দুঃখের পুকুর
যদি পুকুরের সব জল শুকিয়ে যেত,
আর তা ভরে উঠত শুধু কষ্টের কান্নায়,
তবে সেই হৃদয়ের কান্নায় লেখা হতো
একটি নতুন নাম, ‘কান্নার পুকুর’।
সেখানে ঢেউ খেলতো শুধু দীর্ঘশ্বাস,
প্রতিটি ফোটা জল বয়ে আনত পুরোনো ব্যথা।
মাছের বদলে ভাসত স্মৃতির প্রতিচ্ছবি,
শ্যাওলার বদলে জমতো চাপা অভিমান।
মাঝির বৈঠা চলত না আর সেই জলে,
পাখিরাও আসত না আর জল পান করতে।
শুধু একাকী মন ডুব দিত সেই অতলে,
খুঁজে ফিরত তার হারিয়ে যাওয়া সুখ।
সেই পুকুরের গভীরতা মাপতে পারতো না কেউ,
কারণ তার তল ছিল শুধু যন্ত্রণার ভারে ভরা।
চারিদিকে ফুটে থাকত না কোনো পদ্মফুল,
ফুটে থাকত শুধু হৃদয়ের রক্তক্ষরণ।
তবুও সেই কান্নার পুকুর সাক্ষী থাকত,
বেঁচে থাকার এক নীরব সংগ্রামের।
জানাতো, ভেঙে যাওয়া মনও হার মানে না,
বার বার চেষ্টা করে ঘুরে দাঁড়ানোর।
নদীর জলে তোমার ছবি
নদীর জলে তোমার ছবি
কী সুন্দর এঁকেবেঁকে চলে
মন বলে, তুমিই যাচ্ছ
ওই দূর নীলিমার কোলে।
নদীর স্রোতে ভেসে যায় দিন,
কতো কথা জমে মনে,
যদি দেখা হতো সেদিন,
যদি পেতেম তোমায় ক্ষণে।
সূর্যাস্তের রঙে রাঙা হতো আকাশ,
নদীর জলে মিশতো তার ছায়া,
আমার জীবনে জাগতো নতুন আভাস,
এতো শুধু নয় কোনো মায়া।
যদি দেখা হতো কোনো শুভক্ষণে,
নদীই হতো সাক্ষী আমাদের,
শুনতাম তোমার মনের কথা,
বলতাম আমার মনের গভীরের।