রোকশানা খানম লিপি
কবিতা লেখার হাত আমার পুড়ে গেছে,
কলমে ঝরছে আমার শিশুর রক্ত,
জগদ্দল পাথরের মত বুকে জমাট বেঁধেছে
স্বজন হারার ব্যথা,আমি করিতে পারিনা ব্যক্ত।
কত আদরের শিশুরা আমার কত ভালোবাসার
গিয়েছিল বিদ্যাপীঠে জ্ঞান অন্বেষণে,
যে জায়গাটি হবে সবচেয়ে নিরাপদ, সুরক্ষিত।
কেন ফিরলো না তারা আর মায়ের কোলে
কী তাদের অপরাধ, একি শুধু নিষ্ঠুর নিয়তি?
আমাদের দায় নাই কিছু তার?
প্রশিক্ষণ বিমান কেনো লোকালযে,
বহুতল পাঠ্যভবনটিই বা কেনো উড্ডয়নক্ষেত্রের পাশে?
ত্রুটিপূর্ণ পুরাতন বিমান দিয়ে হয় প্রশিক্ষণ,
নতুন বিমান কেনার সামর্থ্য নেই এদেশের!
মন্ত্রী অমলাদের কোটি কোটি কালো টাকা জমা হয় সুইস ব্যাংকে কিম্বা অন্যত্র।
আমাদের মাথার উপর উড়ে পুরনো বিমান
যা যেকোনো সময় হতে পারে বিধ্বস্ত।
আহতরা ঘুরে চিকিৎসাবিহীন হাসপাতালের দ্বারে দ্বারে,
সংকটকালে জীবনের চেয়েও পানি বিকায় বেশি দামে,
পঞ্চাশ টাকার ভাড়া নরাধম পাঁচশো টাকা হাকে।
যে শিশুরা হারিয়ে গেল আমার,বা মৃত্যুর সাথে আজ লড়ছে যারা পাঞ্জা,
তাদের কাছে কি জবাব দেব আমি?
আমি যে বইতে পারছি না এ দায়ভার।
প্রাণ প্রাচুর্যে ভরা ধরণীর এ ফুল গুলোকে
পরিপূর্ণরূপে ফুটে ওঠার পরিবেশ দিতে পারিনি,
দিতে পারিনি অভয়, দিতে পারিনি কোন সুরক্ষা।
এ প্রজন্মের কাছে আমাদের ছিলনা কী কোনো অঙ্গীকার?
ধরণী তুমি দ্বিধাহও পাতালে প্রবেশ করি এবার।