কলমেঃ ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম
হে মানব, বিশ্ব নরনারী
নরের কান্না কভু শুনেছ, জগদ্দল পাথরের মত ভারি!
সপ্তর্ষি মন্ডলের মত বেকে, আঁখি দুটো ফেটে, বেরোয় অশ্রু বারি
কভু থামে না ক্লান্ত বিধ্বস্ত ধীর পায়ে চলা, অনুভবে কভু কি সখের নারী?
সংসার ঘানি টানতে টানতে,জীবন শেষে রূপ রস যৌবন সব তার ফাঁকা
কঙ্কাল সার শরীর, কোটরাগত চক্ষু দেখে আঙ্গিনায় দ্রোণকাক করে কা কা!
তবু ও সেই সখের নারী তৃপ্তিহীন সম্পদে সুচেতা নয়, মুখ তার বৃষ্টিহীন মরু খরা!
অবসর বলতে বিশ্রাম কিছু নেই, চাদের আলো ঢলে পড়ে পুরুষের কান্নায়
খোজে না-ই নারী সারা জীবন, কোঁথা থেকে এলো
চালডাল তেল, ব্যস্তছিলো সে রান্নায়!
পুরুষ ভাবে না হোক গাড়ী বাড়ী, কতটুকু হলাম পল্লবিত বৃক্ষ সম ছায়া দিয়ে
অতৃপ্ত সংসার সদস্যগন, সারা জীবনের আয় সবটুকু নিয়ে !
সারা জীবন দেশ-বিদেশে খেটেখুটে অবসরে বিষাদের পলি
নিঃশব্দে ক্ষয়ে দেয়া জীবন বৈভব, বাক ঘুরে দেখে সবটাই খালি,
অর্থ বিত্ত যশ সুনাম কিছু নাই তার ললাটের ভাঁজে
অচেনা জন সে, জীবনভর দেয়া তার যত শ্রম নাই তার কাজে!
ফেরারি হয় আপনজন, অচেনা সন্তান সহধর্মিণী সবার মন
অনিবার্য অলিখিত বিচ্ছেদের দাবানল বুকে কাঁদে পুরুষ নীরবে নির্জন!
কঠিন শিলার চিপা পথে ঝর্ণার জল যেমন বেরিয়ে আসে
তেমনি হৃদয়ের কঠিন পথ ভেঙ্গে বের হয় পুরুষের অশ্রু প্রথম বার, নিজেকে ভালোবেসে!
কাঁদেনি কোনোদিন, সহ্য করেছে সব কষ্ট হাসি ফুটাতে সবার মুখে সারাজীবন
আজ-ও সংসারে দাবীর নাই শেষ, কি করেছি প্রশ্ন সবার, পুরুষের জীবন যেন কেমন?