মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০১:১১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
কবিতা: রক্তাক্ত ফিলিস্তিন নতুনতারা সমাজকল্যাণ ও সাহিত্য সংস্থা আয়োজিত সোমবারের সাপ্তাহিক আড্ডা অনুষ্ঠিত কবিতাঃ বৈচিত্র‍্যময় মানুষ ঝালকাঠি জেলার খাজুরা গ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধা ধীরেন্দ্রনাথ হালদার এর মৃত্যুতে কীর্ত্তিপাশা থানা কর্তৃক রাষ্ট্রীয় সম্মাননায় শেষ কৃতদাহ নাম দিয়েছি পরাণ তোমায় নরসিদীর রায়পুরায় মেঘনার থানা বাস্তবায়ন পরিষদের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে স্মারক লিপি প্রদান গল্প:- অচেনা সেই চোখজোড়া সুন্দরবনে অভয়ারণ্যে নিষেধাজ্ঞার মাঝেই  বিষ প্রয়োগে মাছ শিকার জীববৈচিত্র হুমকির মুখে সুন্দরবনের উপকূলে বোরো ধানের শীষে দোল খাচ্ছে কৃষকের সোনালী স্বপ্ন সাতকানিয়া উপজেলার ১৬ নম্বর ইউনিয়ন পরিষদে খাদ্য অধিদফতর কর্তৃক হত দরিদ্রদের মাঝে ১৫ টাকা মূল্যে খাদ্য শস্য বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত

আধুনিকতার ছোঁয়ায় রায়গঞ্জ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী কাচারি ঘর

Coder Boss
  • Update Time : সোমবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৩৯ Time View

 

মোঃ মোকাদ্দেস হোসাইন সোহান, সিরাজগঞ্জঃ

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী কাচারি ঘর। এ উপজেলায় এক সময় অধিকাংশ সম্ভ্রান্ত পরিবারের অভিজাতের প্রতীক ছিল এই কাচারি ঘর। বাড়ির বাইরের আঙ্গিনায় অতিথি মুসাফির ছাত্র ও জাগিরদের থাকার ঘরটি কাছারি ঘর বা বাংলা ঘর নামে বেশি পরিচিত ছিল। এ ঘরকে আবার বৈঠক খানাও বলা হতো। যেকোনো মেহমান এলেই থাকতে দেওয়া হতো এই কাচারি ঘরেই। সেই সময়ে মাঝে মধ্যেই শোনা যেতো বাহির থেকে অচেনা কেনো শব্দও। বাড়িতে কেউ আছেন? একটু থাকার যায়গা হবে? আর এ কারণেই বাঙালিরা হয়ে উঠেছিল অতিথি পরায়ণ। আর এসব অতিথিকে না খেয়ে ঘুমাতে দিতেন না বাড়িওয়ালারা। আর তাছাড়া আসলে মজার ব্যাপার হলো, এসব অতিথি রাতের অন্ধকার থাকতেই উঠে চলে যেতেন। তবে কোনো কিছু চুরি করে নিয়ে যেতেন না। এছাড়াও কাচারি ঘরের বারান্দায় সব সময় একটা হেলনা বেঞ্জ থাকত। এখানে বসে অনেকেই বিশ্রাম নিতেন। বিশেষ করে সকাল-বেলায় চা-আড্ডায় মেতে উঠতেন অনেকেই। উপজেলার নাড়ুয়া গ্রামের কুরান প্রামাণিকের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, গ্রামপাঙ্গাসী আমার চাচার বাড়িতে একটি কাচারি ঘর ছিল, কিন্তু আধুনিকতার ছোঁয়ায় সেটি এখন আর নেই। ঘরের টিন ও আলমারিগুলো এখনো স্মৃতি হিসেবে রয়ে গেছে। আমার জানা মতে এখন আর কোনো বাড়িতে সেই ঐতিহ্যবাহী কাচারি ঘরগুলো আর নেই। তবে সবার নজর কেড়েছে সম্প্রতি করা দৃষ্টিনন্দন একটি বাড়ি। বিশেষ করে বারান্দায় অতিথিদের বসার জন্য হেলেনসা ব্রেঞ্জ। এদিকে বর্তমানে অবকাঠামো উন্নতির ফলে মাঠে-ময়দানে যারা কাজ করতেন তারা দিন শেষে নিজ বাড়িতে চলে যান। কোথাও থাকারও প্রয়োজন হয় না। এছাড়াও আধুনিকতার ছোঁয়ায় দরকার পড়ে না কাচারি ঘরের। মানুষ এখন কর্মমূখী। তাই বসে থাকার সময় নেই। ফলে উপজেলা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী সেই কাচারি ঘরগুলো।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024 Coder Boss
Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102