লেখকঃ ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম।
আমরা কুরআন তর্জমা শুনতে আগ্রহী নই, যা শিখেছি যা বুঝেছি তার উপর কেউ নাই, এই ধর্মীয় অহমিকা আমাদের মুল পতন।
হজ্ব করতে গেলাম, হজ্ব নয় যেন ফটোসেশান! অথচ যতদূর থেকে কা’বার পথে মিনার দেখা যায় শরীরে শিহরণ বোধ করেছি বরাবর। এতদূর থেকে এত পয়সা খরচ করে আল্লাহর ঘরের কাছে আসছি যতক্ষণ আছি তাকে হাজির জেনে শুধু তার কাছে পানা চেয়ে নেই। এই মানসিকতার মুসলমান মাইক্রোস্কোপিক!
ফটো তুলে ফেসবুকে দিয়ে দেখাতে হবে আমি কাবা গৃহের কাছে, নবী করীম সঃ এর রওজার কাছে।এ ব্যাপারে পুরুষ থেকে মহিলারা কিছুটা এগিয়ে। কাবায় তওয়াফের সময় নারীপুরুষ অনেক ব্যবধানে চলা যায় না। ধাক্কা, এমন কি নারী উরের সফট টাচ লেগে ও যেতে পারে কারন শারিরীক গঠন মিশর সহ বেশ কিছু দেশের নারী দারুন, মানুষ থেকে বুক আগে।
এমনি নবীর রওজায় ফেরেশতাদের দিকে হাত তুলে দোয়ার সময় (তখন জায়গা বেশ চাপা ছিলো) আমার বুক ভায়রা মোনাজাত ছেড়ে দিয়ে বলেছিলেন, “সিরাজ মিয়া ঈমান আমান সব গেলো।” মোনাজাত শেষে দেখলাম এক বিরাট বপু মিশরীয় নারী তার শরীরে তখনও উর ঠেকিয়ে অন্য মনস্ক, অন্য দিকে ছয় ফিট লম্বা এক সূদানী নারী তাকে বোগলের নিচে ফেলে দাড়িয়ে। এত ই ভিড় এবং জন চাপ বের হওয়ার পথ নাই সিস্টেম ছাড়া।
প্রিয় পাঠক, হজ্বের মনোযোগ না দিয়ে ফটো তোলায় খেয়াল দেয়া ধর্মীয় অনেক ভুল। আমার সহধর্মিণী তওয়াফের আগে বাসায় বসে আমার এবং ছেলের মোবাইল নিয়ে ব্রিফকেসে আটকায় রেখে যেতেন।
৫/৬ বছরের মেয়েকে বোরকায় ঢাকা, নামাজ পড়ানো, রোজা রাখায় প্রচার করা আর এক ধর্মীয় ভন্ডামি। এ বয়সে সূর্য রশ্মি গায়ে লাগানে প্রয়োজন তার anotomy
Growth এমন ডিমান্ড করে।
কুরআনে বলা হয়েছে, “বালেগ” হওয়ার পর থেকে তার কর্মে পাপ পূন্যের হিসাব লেখা হয়। বালেগ বলতে কুরআনে ছেলে মেয়ে উভয়ের সমন্ধে বলা হয়েছে।
কিশোরীঃ
ফ্লাট হিসাব ১৫ বছরের পর।
বিশ্লেষণ —
১.পিরিয়ড শুরু,
২. Nocturnal emission,
৩.Breasts enlargement
৪.গর্ভধারণ ability.
এসবের আগে একটা বাচ্চাকে নামাজ রোজা বোরকা হিজাব নেকাব পরানো ধর্মের নামে ধর্মের বিতৃষ্ণা ও জটিলতা সৃষ্টি করা! ১৫ বছর বয়সের আগে নবী করীম সঃ ছেলেদের যুদ্ধে যেতে দেন নাই।
এসব যে সব শিক্ষিত মায়েরা করেন তাদের ভিতর আর একটা পাপ জন্ম দেয়, আহ আমার পরিবার কত ধার্মিক! আর ঐ মাকে শিক্ষাদীক্ষা মাস্টার্স ডক্টরেট ডিগ্রি Man করে নাই, বৃটিশ বুঝেই এদের মানুষ না বলে
Woman বলেছেন। এমনি কনজার্ভেটিভ নারীরা স্বামীর ব্যপারে ও কুরআন অতি গরজী, ছাগলের মত নিজ গলায় রশিটা লাগিয়ে স্বামীর হাতে ধরায় দেন! তাই বেতন এনে স্বামীকে দিতে হয়, এমন কি বাইরে যেতে দুজন বডিগার্ড লাগে কিন্তু জব অধ্যাপকের বা সরকারি অফিসার ! পেনসনের টাকা স্বামীর একাউন্টে যাবে এমন চুক্তি মেনে অবসরপ্রাপ্ত হওয়ার আগে ব্যবস্হা মেনে নেন আবার নারী অধিকার, পুরুষ শাসিত সমাজকে গালি দেন। বাইরে অধ্যাপক ম্যাডামের একা যাওয়া চলবে না বডিগার্ড ছাড়া, ফেজবুক প্রফাইল ছবি ও স্বামী সহ দিতে হবে।
কুরআনে নারী পুরুষ সমান বলা হয়েছে। কারো পায়ের নিচে কারো বেহেশতে না। পাপপুণ্যের হিসাব ও যার যার আজীবন কর্মের হিসাবে নির্ধারণ হবে। সম্পত্তির অধিকার, সংসার চালানো খরচ কঠোর ভাবে পুরুষ কে নির্দেশ আছে।পুরুষ কে উদার হতে বলা হয়েছে, নারী অধিকার সংরক্ষণ, নারী সহযোগী, দাসী নয়, (সূরা নিসা), কন্যা সন্তানের পরে বৈষম্য কঠোর হুশিয়ারি দেয়া
আছে! নারীকে অপবাদ, অমর্যাদা, হেয় করায় শাস্তির কথা বলা হয়েছে।
প্রিয় পাঠক, নারী পুরুষ উভয় কে লজ্জা স্হান হেফাজত করতে বলা হয়েছে। আমরা নারীকে দশ গজে ঢাকি নিজে ব্যাংকক সিঙ্গাপুর গুলশান বানানী থ্রি স্টার হোটেল ঘুরি। এ জন্য ও নারীর অতি ধার্মিকতা ও অতি নীচুতা দায়ী, তাসলিমা নাসরিন বলেছেন, ততদিন নারী পুরুষের চড়থাপ্পড় খাবে যত দিন — ইঞ্চি হাত ছাড়ার ভয় পাবে! আর্থিক সক্ষমতা অর্জন না করবে।
বাচ্চা দের বোরকা, নামাজ রোজা হয়তো অনেকে অভ্যাস করানো ভালো বলতে খাড়ায় যাবেন।
আসলে ধর্মকর্ম মানসিক, ঈমান আনে মন, মনের maturity আগে এসব জোর জবরদস্তি, শো, কোন সওয়াবের কাজ না। এটা দম্ভ, শো, শিশু নির্যাতন! আল্লাহ ভন্ডামি চান না অন্তর খোঁজেন।
ইহারা বেহেশতে প্রবেশ করিবে নাঃ
১. শিরক কারী
২. বিন্দু মাত্র হিংসা মনে পোষন কারী।
৩. ভাগ্য, নিগ্রহের দীর্ঘশ্বাস অবিশ্বাসী
৪. মিথাবাদী
৫. অহংকারী
৬. নির্যাতন কারী (দৈহিক বা মানসিক)
৭. চোগলখোর
৮. আত্মহত্যাকারী
৯. শো ধার্মিক (আমি সেরা ধার্মিক)
১০. আপনজনের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন কারী
১১. ঋণনিয়ে মৃত্যু।