নিজস্ব প্রতিবেদক
আজ, ১২ আগস্ট ২০২৫ জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক যুব দিবস। এই দিবসে গণমাধ্যম পাঠানো এক বিবৃতিতে আমেরিকা প্রবাসী বিশিষ্ট রেমিট্যান্স যোদ্ধা, কলামিস্ট, মানবাধিকার ব্যাক্তিত্ব রাস্ট্র চিন্তক ও বাংলাদেশ সাপোর্টার ফোরাম এর স্বপ্নদ্রষ্টা স্পিন ডক্টর ক্লিনটন হাওলাদার পাভেল বলেন যুবরই গড়বে বৈষম্য হীন গণতান্ত্রিক ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ, ২৪ এর ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে সফল করেছেন যুবরাই, ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা, গান ও চেতনা অনুঘটকের কাজ করছে।
নজরুলের বাণী
আমরা যদি না জাগিমা ক্যামনে সকাল হবে।
কে আছো জোয়ান হও আগুয়ান হাকিছে ভবিষ্যৎ, ঐ নতুনের কেতন ওড়ে কালবৈশাখী ঝড় তোরা সব জয় ধ্বনি কর, আমরা শক্তি আমরা বল আমরা ছাত্র দল।
জাতীয় কবি নজরুল শতবছর আগেই গেয়েছিলেন তারুণ্যের জয়গান। বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন, মহান ভাষা আন্দোলন, ঐতিহাসিক ছয়দফা, ু৯ এর গণঅভ্যুত্থান, নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন, কোটা বিরোধী আন্দোলন সহ সকল আন্দোলন ও বিপ্লবে যুগে যুগে তরুণরাই ইতিহাস সৃষ্টি করে। তিনি আরও বলেন,
আন্তর্জাতিক যুব দিবস জাতিসংঘ কর্তৃক স্বীকৃত একটি সচেতনতামূলক দিবস। দিবসটি ২০০০ সালের ১২ আগস্ট প্রথম উদযাপিত হয়। এটি বিশ্বব্যাপী যুব বিষয়গুলোর প্রতি সরকার এবং অন্যদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার একটি সুযোগ হিসেবে বিবেচিত হয়। বিশ্বের প্রায় সব দেশের যুববিষয়ক মন্ত্রীদের বিশ্ব সম্মেলন ৮ থেকে ১২ আগস্ট ১৯৯৮ সালে পর্তুগালের লিসবনে এর প্রথম অধিবেশনে, ১২ আগস্টকে আন্তর্জাতিক যুব দিবস হিসেবে ঘোষণা করার জন্য একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়। পরে এ সুপারিশটি ১৭ ডিসেম্বর, ১৯৯৯ তারিখে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক অনুমোদিত হয়।
বাংলাদেশে পূর্ববর্তী বছরগুলোতে জাতীয় যুব দিবস এবং আন্তর্জাতিক যুব দিবস আলাদা তারিখে পালন করা হতো এবং আলাদা প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধারণ করা হতো। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, জাতীয় যুব দিবস, যা (১ নভেম্বর) পালন করা হতো ও আন্তর্জাতিক যুব দিবস (১২ আগস্ট)—প্রতি বছর ১২ আগস্ট একসঙ্গে পালন করা হবে এবং একই প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিশ্বের সব দেশের সরকারের মধ্যে দেশগুলোর যুবকদের প্রতি মনোযোগ দেওয়া এবং তাদের প্রয়োজনীয়তা পূরণের জন্য সচেতনতা তৈরি করা এ দিবসের লক্ষ্য। যুবসমাজ ঘিরে সাংস্কৃতিক এবং আইনি সমস্যাগুলোর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা দিবসটির উদ্দেশ্য। বিশ্বের সব দেশকে সচেতন করা যে, যুবকদের প্রতি মনোযোগ দেওয়ার প্রয়োজন আছে। তাদের শিক্ষা থেকে স্বনির্ভর হওয়ার পথে তাদের সাহায্য করা সরকারের কর্তব্য। এ উপলব্ধি করতে প্রতি বছর আন্তর্জাতিক যুব দিবস পালিত হয়। প্রতি বছর, আন্তর্জাতিক যুব দিবসে তরুণদের প্রভাবিত করে এমন বিষয়গুলো এবং বিশ্বব্যাপী উন্নয়নে তাদের ভূমিকা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য একটি প্রতিপাদ্য গ্রহণ করা হয়—‘আন্তর্জাতিক ও জাতীয় যুব দিবস যুব দিবস-২০২৫’: প্রযুক্তিনির্ভর যুবশক্তি, বহুপাক্ষিক অংশীদারত্বে অগ্রগতি।
বাংলাদেশের জন্য যুব দিবসটি বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, বাংলাদেশের প্রায় অর্ধেক জনগোষ্ঠীই তরুণ ও যুবক। তারাই উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রকৃত কারিগর। এ প্রেক্ষাপটে দিবসটি উপলক্ষে তরুণ ও যুবসমাজকে মাদকসহ ক্ষতিকর নেশা, ইভটিজিং, যৌতুক, নারী নির্যাতন ও তামাকমুক্ত রাখতে সংশ্লিষ্ট আইনগুলোকে শক্তিশালীকরণের জন্য বিদ্যমান আইন সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সংগঠন।