লেখকঃ দেবিকা রানী হালদার
একজন কবি হিসাবে কবিতা কি, কবির দায়িত্ব, ধর্মীয় অনুভূতি এবং মানবতা নিয়ে কথা বলবো!
কবিরা মানুষের নানাবিধ অভিঘাত নিজের মত করে অনুভব করতে পারেন! অনুভূতি, বিচ্ছেদের মর্ম ব্যথা, স্পর্শ কাতরতা, হাসি আনন্দ, সাংসারিক জীবনের দ্বন্দ্ব সংঘাত, ব্যর্থ প্রেমের দুঃখ বেদনা, সমাজ রাষ্ট্রের আচরন নিপিড়ন, শেষ জীবনের অসহায়ত্ব একাকিত্ব, অবহেলা, কোন দেশের মৌলবাদী থাবা, ধর্মীয় সংখ্যা লঘূর অসহায়ত্ব, ইত্যাদি কবির মত অন্তর দৃষ্টি দিয়ে কেউ বোঝে না! যুগে যুগে কবি সাহিত্যিক রা জনসচেতনতা সৃষ্টি করেছেন, সজাগ করেছেন, সরকারের অনাচার অবিচারের বিরুদ্ধে কলম ধরেছেন, কবি লেখক তার শব্দের তুলিতে বেদনা কষ্ট অধিকার একেছেন নিখূত ভাবে যা স্বৈরশাসকের ভীত কাপিয়েছে, জনগন শৃঙ্খলা নিয়ে একত্রিত হয়েছে, দাবীর প্রতি সোচ্চার হয়েছে এবং শোষকের ভিতর ও মানবতা তৈরি করেছে কবির নিখূত বর্নন!
ত্রিপুরায় কুকি সংখ্যা লঘূ নারী দুজন কে ধর্ষণ করে রোডে নাঙা ঘোরানো মোদি সরকারের মৌলবাদী দলীয় আচরনে বাংলাদেশের কবি থেকে বিশ্বের অনেক কবি লিখেছেন! "হলকাস্ট যুগে যুগে" একটা কবিতা আমাদের সাহিত্য পরিষদে পড়েছি, চীনের উঘূ মুসলমান নির্যাতন দীর্ঘ দিনের, তারা সংখ্যা লঘূ এটা অপরাধ! বাংলাদেশের সংখ্যা লঘূ তো গনি মাতের মাল যখন প্রগতিশীল রাজনৈতিক ধারা পরিবর্তন হয় তখন ১৩% সংখ্যা লঘূর মাংস ঝলসায় রাজনৈতিক কড়াইতে এটা ও এক মৌলবাদী চরিত্র!
পবিত্র কুরআন বলেছে," Muslims faith promotes Justice & freedom of speech.
অন্য আয়াতে বলেছে,"Quran does not promote violence and warfares) .
আমরা মানুষ কে ধাবরায় ধরে ঝগড়া করছি, লাঠালাঠি কিলাকিলি মারামারি কাইজা এবং হত্যা!
কোন আয়াতে বলেছে, " Quran condemns of sectarian violence speak Against Terrorism ")
আমরা লেবাসি ধার্মিক কিন্তু কুরআন মানছি কই!
কুরআনে বারবার বলা হয়েছে," "Forgiveness Forgiveness and Forginess "!
আপনি বাইবেল গীতা ত্রিপিটক ইংরেজি তর্জমা পড়বেন, হুবহু একই বানী! আমি ঐ তর্জমা আর লিখলাম না!
কবিরা পারেন এমন পবিত্র মনে মানুষ কে আহ্বান করতে। আগের কবিরা এমন ছিলেন, এখনকার কবি নামের ধর্ম বর্ন লিঙ্গ বৈষম্য কারীরা উস্কে দেন হত্যা রাহাজানি সংখ্যা লঘূ নির্যাতন!
আমরা কি এখন কবি না হায়েনা!
নিচে আমি কিছু কবিদের কথা উল্লেখ করলাম যাদের কলম ছিলো সব যুদ্ধ বিগ্রহ অন্যায়ের বিরুদ্ধে অসি!
এই নান্দনিক সহযোগিতায় কবিরা ব্রত হলে সকল ধরনের হিংসা বিদ্বেষ অহংকার ধোঁকা হানাহানি সম্পাদ লিপ্সা থেকে মানুষ ফিরে আসে তার মানবতা বোধ জাগ্রত হয়! কবিতা সাহিত্যের mother.
এমন করেছেন বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ, নজরুল ইসমাইল হোসেন সিরাজী তারাশঙ্কর বঙ্কিম শরৎ , আরো আগে রুমি খৈয়াম, হাফিজ, মার্কটোয়েন, জেন অস্টন, বেগম রোকেয়া সুফিয়া কামাল নূর জাহান ---
শেষের পাঁচ জন নারী মুক্তি নারী স্বাধীনতা নারী শিক্ষা নিয়ে অনেক লিখেছেন যার জন্য আজ আমরা দু কলম লিখতে পারছি, বলতে পারছি।
উল্লেখ্য বৃটিশ তাড়ানোর ক্ষেত্রে কবি সাহিত্যের কলম দারুন কাজ করেছে!
বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনে হিন্দু থেকে বেশী জীবন দিছেন মুসলমান! বাংলাদেশ তৈরি তে মুসলমান হিন্দু ত্যাগ সমান সমান!
বর্তমান কবি-রা আগের কবি সাহিত্যিকদের মত তেমন সাহসী লেখা চোখে পড়ে না! কেউ হয় নাই নজরুল ইসমাইল হোসেন সিরাজী তারাশঙ্কর রবীন্দ্রনাথ যারা জেল খেটেছেন দেড় আড়াই বছর করে! রবীন্দ্রনাথ ব্রিগেডিয়ার ডায়ার কে চিঠি লেখেন ডঃ মানিক কে গ্রেফতার এর প্রতিবাদে, "জানি ওলা বাগ' স্টেডিয়ামে হত্যার প্রতিবাদে তিনি বড়োলাট কে কড়া ভাষায় চিঠি লিখে বৃটিশের দেয়া "নাইট" উপধি প্রত্যাখান করেন!
এখন এমন দায়িত্ব নেয়া কবি সাহিত্যিক পাওয়া ভার, সবাই পিঠ বাচিয়ে চলেন এবং মানবতা জাগাবার মত লেখা কেউ লিখেন না! বরং ব্যক্তির পিছে লেগে হানাহানি কাঁদা ছোড়াছুড়ি করেন কারন কবির দায়িত্ব তারা বোঝেন না!
সবাই মানবতা মনুষ্যত্ব তাকওয়া পূর্ণ জীবন ধার্মিক হন, লেবাসী নয়, লেবাস তো মিয়ানমার বৌদ্ধ রা সবাই পরে, তাহলে ৭ লক্ষ মুসলিম রোহিঙ্গা ধর্ষন করলো কিভাবে? বুদ্ধদেব কি এমন বলেছেন? পৈতা তিলক ধূতি তো সব পুরাহিত পরেন, দাড়ি-টুপি পাঞ্জাবি তো সব হুজুর পরেন তাহলে মন্দির মসজিদে ৬ বছরর মেয়ে ধর্ষিত হয় কেন?