লেখকঃ ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম
বাংলাদেশ জন্ম নেয়ার পর থেকে দে-শ এবং বিদেশে কে এই দেশটার শত্রু, কে বেশী ক্ষতি করেছে, লাউ গাছের বাড়ন্ত লকলকিয়ে ওঠা মাথাটা কে ভেঙে শিকড় পর্যন্ত ওপড়াবার চেষ্টা করেছেন তা নিয়ে মাথামোটা দের বেশ অসচ্ছ চশমা পরিহিত পন্ডিত মিলবে এবং এক সাথে সমস্বরে বলবে,"জামাত, জামাতে ইসলামি বাংলাদেশ!" এই পন্ডিতের দল "আওয়ামিলীগ নামক দলটার ভিতর সবচেয়ে বেশী! সেজন্য সদা তাদের ডিফেন্সিভ নজর থাকে জামাতের দিকে! তাই জামাত নিষিদ্ধ করে, জামাত নিষিদ্ধ করলে কাদের হাত শক্ত হয় সেই যোগবিয়োগ কোনদিন করেন নাই আওয়ামী নীতিনির্ধারণী টীম! বেপরোয়া কেন ছাত্রলীগ এত, Sabotage হচ্ছে কিনা, অর্থাৎ অনুপ্রবেশ ঘটে মূলস্রোত থেকে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে কিনা?
বুয়েটের হতভাগা "আবরাহ ফাহাদ" হত্যার সময়ই ভাবার প্রয়জন ছিলো এত ছোট একটা ফেজবুক স্টেটাসে মেধাবী ছাত্র টাকে হত্যার প্রয়োজন ছিলো কিনা? কারা ছাত্রলীগের ভিতর ভয়ঙ্কর ছাত্র লীগ?
কে ছিলেন ঐ সময় ছাত্র লীগের উপদেষ্টা! তিনি কি ওবায়দুল কাদের, একই অঙ্গে এতরূপ বা একের মধ্যে ৫ করতে গেলে কিছুই হয় না! দলের মহাসচিব, মন্ত্রী, তারমধ্যে ছাত্র উপদেষ্টা হলে লেজে গোবরে হয় কাজের কাজ কিছুই হয় না, এরপর আছে বার্ধক্য জনিত সমস্যা!
ভাবার দরকার ছিলো, আবরাহ ফাহাদ হত্যার ফাঁসির আসামি সাত জনের জন্য বিগত ছাত্র শিবির "শিশির মণি" কেন প্রেসিডেন্ট মার্স চেয়ে পিটিশন দেয় এবং ছাত্র লীগ সাথে নিয়ে এদের ফাঁসি বন্ধ করে বেকসুর খালাস চায়?
প্রিয় পাঠক, আজকের এই অবস্থার জন্য জামাত শিবির থেকে ক্ষমতাশীন দল কম দায়ী নয়! ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার পেক্ষাপট তারা কখনওই পর্যালোচনা করে দেখেন নাই! বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদীদের শাস্তি পেতে হয়েছে। বঙ্গ বীর কাদের সিদ্দিকী, আওরঙ্গ, লিয়াকত, কেউ কি পুরস্কৃত হয়েছেন নাকি তিরস্কৃত? একজন ভাতিজা "শিবচরের লিটন" কে সাংসদ করতে আওরঙ্গ কে দলচ্যুত করা গোনাহে কবিরা! একটা মুক্তিযুদ্ধো মন্ত্রণালয় করতে বলায় কাদের সিদ্দিকী কে চরম শাস্তি গ্রহন যোগ্য নয় কোন মতে।
জামাতের পাকিস্তান তথা আইএস কানেকশন ছিলো। কিন্তু গ্রেনড হামলা, আন্ডার গ্রাউন্ড ওয়ার্ল্ড মাফিয়া দাউদ ইব্রাহিমের সাথে জামাত মিটিং করে নাই। আর্সেনিক গ্রেনেড যেমন পাকিস্তান থেকে আনা হয়েছে মন্ত্রী পিন্টুর ভাইকে দিয়ে, তেমনি, 7.62 বুলেট ও পাকিস্তান থেকে আনা!
কে মুজিব হত্যার বেনিফিশিয়ারি, কে ইনডেমনিটি আইন সংসদে পাশ করলো, কে "খালেদ হায়দার হুদা" তিনজন সেক্টর কমান্ডার ঠান্ডা মাথায় হত্যা করালো, জেলহত্যা ঘটা থেকে তার বিচার কে বন্ধ করলো? মোট কথা পাকিস্তান মুখী যাত্রা কে শুরু করেছেন, তা আওয়ামী নেতাদের বোঝার দরকার ছিলো। যে দলের মহাসচিব লাগামহীন হাস্যসপদ কৌতুক কথা বলে "খেলা হবে!" সে দল যে বেশকিছু অযোগ্য লোক জায়গা পেয়েছে তা বুঝতে বড় পন্ডিত হওয়া লাগে না!
আজ আমেরিকা কি "বিসিপি" নতুন দলের ভরসায় বসে থাকবে? অবশ্যই তাদের হাতে দ্বিতীয় অপশন বিএনপি এবং তারেক জিয়া!
লর্ড ক্লাইভরা সবসময় নিষ্ঠুর অপদার্থ এবং দেশের প্রতি প্রেমহীন লোক কে খোঁজে! তারাই পারে মার্কিন শত্রু নিধন করতে! আমেরিকা একজন রাষ্ট্রদূতের উপর ভরসা না করে কক্সবাজার "পিটার হাস" কে বসায় রেখেছে আগামী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে! বঙ্গবন্ধু কে হত্যা করাতে চিলির আলেন্দে কে ১৯৭৩ সালে হত্যা করানো রাষ্ট্র দূত "ফিলিপ চেরিকে" ঢাকায় বদলি করে এনেছিলেন কিসিঞ্জার! ফিলিপ চেরি মুজিব পর্যন্ত পৌছাতে সময় নিয়েছিলেন প্রায় একবছর সাত মাস।তার মধ্যে খন্দকার মোস্তকের বাসায় ষড়যন্ত্র মিটিং, সেনানিবাসে মিটিং, আমেরিকান রাষ্ট্র দূতের সাথে খুনি গংয়ের একাধিক মিটিং, সরকার জানে না কারন তার গোয়েন্দা বিভাগের সব কয়টা শাখা ছিলো ষড়যন্ত্রকারীদের পক্ষে।
২০২৪ শে জুলাই আগে বছর ধরে বদিউল আলম অধিকারের আদিলুর রহমানরা মানবাধিকারের ছদ্মবেশে শতবার আমেরিকা যাতায়াত ও ২৯ মিলিয়ন কোন ভাবে কার হাতে কেকে কাকে পৌঁছে দিলো তার মধ্যে সরকারের ছয় উপদেষ্টা, কোন মন্ত্রী, সাংসদ, আওয়ামী বড় নেতা, ছাত্র লীগ, যুবলীগের কেউ নাইতো? কে রাখে কার খোঁজ ? বঙ্গবন্ধু কেবিনেটের জন ২৫ খন্দকার মোশতাক কেবিনেটে মন্ত্রী হয়েছিলো!
"দেবর আমায় বলছে চাঁচি, আমি কি আর ভবে আছি?" জো বাইডেন সেলফি তুলছেন, গার্মেন্টস কোঠা বাড়ায় চীন সমান করে দিছেন, পরিবারের আটজন সাংসদ আছে, সেনাপ্রধান আপন আত্মীয়,
হিন্দু হলেই আওয়ামী লীগ, গোপালগঞ্জ হলেই দেশপ্রেমিক, এ যেন রাজনীতি না জানা এক রাজার কর্ম! যতজন গোপালগঞ্জের লোক এসপি ওসি বাগেরহাট পিরোজপুর নড়াইল পোস্টিং দিয়েছে সবাই নির্ভয়ে লুটপাট, আইনের শাসন বিরোধী কাজ করে জনগনের প্যাদানো খেয়ে বদলি নিয়েছে!
ভারতের মোদি কে বুকে নিয়ে চাপ দিয়ে দোস্ত বলেছেন ট্রাম্প সাব, তিনিও ভাবে গদোগদো! আজ বুঝতে পারছেন "আমেরিকা যা বলে তা করে না আর যা করে তা বলে না!"
রাজাকে রাজনীতি জানতে হয়! বঙ্গবন্ধুর সাজানো দেশটা সম্পূর্ণ শেষ হয়ে গেলো অপরিনামদর্শীতা নির্বুদ্ধিতা এবং অসতর্কতার জন্য। সেখানে ছিলো স্বজন প্রীতি, উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, ভগ্নিপতি হোন বলে তাকে ১৫ বছর ওয়াসার চেয়ারম্যান রাখতে হবে যে লোক ৬ মাস থাকে আমেরিকায়। সব পত্রিকায় এত লেখালেখি, কোন কর্ণপাত নাই! একটা উদাহরণ দিলাম মাত্র। রাতে ভোট কাটা এসব ছিলো বিএনপির চমকদার শ্লোগান কিন্তু উপরে উল্লেখ্য আইনের শাসনের অভাব দারুন ক্ষতি করেছে!
প্রিয় পাঠক, ষড়যন্ত্র কারী দলের থেকে ক্ষমতাশীন দলের ড্যাম কেয়ার ভাব কমদায়ী নয় দেশেটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের খপ্পরে পড়ার জন্য। সামনে আরো ভয়াবহ দিন আসছে, মার্কিন পলিসি যে দিকে যাচ্ছে!
ভালো থাকেন সুস্থ থাকেন নিজ দেশকে ভালোবাসেন।