এস এম রকিবুল হাসান
নিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ
নওগাঁর নিয়ামতপুরের চারিদিকে এখন সবুজ আর সবুজ। ফসলের মাঠ তো নয় যেনো সবুজের বিছানা। বাতাসে ধান গাছ নড়ছে আর কৃষকের মোনে দোলা দিচ্ছে আনন্দের উচ্ছাস। আকাশের বৃষ্টিপাত এবং আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ধান ক্ষেতে পানি সেচের প্রয়োজন হয়নি।
নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে এবারে আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছে কৃষিবীদরা।
নিয়ামতপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি আমন মৌসুমে নিয়ামতপুর উপজেলায় ৩০হাজার ৫শ ৫হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষমাত্রা হয়েছে। এখন পর্যন্তু আমনের ধান গাছ বেশ ভাল রয়েছে। আমনের গাছ ভাল রাখতে আর ধানের উৎপাদন বাড়াতে কৃষকরা দিন রাত সমানতালে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। কৃষকরা আগাছা তোলা, পোকামাকড় দমন করতে স্প্রে করা, জমির পানি দেখাসহ বিভিন্ন কাজে ব্যাস্ত সময় পার করছেন।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ফসলের মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকদের দম ফেলার সুযোগ নেই। ধান গাছ পরিচর্যা, কীটনাশক স্প্রে করা আর আকাশের পানি জমিতে আটকিয়ে রাখার কাজে ব্যস্ত রয়েছেন কৃষকরা। যেন দ্রুত গতিতে বেড়ে উঠছে আমনের গাছ।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের মায়ামারী গ্রামের কৃষক আবুল কাশেম জানান, এবারে মাঠের ফসলে তেমন কোন রোগ বালাই নাই । কোন প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবারে আমনের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন তিনি। ভাবিচা ইউনিয়নের মমিনুর রহমান জানান, আমি প্রায়৬০ বিঘা জমি চাষ করি। আকাশের পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হওয়ায় ও আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় আর তেমন কোন প্রকার রোগ বালাই না থাকার কারনে এবারে আমন ধানের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছি। একই সাথে আমনের ভাল দাম পেলেই তারা লাভবান হবেন বলে জানান।
নিয়ামতপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, এবারে আমাদের রোপা আমন ধান রোপনের লক্ষমাত্রা ৩০হাজার ৫শ ৫হেক্টর, অর্জিত হয়েছে ২৪ হাজার হেক্টর। বাকীটা আউশ ধান এখন মাঠে আছে, কিছু কিছু কাটা শুরু হলেও মাস খানেকের মধ্যে আমন ধান রোপন করা হয়ে যাবে এবং লক্ষ্যমাত্রাও পূরণ হবে। এখন কৃষক জমিতে সার এবং কীটনাশক প্রয়োগে ব্যস্ত সময় পার করছে। আমি নিজেসহ সকল অফিসাররা কৃষকদের সঠিক পরামর্শ দেওয়ার জন্য মাঠে মাঠে কাজ করে যাচ্ছি। তবে আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে আমনের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা শতভাগ অর্জিত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।