মোঃ জুয়েল খাঁন, খুলনা বিভাগীয় ব্যুরো।
সাতক্ষীরা জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) কর্তৃক ২৬০ লিটার ভেজাল দুধ ও ভেজাল দুধ তৈরির উপকরন সহ ০২ জন্যকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ
সাতক্ষীরা জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম মহোদয় এর দিক-নির্দেশনায় অফিসার ইনচার্জ, জেলা গোয়েন্দা শাখা, জনাব মোঃ নিজাম উদ্দীন মোল্যার তত্ত্বাবধানে গত ০৫/০৪/২০২৫ , রাত ২২.৪৫ ঘটিকার সময় এসআই (নিঃ)/রুবেল আহমেদ এর নেতৃত্বে একটি চৌকস টিম ভেজাল দুধ তৈরির গোপন তথ্য প্রাপ্ত হইয়া সাতক্ষীরা সদর থানাধীন হাবাসপুর গ্রামস্থ আসামি কোমল ঘোষ এর বসত বাড়ীতে অভিযান পরিচালনা করিয়া উক্ত বাড়ী সংলগ্ন পুরাতন গোয়াল ঘরে দুধের কারখানার মধ্যে ভেজাল দুধ তৈরির বিভিন্ন উপকরন দুধ, ভেজাল ঘি, ভেজাল দুধু ও-থি তৈরির ক্রিম, সোডা ওজন পরিমাপক মিটার, সয়াবিন তেল ও ভেজাল দুধ তৈরি করার মেশিন সহ পাইয়া জব্দ তালিকা মূলে জব্দ করেন এবং ভেজাল দুধ ও ঘি তৈরির ঘটনায় জড়িত আসামি ১। কোমল ঘোষ (৩৮), ২। দিলীপ ঘোষ (৪৩), উভয় পিং-অশোক কুমার ঘোষ, সাং হাবাসপুর, থানা ও জেলা সাতক্ষীরাদ্বয়কে গ্রেফতার করেন। উক্ত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায় যে, সাতক্ষীরা সদর থানার হাবারপুর, ফিংড়ী এবং আশাশুনি থানার কচুয়া গ্রামের ৩০/৩৫ জন ব্যক্তি ভেজাল দুধ ও ঘি তৈরি করে। আসামীরা দীর্ঘ দিন যাবৎ ভেজাল দুধ তৈরি, বাজারজাত করে মানব শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর জানিয়াও অধিক মুনফা করার উদ্দেশ্যে মিল্ক ভিটা এবং ব্র্যাকের দুগ্ধজাত প্রতিষ্ঠান সহ পাশ্ববর্তী বাজারে ভেজাল দুধ বিক্রয় করিয়া বলিয়া প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়। তাদের উপর গোয়েন্দা নজরদারী অব্যহত আছে।
গ্রেফতারকৃত আসামির তথ্য:
নামঃ ১। কোমল ঘোষ (৩৮), ২। দিলীপ ঘোষ (৪৩), উভয় পিং-অশোক কুমার ঘোষ, সাং ধোন হাবাসপুর, থানা ও জেলা সাতক্ষীরা।
উদ্ধারকৃত আলামত:
১। ০৭টি ক্যান/ড্রামে ২৬০ লিটার ভেজাল দুধ
২। ০১টি ড্রামে ভেজাল ক্রিম
৩। ১২ (বার) লিটার সয়াবিন তেল
৪। ২০ লিটার ভেজাল ঘি
৫। ০১টি পুরাতন ডিজিটাল ওজন পরিমাপক মিটার
৬। ০১টি ভেজাল দুধ তৈরি করার মেশিন
৭। ০১টি প্লাস্টিকের কৌটায় ১০০ গ্রাম সোডা
৮। ০১টি প্লাস্টিকের কৌটায় ৪০০ গ্রাম কাস্টিক
৭। ০১টি সাদা রংয়ের ব্লেন্ডার মেশিন।
উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে সাতক্ষীরা থানার মামলা নং-০৬ তারিখ-০৬/০৪/২০২৫ ধারা-১৯৭৪ বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫-সি রুজু করা হয়।