স্টাফ রিপোর্টার:
আর্ন্তজাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পরমাণু বিজ্ঞানী, দেশবরেণ্য শিক্ষাবিদ, শাহসুফি, প্রফেসর ডক্টর এম শমসের আলীর স্মরণ ও বিশেষ দোয়া ও মাসিক “পবিত্র ১১ শরীফ” মাহফিল আজ বুধবার (৬ আগস্ট) রাত ৮টায় “খানকাহ ফকির জহুর আল কাদরী” ঢাকার বকশি বাজার খানকাহ শরিফে অনুষ্ঠিত হইবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক, সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি এবং বাংলাদেশ ওপেন ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য, এমিরেটাস অধ্যাপক এম শমসের আলী ছিলেন বকশিবাজার পীর কেবলার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ, শ্রদ্ধাভাজন ও হৃদয়বান একজন আশেক। তিনি বকশিবাজার খানকা শরীফে নিয়মিত আসতেন এবং দরবার শরীফের পবিত্র ১১ শরীফ মাহফিল কখনোই মিস করতেন না। তাঁর এই রূহানিয়াত প্রেম ও দরবার শরীফের প্রতি অগাধ ভালোবাসা দরবারের সকল মুরিদানের হৃদয়ে গভীরভাবে রেখাপাত করেছে। এই মহামানবের ইন্তেকালে জাতি হারাল এক প্রজ্ঞাবান, জ্ঞানী ও রূহানিয়াতপ্রেমী সূফি স্কলার ব্যক্তিত্বকে।
শাহসুফি এম শমসের আলীর ইন্তেকালে বকশিবাজার খানকাহ শরীফের সকল মুরিদান ও আশেকান গভীরভাবে শোকাহত ও ব্যথিত। আল্লাহ যেন প্রিয় শমসের আলীকে জান্নাতুল ফেরদৌসের সর্বোচ্চ মাকাম দান করেন আমীন। তাই আজ দরবারের মাসিক ১১ শরীফ মাহফিলে শমসের আলীর রূহানী মাগফিরাতের জন্য বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, আধ্যাতিক ও মানবতার অনন্য মূর্ত প্রতীক ফকির শাহ্ সাঈদ আনওয়ার মোবারকী আল ক্বাদরী, পীর, বকসিবাজার, খানকাহ্ শরীফ একজন সুফি স্কলার, শিল্পোদোক্তা ও মানবতার সেবক। “কেবল সেবা নয়, মানুষকে দাও তোমার হৃদয় এবং নি:স্বার্থ প্রেম। হৃদয়হীন সেবা নয়, তারা চায় তোমার অন্তরের স্পর্শ” এরকম প্রেমের উক্তি যাঁর মুখেই কেবল সিমাবদ্ধ নয় ; যিনি আর্তমানবতার সেবায় মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবে নিজকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন এবং নিজের উপার্জিত অর্থে প্রায় ৪ যুগ ধরে আধ্যাতিক ও মানবসেবার খেদমতে নিয়োজিত, চার তরিকার অনন্য মার্কাজ, খানকাহ ফকির জহুর আল কাদরী-এর বর্তমান পীরসাহেব কেবলা, ফকীর শাহ্ সাঈদ আনওয়ার মোবারকী আল ক্বাদরী হাফিজাহুল্লাহ। সারাবিশ্বের অসংখ্য মানুষের হৃদয়ে অমর হয়ে থাকবেন বিশিষ্ট সমাজসেবক, সুফি স্কলার, শীর্ষ ব্যবসায়ী, দানবীর, ফকীর শাহ্ সাঈদ আনওয়ার আল মোবারকী ক্বাদরী পীর কেবলা। তিনি সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ে যারা অবহেলিত, বঞ্চিত, অনাথ, তাদেরই বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা জুগিয়ে যাচ্ছেন এবং সাধারণ থেকে অসাধারণ হয়ে গড়ে উঠেতে আর্থিক, মানুষিক ও আধ্যাতিক সব রকমের সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। মানবিক সমাজ বিনির্মাণের প্রত্যয়ে কিছু মানুষ আছেন যাঁরা গড়ে উঠেন মানবিকতা পূর্ণ সমাজ গঠনের প্রত্যয়ে এবং কাজ করে যান নীরবে নিভৃতে। এমনই একজন বিরল মহামানব ফকীর শাহ্ সাঈদ আনওয়ার মোবারকী আল ক্বাদরী হাফিজাহুল্লাহ। আত্মপ্রচার নয়, আত্মতৃপ্তিই যাঁর মূল উদ্দেশ্য। মানবতার কল্যাণে নিজেকে কিভাবে বিলিয়ে দেয়া যায় তার এক উজ্জল দৃষ্টান্ত তিনি। কখনও ছুটে যান মাদরাসার এতিমদের পাশে আবার কখনও কোন দরিদ্র মানুষের ঘরে, পথে প্রান্তরে। প্রতিদিন ভাল কাজের পাশাপাশি অসংখ্য মেহমানকে সাথে নিয়ে খানা খাওয়া যাঁর নিত্যদিনের অভ্যাস। মানুষকে ভালবাসা ও মেহমানদারী করা তাঁর পরম আনন্দ, মানুষের কল্যাণই তাঁর ব্রত। উনাকে বাংলার মানবতার পায়রা তথা শান্তির দূত বলে অভিহিত করা যেতে পারে। সামাজিক কর্মকাণ্ডে নিজেকে জড়িয়ে জীবনে তৃপ্তি খোঁজেন দেশের শীর্ষ উদ্ভাবক ও প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী, মানবতার ফেরিওয়ালা ফকীর শাহ্ সাঈদ আনওয়ার মোবারকী আল ক্বাদরী হাফিজাহুল্লাহ। শত কর্মব্যস্ততার পাশাপাশি নতুন-নতুন উদ্ভাবন করেও থেমে থাকেন নি তিনি। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো, পরিবেশ রক্ষায় বৃক্ষরোপণ, ছিন্নমূল পথশিশু ও রাস্তায় থাকা মানুষের বাসস্থান ও খাবারের ব্যবস্থা করতে থাকেন এই বাংলার মানবিক পীর সাহেব কেবলা। বহু বছর ধরে তিনি সামাজিক কর্মকাণ্ড ও মানবসেবায় বিশেষ অবদান রাখায় ইতোমধ্যে তাঁর ঝুলিতে জমা হয়েছে স্বর্ণপদকসহ অসংখ্য সম্মাননা স্মারক। করোনাকালীন স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মাক্স, হ্যান্ড গ্লাভস, হ্যান্ড ওয়াশ, হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণসহ ঘরে থাকা কর্মহীন মানুষ ও ভক্ত-মুরিদের জন্য প্রতিনিয়ত খাদ্য সরবরাহ করেছেন তিনি। ১ ঘন্টার জন্যও তাঁর খানকাহের মূল ফটক (মানুষের সমস্যা সমাধানে) বন্ধ করেন নি তিনি। ঢাকা আলীয়া মাদরাসা সংলগ্ন বকসিবাজার মোড়ে অবস্থিত ফকির শাহ্ সাঈদ আনওয়ার আল মোবারকী ক্বাদরী পরিচালিত খানকাহ্ ফকির জহুর আল ক্বাদরীতে প্রায় দীর্ঘ ৪ যুগের অধিক সময় ধরে প্রতিদিন প্রায় ৫ হাজার বার দরূদ শরীফ ও খতমে খাঁজেগান এবং প্রতি আরবী মাসে চাঁন্দের ১১ তারিখ বাদে এশা এগারো শরীফের আমল, মিলাদ ও কেয়াম শরীফের বরকতী আমল, হামদ ও নাঁত শরীফ, শানে বেলায়াত, বুর্দায়ে বড়পীর আব্দুল কাদির জিলানী, কাসিদায়ে খাজা গারিবে নেওয়াজ ও আশিকী কালামের মজলিশ প্রচলন রয়েছে।