ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম
কাঁদছে আকাশ শ্রাবন ব্যথায়
মুষল ধারা রত!
অপেক্ষায় আমি, আসো না প্রিয়া
প্রথম দিনের মত!
নদী সাঁতরে, বৃষ্টি ভিজে
আসছো গেছি শত,
অসার কভু রুখতে পারে নাই
বাধ সেধেছে কত?
খাল বিল প্লাবিত দু’কূল
নদীতে নাই খেয়া !
নদী তটে জেলে নৌকা
ভয়ে জড়সড়, গর্জন শুনে দেয়া!
দিগন্ত জুড়ে ঘন-কালো মেঘ
বৃষ্টি পতন কন্ডনী ,
খিচুড়ি সাথে কত যে ভর্তা
ডাকছেন ডাইনিং এ গৃহিণী !
কবিতা লেখার প্লট পেয়েছো
খাওয়া-দাওয়া দিছো ছেড়ে!
ছেলের মায়ে কলমটা নেয়
হাত থেকে আমার কেড়ে !
চটজলদি ডাইনিং এ গেলাম
ডাইনিং এ আগল পড়ে?
খাওয়ার ঘর যদি বন্ধ করে দেয়
না খেয়ে যাবো মরে !
এমন মৌসুম আর পাবো না
শ্রাবণের নষ্টালজি —
ছেলে কে বললাম, দেখোতো বাবা
তোমার মা টা কেমন পাঁজি ?
মৃণালিনী প্রমিলা লাবন্য কি
ছিলেন এমন বেরসিক?
হেঁসে জবাব দেন হেশেল ম্যানেজার
আলবাত ছিলেন, লাবন্য ছিলেন না আমার মত আশিক !
অন্তর্ভেদী আসাদন করে
আমার মনের কথা!
বৃষ্টি তখন ও ঢেলে যাচ্ছে
টিনের চালে গাছের ডালে
ইচ্ছে যথা তথা!