সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ০৭:০০ অপরাহ্ন

একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য ভাস্কর হামিদুজ্জামান খান এর মৃত্যুতে খুলনা আর্ট একাডেমি গভীরভাবে শোকাহত

Coder Boss
  • Update Time : রবিবার, ২০ জুলাই, ২০২৫
  • ১৭ Time View

 

চলে গেলেন দেশের গর্ব – হামিদুজ্জামান খান।

 

জন্ম ১৬ মার্চ ১৯৪৬ কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ বিভাগ।মৃত্যু২০ জুলাই ২০২৫ (বয়স ৭৯)।ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হসপিটাল, ইউনাইটেড সিটি, মাদানী এভিনিউ, ঢাকা, বাংলাদেশ।জাতীয়তা বাংলাদেশী,মাতৃশিক্ষায়তন ঢাকা আর্ট কলেজ (বর্তমানে চারুকলা অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ) তিনি রেখে গেলেন তাঁর অনবদ্য শিল্পকর্ম, অগণিত ছাত্রছাত্রীর হৃদয়ে ছাপ এবং দেশের শিল্প-ইতিহাসে চিরভাসমান অবদান। গতো ১৫ই  জুলাই ২০২৫ সালে গুরুতর অসুস্থ হয়ে হামিদুজ্জামান খান ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হপসপিটালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ভর্তি হন। তিনি ডেঙ্গু ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ছিলেন। ভর্তি হওয়ার ৫ দিন পর অর্থাৎ ২০ই জুলাই২০২৫ রবিবার সকাল ১০টা ১০মিনিটে  তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার মৃত্যুকালীন বয়স হয়েছিলো ৭৯ বছর।হামিদুজ্জামান খান ১৯৭০ থেকে ২০১২ পর্যন্ত তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ভাস্কর্য বিভাগে অধ্যাপনা করেছেন। ফর্ম, বিষয়ভিত্তিক ও নিরীক্ষাধর্মী ভাস্কর্যের জন্য সুপরিচিত ভাস্কর হামিদুজ্জামান খান। ১৯৮৮ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় রাজধানী সিউলে অলিম্পিক ভাস্কর্য পার্কে ‘স্টেপস’ ভাস্কর্য স্থাপন করেন। এর পর আন্তর্জাতিক পরিসরেও তার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। ক্যানভাসে হামিদুজ্জামান খান জলরঙ ও অ্যাক্রেলিকে বিমূর্ত ধারায় ফুটিয়ে তোলেন নিসর্গ ও মানবশরীর।আশুগঞ্জে সার কারখানায় ‘জাগ্রত বাংলা’, সিলেট ক্যান্টনমেন্টে ‘হামলা’, বঙ্গভবনে ‘পাখি পরিবার’, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সংশপ্তক’ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে ‘শান্তির পায়রা’, ঢাকা সেনানিবাসে ‘বিজয় কেতন’, বাংলাদেশ ব্যাংক ভবন প্রাঙ্গণে ‘ইউনিটি’ তার উল্লেখযোগ্য ভাস্কর্য। ২০১৭ সালে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর ‘হামিদুজ্জামান খান ১৯৬৪-২০১৭’ শিরোনামে তার রেট্রোস্পেকটিভ প্রদর্শনীর আয়োজন করে।উচ্চকক্ষ নিয়ে দু’দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত: আলী রীয়াজউচ্চকক্ষ নিয়ে দু’দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত: আলী রীয়াজ এই শিল্পীর একক প্রদর্শনী হয়েছে ৪৭টি। হামিদুজ্জামান ২০০৬ সালে শিল্পকলায় অবদানের জন্য একুশে পদক লাভ করেন। ২০২২ সালে বাংলা একাডেমি ফেলো নির্বাচিত হন। হামিদুজ্জামান স্যারের  জীবনী ২০১০ সাল থেকে খুলনা আর্ট একাডেমির পরিচালিত চারুকলা ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের নিয়ে যাত্রা শুরু করেন। সেই থেকে খুলনা আর্ট একাডেমির ১৬ টা ব্যাচ অতিক্রম করেছে তার জীবনী এবং তার শিল্পকর্ম অসংখ্য শিক্ষার্থীরা পড়ে ২২২ জন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় পড়ার সুযোগ পেয়েছে খুলনা আর্ট একাডেমি থেকে।তাই খুলনা আর্ট একাডেমির পরিবার  স্যারকে হারিয়া খুবই ব্যথিত। খুলনা আর্ট একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস বলেন নবীন প্রজন্মরা তার কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে এই দেশের শিল্পচর্চার সুযোগ পেয়েছেন। তিনি আমাদের মাঝে আর ফিরে আসবেনা কিন্তু শিল্পীদের কখনো মৃত্যু হয় না তার অসংখ্য কর্মকাণ্ড তার সৃষ্ট সকল শিল্পকর্ম নবীন প্রজন্মরা পড়ে শিল্পচর্চায় পারদর্শী হবে। তাই তিনি সকল শিল্পীর মাঝেই বেঁচে থাকবেন আজীবন।

স্যারের মৃত্যুতে খুলনা আর্ট একাডেমির পরিবার গভীরভাবে শোকাহত এবং স্যারের পরিবার , শুভাকাঙ্ক্ষী এবং শিক্ষার্থী সবাই যেন এই শোক কাটিয়ে পুনরায় স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে এমন প্রত্যাশায় বিনম্র শ্রদ্ধা জানায় চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক খুলনা আর্ট একাডেমি। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024 Coder Boss
Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102