প্রভাষক জাহিদ হাসান, নিজস্ব প্রতিবেদক:
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির বিরুদ্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘অপমানজনক’ মন্তব্যকে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক রীতিনীতির চরম লঙ্ঘন বলে আখ্যা দিয়েছে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি ট্রাম্প এক বক্তব্যে দাবি করেন, তিনি ইসরায়েল ও মার্কিন বাহিনীকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতাকে হত্যা করতে বাধা দিয়েছেন।
এক বিবৃতিতে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ট্রাম্পের এই বক্তব্য শুধু জাতিসংঘ সনদের আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার সংক্রান্ত মৌলিক নীতিমালাকেই উপেক্ষা করে না; বরং এটি একটি সম্মানিত সভ্যতাকে অবমাননা এবং বিশ্বমুসলিমের অনুভূতিতে আঘাত। ট্রাম্পের মন্তব্যকে ‘অশোভন ও কুরুচিকর’ বলেও উল্লেখ করেছে তেহরান।
প্রকাশ থাকে যে, গত ২২ জুন যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েলের সঙ্গে মিলে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়। যার জবাবে ইরান কাতারে অবস্থিত একটি গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এর ঠিক দুই দিন পরই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প একটি অস্ত্রবিরতির ঘোষণা দেন।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যুক্তরাষ্ট্রকে আহ্বান জানিয়েছে, তারা যেন উসকানিমূলক ভাষা বন্ধ করে এবং ইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর চালানো হামলার জন্য আন্তর্জাতিক আইনের কাঠামোয় জবাবদিহি করে। ইরান এবং মুসলিম বিশ্বের ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি ট্রাম্পের অবমাননাকর এবং ঔদ্ধত্যপূর্ণ ভাষা যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষুদ্র চিন্তাধারাকে তুলে ধরে, যা তাদের ‘সংলাপ ও সহযোগিতা’ প্রচেষ্টাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলে।