মাঠে কান্না ঘাটে কান্না
মাঠে কান্না ঘাটে কান্না,
কান্না বন পাহাড়ে।
ঘরে বাইরে এতো কান্না,
শুনো কি তা আহারে!
হাট বাজারে ভাইয়ের কান্না,
পাঠশালাতে শিশুর কান্না।
ক্ষেত খামারে কৃষকের কান্না,
খোলা আকাশ নিচে কান্না।
বাবার খোঁজে করি কান্না,
বাড়ি ফিরে মায়ের কান্না।
শহর বন্দরে নারীর কান্না।
কেউ পারে না থামাতে কান্না।
হতবাক হয়ে দাঁড়িয়ে থাকি,
আজ আর বিচার নাহি।
যাহাকে শুনাবো আমার আকুতি,
সেই তো আজি রড় সন্ত্রাসী।
কান্না কান্না এতো কান্না,
কান্না শুনে না কেউ।
কানতে কানতে চোখের পানিতে,
বয়ে যায় বিশাল ঢেউ।
শরৎ এলো শিউলি ফুলে
শরৎ এলো শিউলি ফুলে,
সাদা শাড়ি পরে।
শরৎ এলো শিউলি ফুলে,
মেঘের ভেলায় চড়ে।
শরৎ এলো শিউলি ফুলে,
নদীর কুলে কুলে।
শরৎ এলো হালকা হাওয়ায়,
শিউলি দুলে দুলে।
শরৎ এলো ধানের ক্ষেতে,
সবুজের ঢেউ খেলে।
শরৎ এলো শরৎকালে,
পাখিরা ডানা মেলে।
শরৎ এলো শরৎ ছোঁয়ায়,
ভরা ফসলের ক্ষেতে।
শরৎ এলো ছবি আঁকে,
ফড়িং নাচে মেতে।
পরাধীন হবো না
কোন কলিযুগে এসেছি আমরা,
বলতে পারো তুমি?
এই জন্য কি স্বাধীন করেছিলো,
আমার এই মাতৃভূমি?
সুখে দুখে বিপদ আপদে
থাকবো মিলেমিশে।
শান্তিতে থাকবো সবাই,
ঝগড়া বিবাদ কিসে?
যুদ্ধ করে একাত্তরে,
দেশটা হলো স্বাধীন।
কি থেকে কি যে হলো,
দেশ হণো পরাধীন।
এই দেশ আমার জন্মভূমি,
আমার প্রিয় মা।
জীবন দিয়ে রক্ষা করবো,
পরাধীন হবো না।
স্বাধীনতা তুমি কি
স্বাধীনতা তুমি কি
আমার মায়ের কান্না?
স্বাধীনতা তুমি সেই ছোট্ট
আদরের শিশুর কান্না?
স্বাধীনতা তুমি কি বাবার
সেই আহাজারি?
স্বাধীনতা তুমি পথে ঘাটে,
ধর্ষিতা নারী।
স্বাধীন তুমি কি জানো পাথর,
পিষে মানুষ হত্যা করা?
স্বাধীনতা তুমি কি জানো
মানুষ বন্দি ঘরে আগুন দেয়া?
স্বাধীনতা তুমি কি জানো,
স্বাধীনতা মানে কি?
স্বাধীনতা মানে কি
কন্ঠ রোধ করা?
স্বাধীনতা মানে কি রক্তপাত?
স্বাধীনতা মানে কি,
লুটপাট আর চাঁদাবাজি?
স্বাধীনতা মানে কি অনিয়ম?
স্বাধীন মানে কি অন্যায়ভাবে
জবরদখল করা?
স্বাধীনতা মানে কি
দুঃখ কষ্ট বেদনা?
না। আমার মতে,
স্বাধীনতা মানে মুক্তমনা।
স্বাধীনতা মানে বাধাহীনভাব
চলাফেরা করা।
স্বাধীনতা মানে আনন্দ,
স্বাধীনতা মানে সুখ।
স্বাধীনতা মানে উল্লাস,
স্বাধীনতা মানে হাসি।
স্বাধীনতা মানে সুস্থ থাকা,
স্বাধীনতা মানে নতজানু নয়।
স্বাধীনতা মানে বিশ্বের বুকে,
শির উঁচিয়ে এগিয়ে চলা।
লেখা পড়া ছেড়ে যারা
লেখা পড়া ছেড়ে যারা
ধরেছে রাজনীতি।
দেশ শাসনের নামে আজ
তারা করছে দুর্নীতি।
খুন খারাপি চাঁদাবাজি
থামছে না’ তো আর।
কে থামাবে এই অপকৃতি,
এর দায়ভার কার?
মানুষ গড়ার কারিগর হলো,
প্রিয় শিক্ষা গুরু।
তাদের গলায় জুতার মালা,
এ কি কৃতি শুরু।
শিক্ষা গুরু পিতৃতুল্য,
আমরা সবাই জানি।
শিক্ষক হলো সবার শ্রেষ্ঠ,
আমরা তাহা মানি।
কৃষক শ্রমিক জেলে মজুর,
কেউ নাই তো ভালো।
ভিনদেশীদের ষড়যন্ত্রো,
দেশটা আজ কালো।
লেখা পড়া করে তোমরা
অনেক বড় হও।
স্বাধীন মোদের বাংলাদেশকে
সামন এগিয়ে লও।