মোঃ জুয়েল খাঁন, খুলনা বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান
খুলনা নগরীর বয়রা পুলিশ লাইন্স মাল্টিপারপাস হলে কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন কেএমপি’র সুযোগ্য পুলিশ কমিশনার জনাব মোঃ জুলফিকার আলী হায়দার।
উক্ত সভার শুরুতে বিগত কল্যাণ সভায় উপস্থাপিত প্রস্তাব সমূহের সিদ্ধান্ত ও বাস্তবায়নের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করা হয়। অত:পর সভায় উপস্থিত বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ সদস্যদের উত্থাপিত সমষ্টিগত দাবী-দাওয়ার বিষয়গুলো পুলিশ কমিশনার মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করেন এবং সেগুলো দ্রুত সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট অফিসারকে নির্দেশনা প্রদান করেন সভায় খুলনা বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ডা: সৈয়দ একেএমএন করিম ডেঙ্গু প্রতিরোধ এবং ভাইরাস জ্বর হলে করণীয় বিষয়ে মূল্যবান পরামর্শ প্রদান করেন।
এবং বাংলাদেশ পুলিশে দীর্ঘ চাকুরী জীবন শেষে ৭ জন পুলিশ সদস্য এবং ১ জন নন পুলিশ সদস্য (মিনিস্ট্রিয়াল স্টাফ) অবসরে যাওয়ায় পুলিশ কমিশনার তাদের ফুলেল শুভেচ্ছা, ক্রেস্ট ও উপহার সামগ্রী প্রদান করেন। একইসাথে তাদের অবসরকালীন সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
পুলিশ কমিশনার তাঁর বক্তব্যে বলেন, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ এর সর্বস্তরে সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য সুপারভাইজিং পদের কর্মকর্তাগণ অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে কাজ করছে। তিনি পুলিশ সদস্যের চেইন অব কমান্ড মেনে চলা, নিয়মিত শারীর চর্চা, ধর্ম চর্চা, পুলিশ লাইন্স ব্যারাক, থানা, ফাঁড়ি কম্পাউন্ড পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখাসহ বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। খুলনা মহানগরীর আইন-শৃঙ্খলা সমুন্নত রাখতে সবাইকে আন্তরিকভাবে একযোগে কাজ করার আহবান জানান।
উক্ত কল্যাণ সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন কেএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এ্যাডমিন এন্ড ফিন্যান্স) জনাব আবু রায়হান মুহাম্মদ সালেহ; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) জনাব মোহাম্মদ রাশিদুল ইসলাম খান; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক অ্যান্ড প্রটোকল) জনাব মুহাম্মদ শাহনেওয়াজ খালেদ, পিপিএম-সেবা-সহ বিভিন্ন পদমর্যাদার অফিসার ও ফোর্স সহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স মিডিয়াম ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।