বদরুল আলম সোহাগ
মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিমান দুর্ঘটনায় নিহত শিক্ষক মাহেরীন চৌধুরী, মাসুকা বেগম ও মাহফুজা খানম মানবতা ও সাহসিকতার অনন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে জাতির কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
মঙ্গলবার বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথিভবন যমুনায় দুর্ঘটনায় নিহত তিন শিক্ষকের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “কিছুদিন পেরিয়ে গেলেও এই স্মৃতি এখনও দগদগে। আপনাদের শোক একার নয়, পুরো জাতি এই শোককে ধারণ করছে। একইসঙ্গে আমরা গর্বিত যে আমাদের দেশে এমন নাগরিক আছেন, যারা অন্যের জীবন বাঁচাতে আগুনে ঝাঁপ দিয়েছেন। তাঁরা মানবতার প্রতীক হয়ে উঠেছেন।”
তিনি আরও বলেন, “এই শিক্ষকগণ আমাদের গর্ব, আমাদের আদর্শ। তাঁদের স্মৃতি ধরে রাখতে যা কিছু প্রয়োজন, সরকার তা করবে।”
সভায় নিহত শিক্ষকদের স্বজনরা তাঁদের স্মৃতিচারণ করেন।
শিক্ষক মাহেরীন চৌধুরীর স্বামী মনসুর হেলাল বলেন, “ওর নিজের জীবন বাঁচানোর সুযোগ ছিল। কিন্তু ও বলেছিল—‘ওরাও তো আমার সন্তান, আমি ওদের একা ফেলে কী করে চলে আসি।’”
শিক্ষক মাহফুজা খানমের মেয়ে আয়েশা সিদ্দিকা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “আমি ভেবেছিলাম মা সুস্থ হয়ে ফিরবেন। কিন্তু মা চলে যাওয়ায় আমি এতিম হয়ে গেলাম।”
অন্যদিকে শিক্ষক মাসুকা বেগমের ভগ্নিপতি খলিলুর রহমান বলেন, “তিনি পরিবারের প্রতি নিবেদিত ছিলেন। বাবা-মা ও ভাইবোনের যত্ন নিতে তিনি সর্বোচ্চ চেষ্টা করতেন।”
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে এই সাক্ষাতে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরারসহ সরকারের একাধিক উপদেষ্টা।