লেখকঃ ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম
আমেরিকার হাতে আছে পরমাণু অস্ত্র থেকে-ও বড় ভয়ঙ্কর কতগুলো অস্ত্র, নিষেধাজ্ঞা, শুল্কমুক্ত /শুল্ক বৃদ্ধি, বিশ্বব্যাংক, জাতিসংঘ, নোবেলপুরস্কার, ডলার চুক্তি, এছাড়া ও আছে সভ্য দেশের অসভ্য ঠ্যাংগাড়ে বাহিনী, ন্যাটো!
তারপর আছে সারাবিশ্বে ৮০০ সামরিক ঘাটি, তবু ও বাংলাদেশে একটা ঘাটি তার অতিব প্রয়োজন! বাংলাদেশে সব চেয়ে বড় সুবিধা, ধার্মিকের চেয়ে ধর্ম ধোঁকাবাজ বেশি, নবাব সিরাজুদ্দৌলার থেকে মীরজাফরের বংশ বিস্তার ঘটেছে বেশী! অশিক্ষিত লোকের থেকে শিক্ষিত মুর্খ বেশী। টাকা হলে এদেশের A to Z কিনে ফেলা যায়! তাই জো বাইডেন স্যার ২৯ মিলিয়ন ডলার বাংলাদেশে বিনিয়োগ থ্যারাফি দারুন কাজে লেগেছে! রাজনৈতিক সরকার কে এক সেলফি তুলে ঘুম পাড়িয়ে দিয়েছেন!
মীর জাফর আলী খা সিরাজ হত্যার পর ক্ষমতায় বসে লর্ড ক্লাইড কে বলেছেলেন," ভয় পাবেন না স্যার, নির্বিঘ্নে ব্যবসাবানিজ্য করে যান!" লর্ড ক্লাইড প্রতি উত্তরে বলেছিলেন, "নানা ভয় পাবো কেন, যে দেশের প্রধান সেনাপতি বিশ্বাসঘাতক তাদের ভয় পাবার কি আছে!"
তবে একটা দারুন কাজ করেছেন জো বাইডেন থেকে ট্রাম্প স্যার। বাই ডেন স্যার ক্ষমতায় এসেই ব্রাসেলসে ন্যাটোর সভা ডেকে লাঠিয়াল বাহিনী প্রস্তুত করলেন। বিমান বন্দরে সাংবাদিকদের বললেন, "আর নয়, চীন অর্থ অস্ত্রে অনেক বেড়ে গেছে, ওর লাগাম টানা আমার প্রথম কাজ! ততদিনে চীনের বৈদেশিক রিজার্ভ ৩.৬৫ ট্রিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে! সারা বিশ্বের গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ফেরিওয়ালা যে কথা বললেন, তা কি কোন গনতান্ত্রিক কথা হলো। আমেরিকা থেকে কোন দেশ আর্থ বিত্তে অস্ত্রে উন্নত হতে পারবে না। এমন কথায় যে উপকার টা হলো। চীন দ্রুত তার চায়না সাগরে নৌ বিস্তার ঘটালো, ১৪ বছর মুখ দেখাদেখি বন্ধ সৌদি আরবকে ইরানের সাথে মিলায় বন্ধুত্ব করে দিলো! আফগানিস্তান কে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের জন্য আরব আমিরাতের সাথে চুক্তি করায় দিলো, অবশ্য ততদিনে হাজার বিলিয়ন ডলার মার্কিন ব্যাংকে রাখা অর্থ আটকায় দিলো। এ বেঈমানী অর্থ মেরে দেয়া তার পুরানো স্বভাব এবং নির্লজ্জতা! সৌদি আরবের সম্ভাবত আমেরিকার টুইনটাওয়ার আক্রমণে সৌদি সম্পৃক্ততার ধোয়া তুলে ১৭ হাজার কোটি ডলার আটকায় আত্মসাৎ করেছে!
প্রিয় পাঠক, মার্কিন চাপ যত বাড়ে এশিয়ার বোকা দেশগুলো তত বুঝতে পারে এবং একত্রিত হয়! আরাবিয়ান দেশগুলো দারুন একত্রিত হয়ে গেলো।
বাইডেনের ফোন পর্যন্ত রিসিভ না করে তাকে অসন্মান করলো। ডালার চুক্তি করলো না সৌদি আরব, তৈরি হলো ডলার বিকল্প B R I C C S.
সিরিয়ার বাশার আল-আসাদ ও বাংলাদেশের হাসিনা পতনে সেই মজবুত একতা অনেকটা ভীতিতে নমনীয় হয়ে গেছে, সে বিষয় আলাপে যাবো না!
ডোনাল্ড ট্রাম্প স্যার ক্ষমতায় এসে গাজাবাসী হত্যায় জোর দিলেন কারন গাঁজা কে তিনি পর্যটন কেন্দ্র করতে চান। নিস্কন্টক করতে ফিলিস্তিন হত্যা ও গাজা দখলে ইরান আক্রমণ করায় দিলেন নিজেও যুক্ত হয়ে বিশ্বে বোকায় নোবেলজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি করলেন। ইরানে চপেটাঘাত খেয়ে হজম করলেন।
বাংলাদেশে ঘাটি করতে তত্পরতা যত শক্ত হলেন তত ভারত চীন রাশিয়া কে সব ভুলে একত্রিত হতে সাহায্য করলেন। বাংলাদেশে মার্কিন সেনা ঘাটিতে ভারতের সমর্থন না পেয়ে আহম্মক পাকিস্তান কে দিয়ে যুদ্ধ বাধালেন আবার নিজে বলে তা বন্ধ করলেন। এসব নাটকে ভারত অখুশি হয়ে চীনের সাথে Unconditional বন্ধুত্ব করে হাত মিলালেন। মোদি বিশ্বের বিশাল জনসমর্থন পেলেন!
কতোবড় অদ্ভুত স্বৈরাচারী কথা, কাজাকিস্তান ও রাশিয়া থেকে আমেরিকা পরমাণু তৈরি কাঁচামাল আমদানি করতে দোষ নাই,ভারত রাশিয়ার তেল কিনলে দোষ! রাশিয়া থেকে তেল-গ্যাস আমদানি না করতে পেরে গ্রেটবৃটেন জার্মান সহ অনেক ইউরোপীয় দেশর বাজার মূল্য তিনগুণ বৃদ্ধি, তবুও রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা তুললো না আমেরিকা।
চিরশত্রু চীনের কাছ থেকে "চীফস" আমদানি করে যাচ্ছে আমেরিকা হরদমই, ইউরেনিয়াম ও চীফস টেকনোলজি মার্কিন জ্ঞানের বাইরে।
বাংলাদেশের গার্মেন্টস রপ্তানি কোটা বন্ধ করে এখন পুরাটা চীনকে দিয়েছে। অথচ বিগত সরকার আমলে বাংলাদেশ চীন রপ্তানি ছিলো প্রায়ই সমান।
প্রিয় পাঠক, ভারত পাকিস্তান আবার যুদ্ধের পায়তারা আছে, যে পাকিস্তানের রিজার্ভ এক-দেড় বিলিয়ন। আইএফআইসির দরজায় পাকিস্তান দেউলিয়া বলে ঋণ দেয়া যাবেনা সাইনবোর্ড ঝুলছে সে পাকিস্তানের সব শেষ অস্ত্বিত্বের চিহ্ন শেষ হবে ভারতের সাথে যুদ্ধ হলে, অবশ্যই পাকিস্তানের ৪০% ভুখন্ড বেলুচিস্তানের মুক্তি যোদ্ধাদের ফেস করতে হবে, তেল-গ্যাস শুধু ঐ একটা স্হানে, যা চীন পাইপলাইন মেকার টু কেরি পিন্ডি। এই পাইপ ধ্বংস হবে এবং চীন বেলুস স্বাধীনতার জন্য অস্ত্র অর্থ জোগাবে। মুছে যাবে আমার পূর্ব পুরুষের দেশ পাকিস্তান!
এশিয়া একত্রিত হওয়ার পিছনে ডোনাল্ড ট্রাম্প স্যারের অবদান স্বর্ন অক্ষরে লেখা থাকবে! আমি গরীব লেখক, টাকা থাকলে, মার্কিন রাস্ট্র দূতের মাধ্যমে ডোনাল্ড ট্রাম্প কে ৫ ভরি স্বর্নের একটা মেডাল পাঠাতাম!