টিয়ে কথা বলে
---------------------
খাঁচার ভেতর বন্দী টিয়ে,
দারুণ কথা বলে।
একালা ঘরে বন্দী খাঁচায়,
টিয়ের জীবন চলে।
মালিক জিগায় টিয়ে তোর,
মনটা খারাপ কেন।
খাওয়া দাওয়া নাই তো কিছু,
চুপটি থাকিস যেন।
এই বাড়ীতে কতো কুটুম,
আসে আর যায়।
টিয়ের সাথে বলে কথা,
হাতটা দেয় আগায়।
টিয়ে পাখি মনের দুখে,
গায় যে দুঃখের গান।
বন্দী খাঁচায় দিন রাত,
প্রাণ করে আনচান।
একদা এক কুটুম আসে,
বড্ড ছিলো ভালো।
জিগায় সে টিয়ে তোর,
মনটা কেন কালো।
টিয়ে তখন মনের কথা,
বল্লো তারে খুলে।
আমার কিছু লাগে না ভালো,
বন্দী খাঁচায় ঝুলে।
একবার যদি খাঁচার দুয়ার,
পেতাম আমি খোলা।
আকাশটাকে দেখতাম ঘুরে,
মনটা দেয় যেন দোলা।
-------------------
বসন্তের সাজ
-------------------
বসন্তকাল সতেজ বাগান,
নানা রঙের ফুল।
ফাগুনের মুক্ত হাওয়ায় ফুলগুলো,
দুলছে দুল দুল।
বসন্তের ফুলের শোভায়,
শোভিত ফুল বাগান।
ভোমরা গুলো বেড়ায় উড়ে,
গায় যে সুখের গান।
প্রজাপতির মনে ধরেছে,
হরেক রকম রঙ।
ভ্রমরাগুলো নাচছে আর
সাজছে যতো সঙ।
---------------------------------
একুশ মানে মায়ের ভাষা
---------------------------------
একুশ মানে মায়ের ভাষা,
একুশ মায়ের ভক্ত।
একুশ বাহান্নের শহীদ ভাইয়ের
অশ্রু ভেজা রক্ত।
একুশ মানে ভাইয়ের কান্না,
একুশ বোনের কান্না।
একুশ মায়ের আচল,
গড়ায় অশ্রুর বন্যা।
একুশ মানে ধরি হিম্মত,
একটু নয় শির নত।
একুশ মানে একতাবদ্ধ,
মোরা বাঙালি যতো।
একুশ মানে রক্তে রাঙা,
লাল সবুজের পতাকা।
একুশ মানে মায়ের কাছে,
মায়ের মুখে শিখা ভাষা।