লেখকঃ ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম
বিনম্র শ্রদ্ধা হে লিডার।
মানুষ জন্মসূত্রে স্বার্থপর! ধর্ম তাকে বাঁচতে বলে “আমি তুমি সে” নিয়ে, মানুষ ধর্মের ঝান্ডাধারী কিন্তু জীবন তার “আমি আমি ও আমি” নিয়ে!
অর্থাৎ ধর্মের ভন্ড শুরু থেকে! কর্তব্যের ভন্ড সে আরও বড়! অধিকার ভোগ করতে চায় কিন্তু অধ্যাপক লাস্কীর রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সজ্ঞা “Rights implies duties” মেনে চলে না! আবার এই মানুষ সব নিয়ম ভঙ্গ কারী, লোভী, স্বার্থপর, হিংসুটে, ভূমিদস্যুতায় ডক্টরেট হয়ে ও “সৃষ্টির সেরা জীব সাজতে হাত বাড়িয়ে দেয় রাখি বন্ধন পরানোর মত!
প্রিয় পাঠক, আমার বিষয় সমষ্টির বেঈমানী এবং বিস্মৃতি! আমি একজন মানুষ, আমি মনে রাখি জীবনের প্রথম অধ্যায় কোন লোকটা আমার জীবন গড়ার পথে হাত বাড়িয়েছিলেন! আপনি একটা মানুষ, একটা group of people’s leader, আপনার রাজনৈতিক দলের হাটি হাটি পাপা করে এগুনোর struggle যারা ভোগ করেছেন তাদের মনে রাখেন না কেন?
ধরুন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, কবে কোন সিনেমা হলে সন্মেলনে জন্ম নিয়েছিলো, কে সেদিন সভাপতি হয়েছিলেন, কে সাধারণ সম্পাদক, তারপরও এগিয়েছে জেল-জরিমানা সহ্য করে দলটা, একসময় ১৯৫৭ সাল থেকে ১৯৬৬ পর্যন্ত মোট নয় বছর ছিলো মাওলানা “আব্দুর রশীদ তর্কবাগীশ” আওয়ামীলীগের সভাপতি কাল, তখন ছিলো আইয়ুব খানের ঝড়ো তান্ডবের সময়! বার-বার গ্রেফতার হয়েছেন আওয়ামী সভাপতি! তিনি ১৯৫২ সালে ভাষা শহীদদের জন্য প্রাদেশিক পরিষদ অধিবেশনে ছাত্র হত্যার প্রথম প্রতিবাদকারী। ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট টিকিতে গণপরিষদের সদস্য ছিলেন! ১৯৭০ সালে পাবনা থেকে এমএনএ নির্বাচিত হোন!
১৯২২ সালের ২৭ শে জানুয়ারি বিলেতি পণ্য বর্জনের ডাক দিয়ে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা হাটে সব বিলেতি কাপড় পুড়িয়ে দেন এবং বৃটিশ সরকারের পুলিশ গুলিতে কয়েক হাজার বাঙালি আহত নিহত হন! মাওলানা তর্কবাগীশের নেতৃত্ব সে আন্দোলন ছিলো বলে তাকে গ্রেফতার করা হয়!
২০ শে আগষ্ট ছিলো তার মৃত্যু দিবস! এমনি কত ২০ শে আগষ্ট নীরবে কেটে গেছে স্বাধীনতার পক্ষের দল আওয়ামীলীগ বা সরকার তাকে স্মরন করে নাই। আঃ রশীদ তর্কবাগীশ বঙ্গবন্ধু হত্যার পর প্রথম ব্যক্তি যিনি টুঙ্গিপাড়া বঙ্গবন্ধুর মাজার জিয়ারত করতে গেছেন!
পাঠক, যে দলটার সভাপতি ছিলেন দুইজন মাওলানা, আঃ হামিদ খান ভাসানী ও আঃ রশীদ তর্কবাগীশ, সে দল নাস্তিকের দল তা দাড় করাতে বিএনপি জামাতের বেশী কষ্ট করতে হয় নাই, কারন আওয়ামীলীগ বরাবর ই গা ভাসানো একটা দল, যারা জনগণের ভুল ভাঙার চেষ্টা করে না কখন ও! একটা মিথ্যা বার-বার অশিক্ষিত জনগণের মধ্যে ছড়ালে তা সত্যি হয়ে দেখা দেয়!
জানি না কোন দোষে মাওলানা তর্কবাগীশের মৃত্যু দিবস টা আওয়ামী সরকার কখনও পালন করতেন না বা দল হিসাবে আওয়ামীলীগ কেন এড়িয়ে গেছে বরাবর!
ভালো থাকেন সুস্থ থাকেন যার যা প্রাপ্য তাকে ততটুকু মর্যাদা দিন অন্যথায় ইতিহাসের পাতায় অবশ্যই তিনি জায়গা করে নিবেন! আজ এই সব জাতীয় নেতারা নতুন প্রজন্মের কাছে বিস্মৃতির অতলে তলিয়ে যেতে বসেছে!