নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকৃতি ও জীবন ক্লাব খুলনার উদ্যোগে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জুলাই শহীদ মীর মুগ্ধ চত্ত্বরে প্রধান অতিথি হিসেবে বনজ, ফলজ ও ঔষধি গাছের চারা রোপন করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ রেজাউল করিম। এ সময়ে এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, বৃক্ষ একাধারে পরিবেশ সুরক্ষা এবং সৌন্দর্য বর্ধনে ভূমিকা রাখে। বৃক্ষ অক্সিজেন নির্গমণ ও কার্বনডাই অক্সাইড শোষণের মাধ্যমে আমাদেরকে বেঁচে থাকতে সহায়তা করে। উপকূলীয় অঞ্চলকে প্রাকৃতিক দূর্যোগ থেকে রক্ষায় গাছের ভূমিকা অনস্বীকার্য। প্রকৃতি ও জীবন ক্লাব খুলনার এ উদ্যোগ প্রসংশনীয়। তিনি সবাইকে সাধ্যমত বৃক্ষ রোপনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমাদের জীবন-জীবীকার সাথে বৃক্ষের সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য। সুতরাং বৃক্ষ রোপন, পরিচর্যা এবং রক্ষণাবেক্ষনের মাধ্যমে একটি চারা গাছ বৃক্ষে পরিণত হওয়া পর্যন্ত আমাদেরকে সচেতন ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বৃক্ষ রোপনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আমরা সবুজের সমারোহে সাজানোর চেষ্টা করেছি। যা অব্যহত রয়েছে। পরিকল্পিতভাবে বৃক্ষ রোপন এবং সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে বৃক্ষ যেন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাকে এক খন্ড সবুজ ভূমিতে পরিণত করেছে। এটি এখন এ অঞ্চলের মানুষের দর্শনীয় স্থানে পরিণত হয়েছে। খুলনাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ বিনোদনের জন্য এ ক্যাম্পাসে আসেন। তিনি এ সময়ে সৌন্দর্যবর্ধনেও গাছের ভূমিকার কথা তুলে ধরে বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে সকলকে পরিকল্পিতভাবে গাছের চারা রোপনের প্রতি গুরুত্বারোপ করে বলেন, গাছের ফুল-ফল মানুষ এবং প্রাণীকূলের খাবার এবং আশ্রয়স্থল। গাছ একটি অমূল্য সম্পদ। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রকৃতি ও জীবন ক্লাব খুলনার সভাপতি পরিবেশযোদ্ধা, নাগরিক নেতা অ্যাডঃ মোঃ বাবুল হাওলাদার, পরিবেশকর্মী নাগরিক নেতা মিজানুর রহমান বাবু, এস এম দেলোয়ার হোসেন, খুলনা সাহিত্য একাডেমীর সভাপতি অধ্যাপক শেখ আজিজুল ইসলাম টিপু, সাধারণ সম্পাদক মল্লিক জাহিদুল ইসলাম, মাওলানা ক্বারী মুফতী মাহদী হাসান কাউসারী, ভেষজ চিকিৎসক হাকিম মতিয়ারা বেগম, বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট শাখা প্রধান এস এম মোহাম্মদ আলী, অফিসার্স কল্যাণ পরিষদের সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালক আবু ছালেহ মোঃ পারভেজ, মিজানুর রহমান খান মুকুল, মোঃ আতিয়ার রহমান, শেখ আব্দুল্লাহ, শাহানুর কবীর অয়ন, চিত্র শিল্পী মিলন বিশ্বাস, সাংবাদিক শাহিন হাওলাদার, উম্মে উমামা রাত্রি, তানভীর সৌরভ, আরিফ হোসেন, এস এম রোহান। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। এ কর্মসুচীকে ঘিরে ক্যাম্পাসে এক আনন্দঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়।