লেখকঃ ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম
ডঃ ইউনূসের আগমনে ভুলে গেলাম দলীয় যত সরকার এসে ছিলেন তাদের কায়া ছায়া! কার আমলে গ্রেনেড হামলা হয়েছিল , কোন আমলে পাঁচশ সিরিজ বোমা ফাটলো, কে দশ ট্রাক অস্ত্র আনলো, কোন আমলে পাঁচশ ষাট টা মসজিদ হলো, কোন আমলে ছাব্বিশ লক্ষ ভারতীয় চাকরির ভূয়া খবর প্রচারিত হলো, কোন আমলে কোন প্রধান মন্ত্রীর পিয়ন চারশো কোটি টাকা বানালো, কোন আমলে দেড় লক্ষ টাকায় সেল ফোন বিক্রি হতো আর কোন আমলে সে ফোন দশ হাজারে নেমে এলো। কে দেশে চাঙ্কির আদলে বিমান বন্দর বানালো বা পদ্মা সেতু করতে যেয়ে কে বিশ্ব ব্যাঙ্কের গ্লোবাল ভূ-রাজনৈতিক গ্যাড়া কলে পড়লো!
শুধু নিরপেক্ষ সতন্ত্র সরকার নোবেলবিজয়ী ডঃ ইউনূসের মঙ্গল কামনায় দোয়া ইউনূস পড়তে থাকলাম, ভাবলাম মালয়েশিয়ার মাহাথির মোহাম্মদ কে পেয়ে গেলো বাঙালিরা! এবর আর বাংলাদেশের সম্পদ পাচার হবে না, রোজ তিনি মেঘনা সেতু, দ্বিতীয় পদ্মা সেতু উদ্বোধন করতে যাবেন, দ আইনশৃঙ্খলা ধনী-গরিব সমান নজরে থাকবে! বৈদেশিক রিজার্ভ প্রতি বছর ২৬ বিলিয়ন পাচার বন্ধ হলে ভারত ছাড়িয়ে যাবে আমাদের রিজার্ভ ফান্ড!
“ডঃ ইউনূসের সময় দুধের নহর মধুর শহর হবে বাংলাদেশ বলায় “প্রগতিশীল সাহিত্যিক সহধর্মিণীর ধমক ও শুনলাম, ভাত জুটবে না জনগনের, সে ভবিষ্যৎ বাণী ও তিনি করতে ছাড় দিলেন না! ” ভাবলাম মেয়ে মানুষ যতোই থাকুক একাডেমিক সনদ, তার আক্কেল কম হবে, এমন হতে ই পারে না! এই স্যার নোবেল বিজয়ী হয়ে দেশে এলে কত গর্ব ভরে আর্টিকেল লিখেছি, তিনি আশাতিপর বৃদ্ধ, কি’বা আছে চাওয়া-পাওয়া?
ওমা সেকি, আটই আগষ্ট পর বুঝে ফেললাম উন্নয়নশীল দেশের দরজার থেকে দেশ উল্টো রথে চলা শুরু হলো! তিনি নিজ নোবেল ট্যাক্স ও ফ্রী করে নিলেন, ম্যানপাওয়ার রপ্তানি থেকে গ্রামীণ ব্যাংক সরকারি শেয়ার কমিয়ে আনলেন, কে কোথায় মরে, কার বাড়ি ডাকাতি হয়, কে গুম করে কে খুন হয় তাতে সরকারের কি’বা আসে যায়। যত সন্ত্রাসী জেল খুলে ছাড়া হলো তার কয়েকগুণ সরকারি মদদে ছেড়ে দেয়া হলো! কোথায় মাহাথির মোহাম্মদ ইনিতো “রোমের নিরো!”
প্রিয় দেশনেত্রী খালেদা জিয়া যিনি তিনবারই দুর্নীতি চ্যাম্পয়ান হয়েছিলেন, তিনি বললেন, “গত ১৫ বছরে যা টাকা পাচার হয়েছে এই সরকার আট-নয় মাসে তা বিদেশে সরায় ফেলেছে!” অবশ্য নিজের আমলে চল্লিশ সুটকেসের ভিতর কি নিতেন তা বললেন না!
হ্যা, বিদেশ উপদেষ্টা বললেন, অনেক আগেই আমরা সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছি, পরিবেশ উপদেষ্টা বললেন, “সেন্ট মার্টিন যাওয়া নিষেধ,” প্রবাল বাঁচাতে হবে! তাতো বলবেন, পরিবেশ বলে কথা! তিনি পারলে হিমালয় যাওয়া ও নিষেধ করতেন! আজ একটা ভিডিও কেউ পাঠালেন, সত্যি মিথ্যা বুঝিনা, আইন উপদেষ্টা বলেছেন, বিগত দিনের ৯৫% মামলা ডিলিট হয়ে যাবে! দারুন ভালো লাগলো, বাঘের বাচ্চা, মামলা জট কমাতে হবে না? এসব কাজ কি খালেদা হাসিনা পারতেন? লম্বা লোকটার মাথা কেটে দেশের সব লোকের উচ্চতা এক করে দেয়া!আহ্ মাইরি বলছি, তার দীর্ঘ আয়ু কামনা করছি!
তিনি ছাব্বিশ লাখ ভারতীয় চাকুরীজীবি বাংলাদেশে চাকুরির তথ্য দাতা, তা খুঁজলেন না!
মুজিব হত্যার পর কত ভূয়া কথা শুনলাম, জনাব আসিফ নজরুল কে দোষ দেবো কেন? মসজিদে উলুধ্বনি হবে, পদ্মা সেতু ভেঙে পড়বে, ভারতের কাছে বাংলাদেশ বিক্রি হবে ইত্যাদি!
প্রিয় পাঠক, ভারত আমাদের মত ই ওভার পপুলেশনে জর্জরিত, তারা টাকা পাবে কই বাংলাদেশ কিনতে! যাদের টাকা আছে তাদের ডেকে এনেছেন, আপাতত ট্রেইলার দেখছেন,পুরা ফিল্ম আভি বাকী হ্যায় জনাব!
দূরদৃষ্টি ফোকাস করলে দেখা যায়, ১৭৫৭ সালে ফিরে গেছি! পলাশীর অম্রকাননে চৌত্রিশ হাজার সেনা নিয়ে দাড়িয়ে থেকে পয়সা দিয়ে কেনা ভাড়াটিয়া ইংরেজ চার হাজার সেনাদের কাছে পরাজিত সেনা প্রধান প্রথমে ক্ষমতায় বসলেন, তিনি কিক আউট এবং জামাতা মীর কাশেম ক্ষমতায় বসলেন, তারপর লর্ড ক্লাইডের আবির্ভাব হলো মসনদে! আহম্মক রা বুঝলো দুইশো বছর পর! এর মাঝে কত লর্ড এলো গেলো সেই লর্ড ডালহৌসি, লর্ড হেস্টিংস, লর্ড উইলিয়াম বেন্টিংক ইত্যাদি। কত দেশপ্রেমিক জীবন দিলো, প্রীতিলতা, ক্ষুদিরাম, নন্দলাল, তিতুমীর প্রায় বিলিয়ন দুই ধরুন, তারপর এলো ১৯৪৭ সাল!
প্রথমে জনরোষ ঠেকাতে একই চেহারার লোক দিয়ে শাসন এবং দরিদ্র সীমায় পৌঁছে দেয়া এবং দুর্বল হলে তারপরে আসল লাল চামড়া! কালো চামড়া হইলেই বাঙালি বাংলাদেশী ভাবার কিছু আহম্মক সব যুগে ছিলো আছে তারা আবার অনেক একাডেমিক সনদ সংগ্রহ করে ফেলেছে মুখস্থ বিদ্যায়! আক্কেল, আই-কিউ বাড়ে নাই!
পরাজয় বরন করলাম সহধর্মিণীর কাছে,
যাকে মেয়েমানুষ বলে অবজ্ঞা করেছিলাম ১১ মাস পিছে!
আজ শুধু গলা কেটে মৃত্যু নিশ্চিত নয়। পাথরের পর পাথর মেরে নিশ্চিত হয়! সেনা পুলিশ কোন প্রশাসনের নাই তেমন দায়! এদিকে চলছে আন্তর্জাতিক নাট্যমঞ্চে প্রহসনের নাটক! কখন ও ইসরায়েলের পরে গোস্বা তো কখনও বর্তমান বাংলাদেশ সরকার কে সন্ত্রাসী রাস্ট্রের বীজবপনে দোষারোপ! পলিসি মেকার কে, এমন ব্যর্থ রাষ্ট্র বাংলাদেশ কে বানানোর? আগেই বলছি কিছু বাংলাদেশীদের কথা! তারা গেয়ে বেড়াচ্ছে, বুঝুক ইউনূস এবার ঠ্যালা! এরা কোনদিন যাত্রা থিয়েটার নাটক দেখেছে তা মনে হয় না! ইসরায়েল বিল্ডিং গুড়ো হলে ৫০০ বিলিয়ন লোন নিবে, সুদ সহ পরিশোধ করতে থাকবে! ইরানের সাথে যুদ্ধ থাকলে অস্ত্র কিনতে থাকবে! আরবীয় সব দেশ আগের মত অস্ত্র কিনবে! ইউক্রেনের সম্পূর্ণ ভূ গভীরের সম্পদ দলিল হাতে পেয়েছে, সিরিয়ায় পরোক্ষভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শাসক তারা আরবী কথা জানে, একসময় সিরিয়ার নাগরিক ছিলো, প্রিয় পাঠক, আমেরিকার আদি আমেরিকা বাসী মাত্র ১/২/৩/৪/৫ % বাকী সব মাই গ্রে টেড দক্ষিণ এশিয়ার, ল্যাটিন আমেরিকার, আফ্রিকার, প্রচুর ভারতীয়। যে সব মার্কিন নাগরিক তাদের যেদেশের বংশধর সে পাসপোর্ট অনেক আগে পুড়িয়ে ফেলেছে তাদের পাঠানো হয় দখলকৃত দেশ শাসনে আপাতত জনগণকে আইওয়াশে রাখতে!
ভালো থাকেন সুস্থ থাকেন নিজ দেশকে ভালোবাসেন।