতাছে হে…নতুন অতিথি!
প্রতিবেশী তখন ভবিষ্যতের পালংকে উঠে বসে মাতবে দাবাখেলায়,
ফেলতে থাকবে ‘পুত্র-কন্যা’ নামক দুটি গুটি।
বারবার কন্যা গুটির উপর হাত নেড়ে –
আর, খরগোশের মতো উত্থিত কানে শুনবে
এই বুঝি কারো পায়ের শব্দ এলো—
অবশেষে বার্তাবাহক বললো:
প্রতিবেশী বাসায় আবারও ফুটেছে ‘একটি মেয়ে শাপলা!’
সেই মুহূর্তে প্রতিবেশীর অন্তরে এগিয়ে থাকার আনন্দে….
জমে উঠল ‘সমাজ নামক রেসকোর্সে’ এক গোপন জয়—
‘আমার পরপর দুটি ‘পুত্র বটগাছ’, ওর দুইইটা “মেয়ে চাঁপাফুল”,—
‘জয়রথ তো আমারই এগিয়ে’…..!
আর তখনই উৎসবের আগুন জ্বলে উঠবে প্রতিবেশীর চুলায়,
এই ‘হিংস্র মজার রেসিপি প্রতিবেশী
“চুপচাপ নিজের ভিতর খায় “!
ছেলে সন্তান’-এর আকাঙ্ক্ষা “ইপিজেনেটিক ট্রমা” এই ট্রমা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে শুধু মিউটেট হয়…
আর সুযোগ পেলে আপসোস ঝেড়ে আসা প্রতিবেশী,
‘আল্লাহ ভাবী আপনার এইবারও মেয়ে?
“আমি কত দোয়া করছি আপনার এইবার একটা ছেলে হোক”!
“একটা নারী যখন নিজেই মেনে নিতে পারে না, ‘একটা মেয়ে সন্তান’…
এই সমাজ আজীবন’ এইসব “হিংস্র সুখের” পরিমাপ করে করে— অন্যের ‘ক্ষতে ‘বিষ ঢালবে।”
“জন্ম দেওয়া মানে একটা ‘মানুষের’ জন্ম দেয়া—
জন্ম দেয়া মানে— একটি শরীরে ‘রক্তের নদী’ বয়ে যাওয়া!
মানুষ করা মানে— তাকে সমস্ত নদী পার করা'”।