স্টাফ রিপোর্টার:
সেই সাধনা মহলের ১৫ মাসের কারাদন্ড
অসংখ্য বিয়ে, অবৈধ সম্পর্ক, পরকীয়া, এবং বিয়ে করে স্বামীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগে অভিযুক্ত সাধনা মহল (৫৫) কে ঢাকার মেট্রপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ১৫ মাসের সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করেছেন। মিথ্যা মামলা করে ভয় দেখিয়ে সর্বশেষ স্বামীর নিকট যৌতুক দাবী করার মামলাটি আদালতে প্রমানিত হলে ২০১৮ সালের যৌতুক নিরোধ আইনে সাধনা মহলকে এই সাজা দেয়া হয়েছে ৩১ জুলাই (২০২৫)।
মামলার বিবরনে প্রকাশ সাধনা মহল বিগত হাসিনা সরকারের ক্যাবিনেট সেক্রেটারি দুর্নীতিবাজ কবীর বিন আনোয়ার, শেখ হাসিনার অতি ঘনিষ্ঠ আজকের কাগজের সম্পাদক কাজী শাহেদ আহমেদের জেমকন/মীনা গ্রুপের চীফ একাউণ্টস অফিসার জাকির আহমেদ জাকির, বারিধারা ক্লাবের নেতা ও আওয়ামী-ব্যবসায়ী ইঞ্জিনিয়ার রশিদ, আওয়ামীলীগের ঘনিষ্ঠ বদরুল ইসলাম খানসহ ৭/৮ জন ধনাঢ্য ব্যক্তিকে বিয়ে করে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে বিশাল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেন। সাধনা তার সর্বশেষ স্বামীর বিরুদ্ধেও নারী-নির্যাতন, চুরি, ভীতি প্রদর্শন, যৌতুক চাওয়া সহ বিভিন্ন মিথ্যা অভি্যোগে সাতটি মামলা দায়ের করে ৮০ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবী করেন। ঐ টাকা দেয়া হলে সাধনা তার দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করবেন বলে বিভিন্ন দালালের মাধ্যমে স্বামীর কাছে প্রস্তাব পাঠান। এই প্রেক্ষিতে সাধনার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হলে যৌতুক চাওয়ার অভি্যোগটি আদালতে সাক্ষী-প্রমানের ভিত্তিতে প্রমানিত হয়। এছাড়াও বিবাহিত থাকা অবস্থায় ২০২৩ সালে তিন মাস বিদেশে অবস্থানকালে সাধনা মহল গনোরিয়া যৌন রোগে আক্রান্ত হলে তার স্বামী তার বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগে আরেকটি মামলা দায়ের করেন যা আদালতে বিচারাধীন আছে।
সাধনা মহলের বিরুদ্ধে বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুসহ বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তির সাথে “অতি-ঘনিষ্ঠ” সম্পর্ক, তদবির বানিজ্য, জুলাই বিপ্লবে আহত-নিহতদের পরিবারের জন্য ইউনুস সরকারের কাছ থেকে ক্ষতিপূরন আদায় করে কমিশন বানিজ্য করাসহ বিভিন্ন আইনবিরোধী ও অনৈতিক কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। মামলার অভি্যোগ থেকে বাচতে উচ্চ-পর্যায়ের তদবির করার জন্য সাধনা মহল রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছেন। বর্তমানে তিনি আমজনতা দলের কর্মী হিসেবে আইন মন্ত্রনালয়সহ বিভিন্ন উপদেষ্টার কাছে তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ব্যক্তিগত মামলা প্রত্যাহারের তদবির চালাচ্ছেন।