মধ্যনগর প্রতিনিধি:
আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সুনামগঞ্জ-১ আসনের (ধর্মপাশা, জামালগঞ্জ, তাহিরপুর ও মধ্যনগর) ৪টি উপজেলায় দলীয় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মনোনয়ন প্রত্যাশী তরুণ রাজনীতিবিদ মাহবুবুর রহমান সরকার। ছাত্রদল থেকে রাজনীতি শুরু করা এ নেতা বর্তমানে দলের তৃণমূলে বেশ জনপ্রিয় একজন নেতা হিসেবে পরিচিত। তরুণ এই নেতা জামালগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ কামলাবাজ গ্ৰামে ১৯৮৩ইং ১লা মার্চ জন্মগ্ৰহন করেন। তার বাবা মোঃ হুমায়ুন কবির জামালগঞ্জ উপজেলা যুবদলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন।আপন সহোদর(১) মাকসুদুর রহমান কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সদস্য (২) মশিউর রহমান যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ।আপন চাচা মোঃ আলমগীর কবির সুনামগঞ্জ জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি।আপন মামা আব্দুল মোতালিব খান বার বার কারা নির্যাতিত নেতা ধর্মপাশা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান। স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের আমলে ৩টি নাশকতা মামলা হয়।
কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে সুনামগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির সাংগঠনিক ভিত্তিকে সুদৃঢ় করেছেন। সততা, দক্ষতা ও পরিশ্রমে দলীয় নেতাকর্মীদের আস্থা অর্জন করে তিনি হয়েছেন তৃণমূল বিএনপির আস্থার প্রতীক। রাজনৈতিক জীবনে ‘ক্লীন ইমেজের এই নেতা দলের অভ্যন্তরে যেমন পরিচিত, তেমনি সাধারণ জনগণের মাঝেও তিনি ব্যাপক গ্রহণযোগ্য।
মনোনয়ন প্রত্যাশা প্রসঙ্গে মাহবুবুর রহমান বলেন, “সারাদেশের মানুষ এখন একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের অপেক্ষায় রয়েছে। সে লক্ষ্যেই আমি তৃণমূলকে সুসংগঠিত করে চলেছি। ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। তৃণমূল বিএনপিকে ভালোবাসি, তৃণমূলও আমাকে ভালোবাসে। আমি জনগণের সেবক হিসেবে সেই ভালোবাসা ধরে রাখতে চাই।”
তৃণমূলে তার ব্যাপক জনপ্রিয়তার প্রমাণ পাওয়া যায় স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে। মধ্যনগর কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শফিক খান, চামরদানী ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহবায়ক মোশারফ হোসেন একবাক্যে বলেন, “তৃণমূলের আস্তা মাহবুবুর রহমান।”
মধ্যনগর উপজেলার যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও কারা নির্যাতিত নেতা মোঃ সাজিবুল হক তালুকদার বলেন, দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে দেশের রাজনীতি পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনের দিকে এক সুস্পষ্ট গন্তব্যে পৌঁছাতে সম্ভাবণাময়। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ হওয়ায় রাজনীতির স্রোতদ্বারা এখন নির্বাচনী মাঠে প্রবাহিত হচ্ছে। তাই আগামীর বিএনপির শুদ্ধতা রাজনীতির পরিচ্ছন্ন বিশুদ্ধ জননেতা তারুণ্যের অহংকার, এবং ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী মাহবুবুর রহমান এর বিকল্প নেই। সুনামগঞ্জ ১ আসনে বিশুদ্ধ রাজনীতি চর্চার বর্তমান প্রেক্ষাপটে মাহবুবুর রহমান যোগ্য প্রার্থী হিসেবে জনমনে উঠেছে আলোচনার ঝড়।
তাহিরপুর উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারাও একই সুরে কথা বলেন। বাদাঘাট সরকারি ডিগ্রি কলেজ শাখার ছাত্রদলের আহবায়ক সুজন মিয়া, বালিজুড়ি ইউনিয়নের যুবদলের সভাপতি মো. জিল্লুর রহমান, তাহিরপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য মো. রায়হান উদ্দিন বলেন, “ক্লীন ইমেজের অধিকারী মাহবুবুর রহমানকে আমরা এমপি হিসেবে দেখতে চাই।”
জামালগঞ্জের যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও বিএনপির নেতারাও মাহবুবুর রহমানের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। তারা জানান, তরুণ নেতৃত্বই বিএনপিকে আগামী দিনে শক্তিশালী করতে পারবে।
ধর্মপাশা উপজেলার বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারাও মাহবুবুর রহমানকে ‘তৃণমূলের একনাম’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তাদের মতে, গত ১৭ বছর ধরে তিনি নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন, প্রতিটি ওয়ার্ড পর্যন্ত তার সরব উপস্থিতি ছিল।
সবমিলিয়ে, আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সুনামগঞ্জ-১ আসনে মাহবুবুর রহমান সরকারের মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে এক ধরনের আশাবাদ এবং প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে। তাদের মতে, যদি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে মাহবুবুর রহমান নির্বাচনে অংশ নেন, তাহলে তৃণমূল ঐক্যবদ্ধভাবে তাকে বিজয়ী করবে ইনশাআল্লাহ।